Suicide Attempt: আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ মিথ্যে, ফেসবুক লাইভে এসে দাবি করলেন ‘ঘুমের ওষুধ’ খাওয়া অভিনেত্রী

Actress Suicide Attempt: সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে একটি ফেসবুক লাইভ করেন ওই অভিনেত্রী।

Suicide Attempt: আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ মিথ্যে, ফেসবুক লাইভে এসে দাবি করলেন 'ঘুমের ওষুধ' খাওয়া অভিনেত্রী
আত্মহত্যার চেষ্টা নিয়ে অভিনেত্রীর দাবি কী?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 01, 2022 | 5:40 PM

যাঁর আত্মহত্যার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে পুলিশে অভিযোগ হয়েছিল গত সপ্তাহে, ঘরের দরজা ভেঙে যাঁর সংজ্ঞাহীন দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভতি করেছিল পুলিশ, সেই অভিনেত্রীই এবার ফেসবুক লাইভ-এ এসে দাবি করলেন, তিনি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেননি। তাঁর আরও দাবি, তাঁকে কেন্দ্র করে যে খবর ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা—ফেক নিউজ়। শুধু তাই-ই নয়, তাঁর যে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ধারণা তৈরি হয়েছিল যে তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেবেন, সেই পোস্টটিও তাঁর করা নয় বলে ফেসবুক লাইভ-এ দাবি করেছেন ৩৬ বছরের ওই অভিনেত্রী। উল্টে ওই অভিনেত্রীর দাবি, তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছিল এবং তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে করা আত্মহত্যার ইঙ্গিতবাহী দু’টি পোস্টই হ্যাকারের করা—তিনি করেননি। অথচ এ ব্যাপারে TV9 বাংলার তরফে যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি পুলিশের কাছে হ্যাকিংয়ের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন কি না, তখন উত্তরে তিনি জানান, পুলিশ তাঁর অভিযোগ নেয়নি।

কী ঘটেছিল ওই অভিনেত্রীর সঙ্গে? গত ২৪ জুন, শুক্রবার, রাতে ওই অভিনেত্রীর একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ায় টালিগঞ্জের টেলিপাড়ায়। ইংরেজিতে লেখা ওই পোস্টের বাংলা তরজমা ছিল: “বেঁচে থাকার জন্য অনেক সংগ্রাম করেছি। আমার পরিবারই সব কিছুর জন্য দায়ী। এখন আমার শান্তি চাই। চির বিদায়…” তারও আগে হাতে-লেখা একটি নোট ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন তিনি। হাতে-লেখা ওই নোটটি অবশ্য আর দেখা যায়নি ফেসবুকে। ফেসবুকের ইংরেজি পোস্ট দেখে অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠরা যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁর মোবাইল ফোন সুইচড অফ পাওয়া যায়। এরপর পূর্ব যাদবপুর থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান অভিনেত্রীর এক পরিচিত। পুলিশ নয়াবাদ এলাকায় ওই অভিনেত্রীর বাড়িতে পৌঁছে দরজা ভেঙে তাঁর অচৈতন্য দেহ উদ্ধার করে। ওই অভিনেত্রী ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছিল পুলিশ। তাঁকে ওই এলাকারই একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে একটি ফেসবুক লাইভ করেন ওই অভিনেত্রী। লাইভে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগটিকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন অভিনেত্রী। ফেসবুক লাইভে অভিনেত্রী বলেছেন: “জীবনে প্রথমবার আমি ফেসবুক লাইভে এলাম। এর আগে কোনওদিনও আমি লাইভে আসিনি। এই লাইভ করার কারণ একটাই—বিগত কয়েকদিন ধরে আমাকে নিয়ে যা কিছু হয়েছে, তার কতটা সত্যি এবং কতটা ফেক। এটা মানুষকে জানানো খুব দরকার ছিল। সেই জন্য আমি আজ লাইভে এসেছি।”

এরপরই ফেসবুক লাইভে ওই অভিনেত্রী দাবি করেন, তিনি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেননি। যে খবর বেরিয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা—ফেক নিউজ়। তিনি বলেন, “আমি ভীষণ পজ়িটিভ মানসিকতার মেয়ে। জন্ম থেকেই আমি ফাইটার। সুইসাইড করব, সেটা আমি কখনও ভাবি না। ভাবতে পারি না। আমার সুইসাইড করার কোনও প্রয়োজন নেই।” এরপর লাইভে তিনি দাবি করেন, তাঁর প্রোফাইল হ্যাক করা হয়েছিল। এবং আত্মহত্যার ইঙ্গিতবাহী যে নোট বা পোস্ট তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে করা হয়েছি, সেগুলি সবই হ্যাকারের করা। এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন ওই অভিনেত্রী।

তিনি বলেন, “মূল যে ঘটনাটা আমার সঙ্গে ঘটেছিল, সেটা হল ২২ জুন আমার জন্মদিনের দিন আমি অনলাইন লাগজ়ারি ব্র্যান্ড লঞ্চ করার প্ল্যান করেছিলাম। প্ল্যানিং হিসেবে আমি ১৯ জুন বাড়ি যাই।” ২৪ জুন রাতে তাঁকে উদ্ধার করার পর পুলিশ জানিয়েছিল, ওই অভিনেত্রীর পৈতৃক বাড়ি কালনায়। তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে তিনি প্ল্যান করেন, প্রথমে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে অনলাইন বুটিং চালু করবেন তিনি। ভাইকে ‘কম্পিউটার জিনিয়াস’ বলে ফেসবুক লাইভে অভিহিত করেছেন ওই অভিনেত্রী। ২০ জুন থেকে লাগজ়ারি ব্র্যান্ডের জন্য তাঁরা কাজ শুরু করেন। টানা দু’দিন পরিশ্রম করার পর কালনায় গিয়েছিলেন তিনি—ছ’মাস পর তিনি বাড়ি গিয়েছিলেন। ফেসবুক লাইভে ওই অভিনেত্রী বলেন, “সকলের সঙ্গে গল্পও করি। বুটিকের শাড়ির কালেকশন আমি কালনারই রিটেলারের কাছ থেকে নিয়েছি। এ সব করে আমরা ভীষণই কাজের প্রেশারের মধ্যে ছিলাম। ২২ জুন সকালে আমি আমার ভাইয়ের সঙ্গেই রিটেলারের কাছে যাই… জন্মদিন ভাল কাটাই। রাত ১২টার সময় আমরা ডিনার করি।” তখনও তাঁর পেজের কাজ চলছিল বলে দাবি করেছেন ওই অভিনেত্রী। পরের দিন যখন তাঁদের রিটেলারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল, তখন তাঁর ভাই ঘুমোচ্ছিলেন। ভাইয়ের গলব্লাডার ও কিডনিতে স্টোন ধরা পড়েছে। পরদিন সকালে ওর ইউএসজি করার কথা ছিল।

ফেসবুক লাইভে ওই অভিনেত্রী দাবি করেছেন, কাঁচা ঘুম থেকে উঠে দু’মিনিটের মধ্যে তৈরি হন তিনি ও তাঁরল ভাই। তখন বৃষ্টি পড়ছিল। রাস্তায় কাদা ছিল। পিচ্ছিল হয়ে পড়ে ছিল রাস্তা। তাড়াহুড়োয় তিনি ল্য়াপটপ ব্যাগ না নিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। ভাইয়ের স্কুটিতে চড়েন তিনি। ভাই একটু জোরেই স্কুটি চালাচ্ছিলেন বলে দাবি করেছেন ওই অভিনেত্রী। তিনি হেলমেট না পরেই স্কুটিতে চড়েছিলেন। রিটেলারের বাড়ি ঢোকার আগে পিচ্ছিল রাস্তায় স্কুটি পড়ে যায়। তাঁরা দু’জনেই রাস্তার বাঁ দিকে পড়ে যান। ওই অভিনেত্রী বলেন, “আমার চোখ থেকে চশমা ছিটকে বেরিয়ে যায়। ব্যথা পাই খুব।” তাঁর দেহের বিভিন্ন অংশে কালশিটে পড়ে যায়। তাঁর ভাইও আহত হন। ভাইয়ের জামা ছিঁড়ে যায়। স্থানীয় কয়েকজন তাঁদের উদ্ধার করেন। দুর্ঘটনার জেরে তাঁর ল্যাপটপটিও ভেঙে চুরমার হয়ে যায় বলে লাইভে জানিয়েছেন ওই অভিনেত্রী।

২৩ জুন যেহেতু তাঁকে বাড়ি ফিরতেই হত, তাই-ই কলকাতায় ফিরে আসেন তাঁরা। ২৪ জুন ‘অপবিত্র’ (অশোকনগর নাট্যআননে এই নাটকে অভিনয় করেন অভিনেত্রী) নাটকের মহড়া ছিল। এবং ২৫ জুন অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে শো ছিল ওই নাটকের। দল থেকেই বলা হয়েছিল ২৪ জুন মহড়ায় উপস্থিত থাকতেই হবে তাঁদের। দুর্ঘটনার জন্য মায়ের কাছে বকুনি খেয়েছিলেন ভাই-বোন দু’জনেই। তাঁর অবস্থা দেখে মা বলেন শো না করতে। কিন্তু তিনি মাকে জানিয়ে দেন, তিনি শো করবেন। এই কথা শুনে তাঁর মা কালনা থেকে কলকাতায় আসতে চেয়েছিলেন। ২৪ জুন রাত সাড়ে ৯টা-১০টা নাগাদ তিনি কলকাতায় ফেরেন। বুঝতে পারেন, এই শারীরিক অবস্থায় তিনি ২৫ তারিখ শো করতে পারবেন না। বিষয়টি জানাতে তিনি প্রথমে ‘চন্দনদা’কে (অভিনেতা চন্দন সেন) ফোন করেন। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে তিনি ফোন না তুললে এরপর ‘শান্তিদা’কে (শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়) ফোন করেন ওই অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “শান্তিদার ফোন নট-রিচেবল ছিল। আমাদের গ্রুপেরই পঞ্চানন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করি।” তাঁকে দুর্ঘটনার কথা জানান ওই অভিনেত্রী। আরও জানান, যেন তাঁর বিকল্প দেখে নেওয়া হয়….

অভিনেত্রীর দাবি, যে হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল, সেখানকারই এক ডাক্তারকে (যিনি তাঁর বন্ধু) ফোন করেন তিনি। ওই চিকিৎসক তাঁকে আইসব্যাগ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আধ ঘণ্টার মধ্যে তিনি তাঁকে দেখতেও এসেছিলেন বলে লাইভে জানিয়েছেন ওই অভিনেত্রী। তাঁর সংযোজন, “আমাকে ওষুধ দিয়ে যান তিনি। আমি খাবার অর্ডার করেছিলাম সেই রাতে। শরীরে এতটাই ব্যথা হচ্ছিল যে, ঢোক গিলে জল খাওয়ারও শক্তি ছিল না। রাতে ডিনার করিনি। খালি পেটেই পেইনকিলার ও প্যারাসিটামল খেয়েছিলাম। বাড়িতে জানিয়ে ফোন সুইচ অফ করে দিয়েছিলাম। এতটাই যন্ত্রণা হচ্ছিল যে আমি ঘুমোতেই পারছিলাম না। আমি ঘুম থেকে উঠে স্লিপিং পিল খাই। সেটাই আমি সবচেয়ে বড় ভুল করেছি। ডাক্তারের পরামর্শ আমি শুনিনি। খালি পেটে কড়া ডোজ়ের ব্যথা কমানোর ওষুধ, জ্বর কমানোর ওষুধ ও ঘুমের ওষুধ খাই। এসি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ১০.৩০ থেকে ১১টার মধ্যে গভীর ঘুমে চলে যাই। আমি তারপর আর এই পৃথিবীতেই ছিলাম না।” অভিনেত্রীর অভিযোগ, এরই মধ্যে তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক হয়ে যায়। ইংরেজিতে একটি পোস্ট যায়। আর একটি হাতে-লেখা চিঠি পোস্ট করা হয়। দু’টোর একটাও তিনি করেননি বলে দাবি করেছেন ওই অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী ফেসবুক লাইভে জানিয়েছেন, পোস্টগুলি হওয়ার পর প্রথমে তাঁর ছোড়দা খেয়াল করেন। বাবাকে ফোন করে বিষয়টি জানান তাঁর ছোড়দা। মা-ও তাঁকে ফোন করেন। যদিও তখন তাঁর ফোন বন্ধ। এই ঘটনাতেই সকলে ভয় পেয়ে যান বলে দাবি তাঁর। তিনি লাইভে বলেন, “বাড়িতে সকলে জানেন যে আমি স্ট্রং মেয়ে। কখনওই আত্মহত্যা করব না। নিজেও আত্মহত্যা বিষয়টাকে ঘৃণা করি। তবুও বাবা-মায়ের মন, তাঁরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। মা ভাবতে থাকেন, হয়তো বুটিকটা ঠিক মতো লঞ্চ করতে পারিনি। কাজগুলো হল না। সেই জন্যই হয়তো আমি এই পদক্ষেপ নিয়েছি। আমার দাদা থাকেন কাছেই। দাদাকে মা ফোন করে বলেন আমার কাছে তৎক্ষণাৎ চলে আসতে। মা দাদাকে বলেন আমাকে উদ্ধার করতে। দাদার আবাসনের উল্টোদিকেই পূর্ব যাদবপুর থানা। দাদা পুলিশ নিয়ে আমার বাড়িতে আসেন। বেল বাজান। আমি কিছুই শুনতে পারি না। তখন আমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। আমি জানিই না এতকিছু হয়েছে। তারা দরজা ভেঙে ঢোকেন। আমার বেডরুমের দরজা ঠেলে ঢোকে। একডাকে আমি সাড়া দিই। তাকিয়ে দেখি আমার ঘরে সাদা পোশাকে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। দাদা দাঁড়িয়ে আছে। কেন দাঁড়িয়ে আছে, আমি জানি না। দাদা আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আমি ঠিক আছি কি না। আমি বলি ঠিক আছি। তারপরে আবার আমি ঘুমিয়ে গিয়েছি। আমার আবার যখন ঘুম ভেঙেছে, আমি দেখি আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে। আমার নাক-মুখ দিয়ে পাইপ ঢোকানো। দু’হাতে চ্যানেল করা, মনিটর, নার্স, ডাক্তার রয়েছেন। কেন রয়েছেন সকলে আমি বুঝতে পারছি না। জিজ্ঞেস করি আমি কোথায়? আমাকে জানানো হয়, আমি নাকি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম। আমি নিজেই জিজ্ঞেস করি, কেন? ওঁরা বলেন, আমি ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলাম। আমি জানাই যে আমি রোজই ঘুমের ওষুধ খাই… পরে আমাকে ডাক্তার জিজ্ঞেস করেছিলেন আমি কেন আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম। আমি জানাই যে আমি আত্মহত্যা করতে যাইনি। কেউ সেই কথা বিশ্বাসই করছিলেন না। আমার প্রোফাইল হ্যাক হয়ে গিয়ে এমন হয়েছে যে, দুয়ে-দুয়ে চার হয়ে গিয়ে আমি ফেঁসে যাই। সকলে চলে আসেন। কালনা থেকে বাবা-মা আসেন। দিদি-জামাইবাবু চলে আসেন।…”

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঘটনার পর কি তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন? TV9 বাংলাকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে (২৯.০৬.২০২২) তিনি লিখিত অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন পূর্ব-যাদবপুর থানায়। অভিনেত্রীর দাবি, তাঁর লিখিত অভিযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিনেত্রীর দাবি, তাঁকে থানা থেকে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে তিনি যেন চুপ করে থাকেন। পরের বার ফের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে প্রযোজনীয় পদক্ষেপ করবে পুলিশ। উল্টো দিকে পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত অভিনেত্রীর করা কোনও অভিযোগ পুলিশের কাছে আসেনি।