Indrani Dutta on Birju Maharaj: ‘দিল্লি মে আ যাও’, ইন্দ্রাণীকে বলেছিলেন বিরজু মহারাজ
বাংলার নাচের দুনিয়ার অন্যতম শিল্পী অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী দত্ত। নাচই তাঁর ধ্যান এবং জ্ঞান। পণ্ডিত বিরজু মহারাজের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত হয়েছেন ইন্দ্রাণী। TV9 বাংলাকে জানালেন প্রয়াত শিল্পীর প্রতি তাঁর প্রণাম ও শ্রদ্ধা।
আমাদের জীবনটা ভাল ভাবে কাটছে না। আমার মেয়ে (অভিনেত্রী রাজনন্দিনী পাল) ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে। তারপর আমার স্বামী আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক নয়। তার মধ্যে বিরজু মহারাজের (Birju Maharaj) মতো এতবড় মাপের একজন শিল্পী চলে গেলেন। গতকাল থেকেই আমাদের কারওর মন ভাল নেই। কেবল মনে হচ্ছে, বছরটা শুরুই হল খারাপ খবর দিয়ে। বিরজুজি ও আমার নাচের ঘরানা আলাদা। উনি লখনউ ঘরানার। আমি জয়পুর ঘরানার। ফলে ওঁর কাছে আলাদা করে নাচ শেখা হয়নি। কিন্তু দূর থেকে অনেককিছুই লিখেছি। সেটাকেই মনে হয়েছে অনেকবড় শিক্ষা। অনেক শো দেখেছি। দেশে দেখেছি, বিদেশেও দেখেছি।
একবার বিরজুজির সঙ্গে আলাপ করতে গিয়েছিলাম। জি ডি বিরলা সভাগড়ে শো ছিল। তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘দিল্লি মে আ যাও’। ওই কথাটাও আমার কাছে খুব বড় প্রাপ্তি। কিন্তু আমার আর দিল্লিতে যাওয়া হয়নি। ওঁর কাছে কোনও ওয়ার্ক শপও করিনি। কিন্তু যখন যখন ওঁর পারফরম্যান্স দেখেছি, নিজেকে শিক্ষিত করতে পেরেছি। সেই পারফরম্যান্সে মা সরস্বতীকে দেখতে পেতাম। বিরজুজির নাচে যে ধরনের স্টাইল ছিল, আর কারও মধ্যে পাইনি। আমাদের সারা পৃথিবী জুড়ে এত কত্থক নৃত্য শিল্পী, কিন্তু ওঁর ধরন, দাঁড়ানোর ভঙ্গি, সবকিছু পৃথক।
সারা পৃথিবীর জুড়ে বহু ছাত্রছাত্রীকে তৈরি করে গিয়েছেন বিরজুজি। তাঁদের থেকে শেখাও খুব বড় শেখা। আমার স্কুলে যে নাচ শেখায়, তিনি বিরজুজির খুব কাছের মানুষ। ওঁর থেকে কিংবা আমার অন্যান্য শিল্পী বন্ধুদের থেকে বিরজুজির যে গল্প শুনি, রঙ্গ-রসিকতার গল্প শুনি, ওঁর গানের কথা শুনি, তাতে একটাই মনে হয়, এসবের মধ্যেই চিরকাল তিনি বেঁচে থাকবেন আমাদের বিরজু মহারাজ।
আমার অনেক শ্রদ্ধা, অনেক প্রণাম জানাই। আমার ডান্স ট্রুপ ইন্দ্রাণী দত্ত সৃষ্টির তরফ থেকে, আমার স্কুল ইন্দ্রাণী দত্ত কলা নিকেতন থেকে, ফ্যাকালটির তরফ থেকে বিরজুজির প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই।
আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar: ‘লতাজিকে নিয়ে গুঞ্জন রটছে দেখে বিচলিত লাগছে’, বলেছেন লতা মঙ্গেশকরের মুখপাত্র