প্রসেনজিতের ছিল না মেকআপ ভ্যান, গাড়ির ছাদে ঘুমতেন শুটিংয়ে
Prosenjit Chatterjee: একটা সময়ে ১০-১২ টি ছবি মুক্তি পেত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। ২০০৪ সালে তৈরি করেন এক অনন্য রেকর্ড। সেই বছরে ২২টি ছবিতে অভিনয় করলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনটে শিফ্টে লাগাতার কাজ করতেন তিনি। টানা ৮ দিন একবারের জন্যেও বাড়িতে যাননি।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বলা হয়, বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ‘ইন্ডাস্ট্রি’ তিনি। এই জায়গাটা অর্জন করতে হয়েছে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে প্রসেনজিৎকে। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। অদম্য লড়াই এবং অক্লান্ত পরিশ্রম না থাকলে আজ এই জায়গায় আসতেই পারতেন না অভিনেতা। জুন মাসে মুক্তি পাচ্ছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর নায়ক-নায়িকা জুটি হিসেবে ৫০তম ছবি। ছবির নাম ‘অযোগ্য’। ছবিকে কেন্দ্র করে নানা স্বপ্ন দেখছেন প্রসেনজিৎ। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারও দিতে শুরু করেছেন তিনি। অযোগ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর লড়াইয়ের কথা ব্যক্ত করেছেন অভিনেতা।
একটা সময়ে ১০-১২ টি ছবি মুক্তি পেত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। ২০০৪ সালে তৈরি করেন এক অনন্য রেকর্ড। সেই বছরে ২২টি ছবিতে অভিনয় করলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনটে শিফ্টে লাগাতার কাজ করতেন তিনি। টানা ৮ দিন একবারের জন্যেও বাড়িতে যাননি। সেই সময় মেকআপ ভ্যান থাকত না বলে গাড়ির ছাদে উঠে ঘুমতেন প্রসেনজিৎ। গাড়িটি পার্ক করা হত একটি গাছের তলায়। তারপর গাড়ির ছাদে বিছানা পেতে ঘুমোতেন। ভোরবেলা তাঁকে পাশের একটি দোকান থেকে ডাকা হত। দোকানদার হাতের কাছে এগিয়ে দিতেন চা।
সেই বছর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সকালবেলা শুটিং করতেন ‘বাবা কেন চাকর’ ছবিতে আর রাতের বেলায় ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘উৎসব’ ছবিতে পাঠ করতে যেতেন। একদিকে পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক বাংলা ছবি, অন্যদিকে ঋতুপর্ণ ঘোষের নান্দনিক ছবি। এই দুই বৈপরীত্যকে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা।