‘ছোটবেলায় বাংলাদেশে অনেক হুব্বাকে দেখেছি নিজের চোখে’, বললেন ‘হুগলির দাউদ’ মোশারফ করিম

Mosharraf Karim as Hubba Shyamal: কথিত আছে, হুব্বা শ্যামল ছিল ‘হুগলির দাউদ’। বাংলাদেশেও মুক্তি পাচ্ছে 'হুব্বা' এবং বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি, ২০২৪) আয়োজিত সেখানকার প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য-মোশারফ দু'জনেই। পর্দার হুব্বা শ্যামল মোশারফের সঙ্গে TV9 বাংলার একান্ত সাক্ষাৎকারে উঠে এল নানা কথা। বাংলাদেশ থেকে 'হুব্বা' মোশারফ বললেন...

'ছোটবেলায় বাংলাদেশে অনেক হুব্বাকে দেখেছি নিজের চোখে', বললেন 'হুগলির দাউদ' মোশারফ করিম
মোশারফ করিম।
Follow Us:
| Updated on: Jan 19, 2024 | 1:14 PM

বাংলাদেশের বর্তমানকালের নামজাদা অভিনেতাদের তালিকায় তিনি অন্যতম আসনে অধিষ্ঠান করেন। তিনি অভিনেতা মোশারফ করিম। ৫১ বছর বয়সি এই অভিনেতা সম্প্রতি কলকাতা থেকে ঘুরে গিয়েছেন। এবং তাঁর উপস্থিতির কারণ ছিল ‘হুব্বা’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনী। পশ্চিমবঙ্গের বাম আমলের বহুল চর্চিত মস্তান ‘হুব্বা শ্য়ামল’-এর জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি ছবি, যে ছবিতে হুব্বার চরিত্রে মোশারফ করিম। ব্রাত্য বসুর নির্দেশনায় তৈরি ‘হুব্বা’ নিয়ে আলোচনা সিনেপ্রেমীদের মনে।

কথিত আছে, হুব্বা শ্যামল ছিল ‘হুগলির দাউদ’। বাংলাদেশেও মুক্তি পাচ্ছে ‘হুব্বা’ এবং বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি, ২০২৪) আয়োজিত সেখানকার প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য-মোশারফ দু’জনেই। পর্দার হুব্বা শ্যামল মোশারফের সঙ্গে TV9 বাংলার একান্ত সাক্ষাৎকারে উঠে এল নানা কথা। বাংলাদেশ থেকে ‘হুব্বা’ মোশারফ বললেন…

প্রশ্ন: তা হলে শেষমেশ ‘হুব্বা’ মুক্তি পেল?

মোশারফ: ব্রাত্য যখন ‘ডিকশনারি’ ছবিটি তৈরি করছিলেন, তখন থেকেই আমি ‘হুব্বা’ নিয়ে এক্সাইটেড। তখনই আমি গল্পটা শুনেছিলাম। ব্রাত্য তখনই আমাকে বলেছিলেন চরিত্রটা করতে। তখন থেকে ছবিটায় কাজ করার জন্য আমি মুখিয়ে ছিলাম। এখন তো ছবিটা দুই বাংলাতেই মুক্তি পাচ্ছে… দারুণ লাগছে।

প্রশ্ন: কলকাতায় বিশেষ স্ক্রিনিংয়ে ছবি সম্পর্কে কী প্রতিক্রিয়া পেলেন?

মোশারফ: ছবিটি দেখে সকলেই ভীষণ খুশি হয়েছেন। তবে যাঁরা আমার ছবি দেখে খারাপও বলেন, তাঁদেরও ভাল লেগেছে…

প্রশ্ন: কে খারাপ বলে ছবি দেখে?

মোশারফ: আছেন। তাঁরা আমার ছবিকে সব সময় ভাল বলেন, তেমনটাও নয়। সেই তালিকায় আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক আমার স্ত্রী রোবেনা রেজ়া জুঁই। তিনিও খুব ভাল অভিনেত্রী এবং আমার অভিনয়ের সবচেয়ে বড় সমালোচক।

প্রশ্ন: হুব্বা শ্যামল, ওরফে শ্যামল দাস সমাজের একজন প্রখ্যাত দুষ্কৃতী। কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন?

মোশারফ: একটা গল্প কিংবা একটা উপন্যাস পড়লে আমি চরিত্রগুলোকে দেখতে পাই চোখের সামনে। হাঁটাচলা, কথা বলা… সবটাই বুঝে যাই। হুব্বা চরিত্রটার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছিল আমার ক্ষেত্রে। চিত্রনাট্য শোনার পর মাথার মধ্যে হুব্বা শ্য়ামল ভর করেছিল আমার। অবচেতন মনে অনেক কথাবার্তাও চালাতাম আমি।

মোশারফ করিম।

প্রশ্ন: ওপার বাংলার (পড়ুন বাংলাদেশ) মস্তানরা কেমন? হুব্বার মতোই?

মোশারফ: আমার মনে হয় সব জায়গাতেই মস্তানি একই রকম। তা ছাড়া দুই বাংলার সংস্কৃতিগত অনেক মিল আছে। আমার ছোটবেলায় বাংলাদেশে অনেক হুব্বাকে দেখেছি নিজের চোখে।

প্রশ্ন: ওখানকার সরকার এই দুষ্কৃতীদের কীভাবে শায়েস্তা করে?

মোশারফ: বাংলাদেশে একটা সময় ছিল, যখন এক-একটা এলাকায় এক-এক মস্তানের রাজত্ব ছিল। তাদের অনেককেই শায়েস্তা করা হয়েছে। অনেকের জেল হয়েছে। অনেকে দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়েছে…

প্রশ্ন: সম্প্রতি বাংলাদেশে নির্বাচন হল, ধরুন আপনি যদি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন সমাজের দুষ্কৃতিদের কী শাস্তি দেবেন?

মোশারফ: দেশের বিধান অনুযায়ী, একটাকেও ছাড়ব না। সবকটা’কে শাস্তি দেব। একই সঙ্গে আরও একটা কাজও করব। সে কেন দুষ্কৃতী হয়েছে, সে বিষয়টাও আমি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করব। আসলে সমাজের সংস্করণ খুব জরুরি বিষয়।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: স্নেহা সেনগুপ্ত