Sourav Das: সব্যর সঙ্গে রাত জাগছি, ঐন্দ্রিলা ফাইটার, আপনারা সকলে প্রার্থনা করুন: সৌরভ দাস
Sourav Das: ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে যদি কিছু বলতে হয়, তবে একটাই কথা বলব ও ফাইটার। ও আগেও জিতেছে এবং দৃঢ় বিশ্বাস যে এবারও জিতবে।
প্রতি নিয়ত সকল ভক্তদের নজর এখন ঐন্দ্রিলা শর্মার শারীরিক অবস্থার ওপর। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই নজরে আসছে সব্যসাচী চৌধুরী ও ঐন্দ্রিলা শর্মার কঠিন লড়াইয়ের কাহিনি। টানা ছয়দিন ধরে লড়াই চালিয়েছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নানা খবরের উদ্দেশে মুখ খুলেছেনে সব্যসাচী আগেই। কথা দিয়েছেন তিনি হাতে করে নিয়ে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলাকে, আবার তিনি হাতে করেই ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। সঙ্গে প্রতিটা মুহূর্তের সাক্ষী অভিনেতা সৌরভ দাস। টিভি ৯ বাংলায় জানালেন ঐন্দ্রিলার সেই কঠিন লড়াইয়ের কথা।
সৌরভের কথায়- ”ঐন্দ্রিলার মা, বাবা ওর দিদি দু’বেলা আসছেন। ওর বাবা ও দিদি যেহেতু দুজনেই ডাক্তার, তাই কথা বলছেন তাঁরা ডাক্তারদের সঙ্গে, সব বিষয়টাতে নজর রাখছেন। মাথা খাট্টাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত দেওয়ার মতো তেমন কোনও খবরই নেই। একই আছে প্রায়। তবে অবস্থার অবনতী ঘটেছে খবরটা সত্যি নয়। কারণ অবস্থার অবনতী ঘটেনি। এটা ভুল তথ্য। চিকিৎসা চলছে, আমরা সকলেই থাকছি। সব্যসাচী তো সব সময় থাকছে। যা হয় এই সময় মনের অবস্থা। একদম বাঁদিকটা পড়ে গিয়েছে এমনটা নয়। মুভমেন্ট সামান্য রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ”ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে যদি কিছু বলতে হয়, তবে একটাই কথা বলব ও ফাইটার। ও আগেও জিতেছে এবং দৃঢ় বিশ্বাস যে এবারও জিতবে। তার পরিবার লড়াই করছে, সব্যর সঙ্গে রাত্রীবেলায় আমি থাকছি হাসপাতালে প্রত্যেকদিন। আমরাও প্রতিটা ঘণ্টায় গিয়ে দেখে আসছি, যদি কিছু জানানোর মতো খবর থাকে আমরা অবশ্যই আপনাদেরকে জানাব, ও ভাল হয়ে উঠবে, এর কোনও অন্যথা হবে না আমি জানি। গোটা হাসপাতালই লড়ছে, ঐন্দ্রিলা তো লড়ছেই। আমরা প্রার্থনা করছি, আপনারাও প্রার্থনা করবেন।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় এদিন সব্যসাচী চৌধুরীও মুখ খোলেন। দ্বিতীয়বারের জন্য এবার ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে কলম ধরলেন তিনি। লিখলেন- ”হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হলো আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সাথে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সাথে। গলা চিনতে পারে, হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়, দরদর করে ঘাম হয়, হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি।”