ডিপ্রেশন হচ্ছে? মন খুলে কথা বলুন, ফোন ধরবেন ঋতাভরী, পাশে মনোবিদ
যে কেউ আমাদের হেল্পলাইন নম্বরে (১৮০০২০৩৯৮৬৫) ফোন করতে পারেন। অভিজ্ঞ মনোবিদরা থাকবেন ফোনের ওপারে।
করোনা মানবজাতির জীবনে যেমন এনেছে শারীরিক অসুস্থতা ঠিক তেমনই এক বিরটা মানসিক অসুস্থতার মধ্যে মুখোমুখিও দাঁড়াতে হচ্ছে। লকডাউন এবং তার কারণে বেকারত্ব কিংবা প্রিয়জনের আকস্মিক মৃত্যু অথবা ওয়ার্ক ফ্রম হোম অবস্থাও যে খুব সুখকর নয় তা ইতিমধ্যে দানিয়েছেন মনোচিকিৎসকরা। এমন এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে মানুষ ক্রমশ একলা হয়ে পড়ছে। বন্ধুত্বের হাত খুঁজে বেড়াচ্ছেন কেউ-কেউ। এসব বিষয় নিয়ে কম ভাবেননি অভিনেত্রী ঋতাভরীও। তা-ই এক নতুন উদ্যোগে সামিল হয়েছেন ঋতাভরী এবং তাঁর বন্ধু রাহুল দাশগুপ্ত।
আরও পড়ুন ‘গেন্দা ফুল’-এর সুগন্ধ ছিল, চাঁদি ফাটা গরমে ভেজাতে আসছেন জ্যাকলিন-বাদশাহ
কিছুদিন আগে ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করেছিলেন ঋতাভরী। আর আজ থেকে যাঁরা কোভিডের সঙ্গে লড়াই করছেন, তাঁদের মানসিক খেয়াল রাখতে উদ্যত হলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন ঋতাভরী। তিনি লেখেন, ‘একটা বছর ধরে আমাদের সবারই ওপর দিয়ে একটা দুঃসময় চলেছে। কোভিড প্যান্ডেমিক, তার জন্য লকডাউন, কাজ বন্ধ, স্কুল কলেজ পরীক্ষা বন্ধ, বন্ধ আমাদের সামাজিক মেলামেশার স্বাভাবিক জীবন।
যেন একটা অন্ধকার টানেলের মধ্যে ঢুকে পড়েছি। এর ফলে কম বেশি সকলেই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। যারা প্রিয়জন হারিয়েছে, নিজেরা ভুক্তভোগী বা এই পরিস্থিতিতে দমবন্ধ অবস্থা বোধ করছে, সবার দিকেই আমি হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। তোমাদের সব রকম মনোকষ্টে, হতাশায়, মনের জোর হারানো একাকীত্বের সুরাহা করতে চাই। কথা বলো মনোবিদ ও বিশেষজ্ঞদের সাথে। কোন খরচ দিতে হবেনা। তার জন্য আমি আছি, আমার বন্ধু রাহুল দাশগুপ্ত আর ‘সহায়তা’ আছে। কল করো: ১৮০০২০৩৯৮৬৫। এই অন্ধকার টানেল টা থেকে বেরিয়ে আসার একটা যৌথ প্রচেষ্টা!! মন ভালো থাকলে পৃথিবীটাই সুন্দর হবে!! ঋতাভরী চক্রবর্তী।’
ঋতাভরী বলেন, “আমি-আমার বন্ধু রাহুল দাশগুপ্ত এই উদ্যোগ নিয়েছি। দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে যে কেউ আমাদের হেল্পলাইন নম্বরে (১৮০০২০৩৯৮৬৫) ফোন করতে পারেন। অভিজ্ঞ মনোবিদরা থাকবেন ফোনের ওপারে। আমাদের এই উদ্যোগে সামিল হয়েছে সহায়তা ক্লিনিক।”
উদ্যোগের সমস্ত খরচ বহন করছেন ঋতাভরী ও বন্ধু রাহুল। আগামী দিনে মনোবিদদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, “কত কথা এমন হয় যা বাড়ির মানুষদেরকে বলে বোঝানো যায় না। কিন্তু সে কথাগুলো শোনা জরুরি, মন হালকা হয়। সে সব কথাগুলো শুনবে মনোবিদ। যথাযথ পরামর্শ দেবেন। আসলে মন থেকে মানুষ সুস্থ হলে তবেই তো সম্পূর্ণভাবে সুস্থ। মানুষকে সুস্থ রাখার তাই এ প্রয়াস।”