বহুদিন পর যশের পোস্টে মিমির কমেন্ট, সঙ্গে চুমু…
নিজের বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছিলেন যশ। কালো রোদচশমা আর সেই ইঙ্গিতে ভরা ক্যাপশন। যশ লিখেছিলেন, "ঝড়ের মধ্যেও শান্তি রয়েছে...।" আর ওই ছবির কমেন্ট বক্সেই মিমি লেখেন, 'ইয়াসের কথা বলছিস'?
ওঁরা বন্ধু ছিলেন… শুটিংয়ের ফাঁকে চলত আড্ডা-হাসি-মজা। তবে বিগত বেশ কিছু মাস ধরেই যেমন নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তীর অটুট বন্ধুত্ব ভাঙনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল ঠিক তেমনই শোনা যাচ্ছিল মিমি ও যশেরও বন্ধুত্ব ‘বিচ্ছেদ’-এর খবর। তবে এ সবকে কার্যত তুড়ি মেড়ে উড়িয়ে বহুদিন পর যশ দাশগুপ্তর পোস্টে কমেন্ট করলেন মিমি। সঙ্গে আবার জুড়ে দিলেন চুমুও।
নিজের বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছিলেন যশ। কালো রোদচশমা আর সেই ইঙ্গিতে ভরা ক্যাপশন। যশ লিখেছিলেন, “ঝড়ের মধ্যেও শান্তি রয়েছে…।” আর ওই ছবির কমেন্ট বক্সেই মিমি লেখেন, ‘ইয়াসের কথা বলছিস’? সঙ্গে জুড়ে দেন একটি চুমুর ইমোজি। মাস কয়েক আগে ইয়াসের দাপটে ক্ষতি হয়েছে বাংলা ও ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকার। ইয়াস ও যশের উচ্চারণের সাদৃশ্য নিয়ে সে সময় মিমে ভরেছিল সোশ্যাল মিডিয়া। যশ তাঁর ক্যাপশনে যে ‘ঝড়’-এর কথা উল্লেখ করেছেন বন্ধু মিমি মনে করছেবন তা ওই ‘ইয়াস’-ই। নিছকই মজা, বন্ধুর সঙ্গে রসিকতা প্রমাণ করে দিচ্ছে, ‘সব ঠিক আছে।’
তবে মন কষাকষি যে হয়েছিল সে কথা ইন্ডাস্ট্রিতে এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। শ্রাবন্তী-তনুশ্রী-পায়েলের সঙ্গে নুসরতের ঘনিষ্ঠতাই এর নেপথ্যে কিনা তা নিয়েও জল্পনা চলছে আজও। যাই ঘটুক না কেন সে সব অতীত। নুসরতের মাতৃত্বের এই জার্নিতে মিমি যে তাঁর পাশেই আছেন সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। নুসরতের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে আরও এক অভিনেত্রী সম্প্রতি মুখ খুলেছিলেন টিভিনাইন বাংলার কাছে, তিনি শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
View this post on Instagram
শুভশ্রী বলেন, “ফোন করেই ওকে বলেছি আমি যেহেতু অভিজ্ঞ মা তাই যদি দরকার হয় তুই রাত তিনটেতেও আমাকে ফোন করতে পারিস। আমি আছি।” শুভশ্রীর মতে একজন গর্ভবতী মহিলার মাতৃত্ব পর্যায় চলাকালীন তা নিয়ে যত আলোচনা হয় মাতৃত্ব পরবর্তী অবস্থা নিয়ে কিন্তু সেভাবে কেউ কথা বলে না। তিনি যোগ করেন, “বাচ্চা হওয়ার পর একজন মেয়ে যে পরিবার মানসিক উথালপাথালের মধ্যে দিয়ে যায় তা আমি নিজে অনুভব করেছি। কিন্তু তা নিয়ে সেভাবে কখনওই কথা হয় না তেমন। সেই সময়টা যদি নুসরতের পাশে আমি দাঁড়াতে পারি তাহলে আমি খুশি হব।”
নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন। অন্যদিকে নুসরত এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছে এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য় পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।
তবে এত প্রশ্নের মাঝেই যশ ও নুসরতের বিশেষ সম্পর্ক নিয়েও উঠছে নানা আলোচনা। নিজেদের সম্পর্ক স্বীকার করেন না তাঁরা। এমনকি সন্তানের বাবা যশ কিনা তা নিয়েও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি কেউই। অথচ যত মা হওয়ার দিন এগিয়ে আসছে ততই যেন যশের সঙ্গে সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যেই স্বীকার করে নিচ্ছেন তাঁরা। কিছুদিন আগেই শহরের রাস্তায় হাতে হাত রেখে খেতে গিয়েছিলে তাঁরা। সেই ছবি ধরা পড়েছিল টিভিনাইন বাংলার পর্দায়। মুখে কিছু না বললেও পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন যশ। পাশে আছেন বোনুয়া মিমি-শুভশ্রীও।