Mrinal Sen: ‘কলকাতায় পরিকাঠামো নেই’, মৃণাল সেনের সৃষ্টি গবেষকদের জন্য উন্মুক্ত হল বিদেশে
'কলকাতায় পরিকাঠামো নেই', মৃণাল সেনের সৃষ্টি গবেষকদের জন্য উন্মুক্ত হল বিদেশে
কলকাতার প্রতি জমা হয়েছিল একরাশ ক্ষোভ। বাবার সৃষ্টি-কৃষ্টিকে সংরক্ষণ করার ইচ্ছে বা পরিকাঠামোর অভাব নিয়ে টিভিনাইন বাংলার কাছে আগেই মুখ খুলেছিলেন মৃণাল সেনের পুত্র অধুনা শিকাগো নিবাসী কুণাল সেন। জানিয়েছিলেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়েই শুরু হয়েছে মৃণাল সেনের সৃষ্টি সংরক্ষণ। এবার জানালেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়েই মৃণালের যাবতীয় কাজ সংরক্ষণের কাজ শেষ। নতুন গবেষক যারা পরিচালককের কাজ নিয়ে গবেষণা করতে আগ্রহী তাঁরা এবার থেকে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু করতে পারেন তাঁদের যাত্রা।
ফেসবুকে এই সংক্রান্ত একটি পোস্টও করেছেন কুণাল। যদিও একটি আপসোস রয়েই গিয়েছে। কুণাল লিখছেন, “খারাপ লাগছে বাবার অনেক প্রয়োজনীয় নথি সেখানে নেই, কারণ তিনি আগেই নিজে সেগুলো নষ্ট করে দিয়েছেন। কিন্তু যা রয়েছে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাজে লাগবে।”
সংরক্ষণের জন্য শিকাগোকেই কেন আদর্শ জায়গা বলে মনে হয়েছিল কুণালের, এ প্রসঙ্গে এর আগে টিভিনাইন বাংলাকে শিকাগো থেকে এক্সক্লুসিভলি পরিচালক-পুত্র বলেছিলেন, “আমি কলকাতায় আদর্শ কোনও জায়গা খুঁজে পাইনি। তার উপর আমি শিকাগোরই বাসিন্দা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার বহুদিনের যোগাযোগ। মুম্বইয়ে একটা ইনস্টিটিউট আছে, যেখানে রেস্টরেশনের ভাল কাজ হচ্ছে। তাঁদের কাছেও বাবার কিছু জিনিস আমি দিয়েছি। কিন্তু আমার কাছে শিকাগোতে যা-যা ছিল, যেমন চিঠিপত্র, ছবি ইত্যাদি সব আমি শিকাগো বিদ্যাবিদালয়কেই দিয়েছি। এটা বহু পুরনো ইনস্টিটিউশন। আমি দেখেছি এখানে কীভাবে জিনিসপত্র সংরক্ষণ করা হয়।”
প্রশ্ন তুলেছিলেন দেশে সংরক্ষণের পরিকাঠামো নিয়েও। বলেছিলেন, “আমাদের দেশের চরিত্রেই সংরক্ষণের গুরুত্ব নেই। আমরা পুরনো জিনিসকে পুরনো হিসেবে দেখি। কদর করতে জানি না।” ইন্টারভিউ’, ‘কলকাতা ৭১’, ‘পদাতিক’—‘কলকাতা ট্রিলজি’র স্রষ্টা মৃণাল সেন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর চলে গিয়েছিলেন না-ফেরার দেশে। কলকাতা শহর ছেড়ে অন্য কোথাও গিয়ে তিনি শান্তি পেতেন না। এমনকী প্রাণের ‘বন্ধু’ ছেলে কুণালের কাছে শিকাগোতেও না। মৃণাল সেনের অস্তিত্ব রক্ষা করছে ভিন দেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়– ভাববার বিষয় নয় কি?