Kishore Kumar: কিশোর কুমারের জন্মদিনে দ্বিধাবিভক্ত টলিউড, টালিগঞ্জে শুরু রাজনৈতিক তরজা

Kishore Kumar: আজ, বৃহস্পতিবার বাঙালি তথা গোটা দেশের এই ‘আইকনিক’ গায়কের জন্মদিনন পালনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে রাজ্যের শাসক দল ও বিরোধী দল।

Kishore Kumar: কিশোর কুমারের জন্মদিনে দ্বিধাবিভক্ত টলিউড, টালিগঞ্জে শুরু রাজনৈতিক তরজা
কিশোর কুমারের জন্মদিনে রাজনৈতিক তরজা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2022 | 4:24 PM

‘গুরুকে জানাই প্রণাম’-এর অনুষ্ঠানেও এবার রাজনীতির রং। তৃণমূল-বিজেপির রাজনীতির ‘শিকার’ এবার গায়ক-নায়ক কিশোর কুমার। আজ, বৃহস্পতিবার বাঙালি তথা গোটা দেশের এই ‘আইকনিক’ গায়কের জন্মদিনন পালনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে রাজ্যের শাসক দল ও বিরোধী দল। কিশোর কুমারের জন্মদিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে সেলিব্রেশন। মাল্যদান-সহ ‘গুরু’কে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন চলে গানে-গানে। কলকাতায় কিশোর-অনুরাগীদের তরফে গত প্রায় ৩০ বছর ধরে টালিগঞ্জে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান থেকে শুরু করে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এভাবেই কিশোরের ভক্তবৃন্দ তাঁদের ‘গুরুদেব’কে স্মরণ করে আসছেন বছরের পর বছর ধরে। এই বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু ব্য়তিক্রম হল এ বছরের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির ‘অভিনব’ তরজা।

তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কাস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া-র তরফে প্রতি বছরই টালিগঞ্জে ‘কিশোর কুমার উদ্যান’-এ কিশোর কুমারের জন্মদিন পালন করা হয়। তৃণমূলের তরফে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, গায়ক সৈকত মিত্র উপস্থিত ছিলেন এ দিনের অনুষ্ঠানে। অন্য় দিকে, বিজেপির তরফেও কিশোর কুমারের জন্মদিন উপলক্ষ্যে নেওয়া হয় বিবিধ কর্মসূচি। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের অনুষ্ঠান করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হলেও তা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ বিজেপির। অনুমতি না পাওয়ার কারণে টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে কিশোর কুমারের একটি ছবিতে পৃথকভাবে মাল্যদানের মাধ্যমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠান সারতে হয় বিজেপিকে। ঘটনাচক্রে ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কাস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া-এর অনুষ্ঠানস্থল ‘কিশোর কুমার উদ্যান’ এবং টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনের দূরত্ব মেরেকেটে আধ কিলোমিটার। বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, “কিশোর কুমার কারও একার নন। কোনও রাজনৈতিক দলের পৈতৃক সম্পত্তি নন।” তাঁর আরও সংযোজন, “কিশোর কুমারের মূর্তি আগলে রেখে তৃণমূলের আজকের এই মাল্যদান অনুষ্ঠানের তীব্র বিরোধিতা করছি। চালাকি করে পুলিশকে দিয়ে অনুমতি আটকে দেওয়ার মতো বদমায়েসিগুলোর এবার নিকেশ হওয়ার সময় এসেছে। আমরা রিজেন্ট পার্ক থানার কাছে অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি চেয়ে যে ই-মেইল করেছিলাম, তার কোন উত্তর পুলিশ দেয়নি।” অনুমতিকে কেন্দ্র করে পুলিশ তাঁদের সঙ্গে মৌখিক কথোপকথন চালিয়েছে বলে অভিযোগ রুদ্রনীলের। তাঁর কথায়, “পুরোটা পুলিশ ফো-ফোনে সেরেছে, যাতে কোনও প্রমাণ না থাকে।”

রুদ্রনীলের এই অভিযোগের পাল্টা হিসেবে মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসের বক্তব্য, “কিশোর কুমার সবার। গোটা ভারতবর্ষের, গোটা বিশ্বের। সারা বিশ্বে তাঁর কণ্ঠস্বর ধ্বনিত হচ্ছে। কেউ (রুদ্রনীল) ঘটনাস্থলে না এসে যদি শুধু অভিযোগ করেন, তাহলে তার দায় আমি নিতে পারব না।” অরূপবাবুর মতে, কিশোর কুমারকে নিয়ে তাঁর দল রাজনীতি করে না। তাঁর কথায়, “সকলেই দেখছেন গত ৩০ বছর ধরে সমস্ত মানুষ টালিগঞ্জে আসেন দল-মত নির্বিশেষে। সকলে গানের মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁদের প্রিয় কিশোর কুমারকে।” কারা তাঁকে নিয়ে এই ধরনের রাজনীতি করছেন, তা তাঁর জানা নেই বলে দাবি অরুপবাবুর।

প্রিয় গায়ককে ‘গুরুদক্ষিণা’ দিতে গিয়ে যে রাজনৈতিক তরজার সাক্ষী রইল মহানগর, তা সত্য়িই অভিনব।