Dev-Mithun Controversy: ‘… আপনি যে মানুষ ঠকানোর হাতিয়ার মাত্র তা নিশ্চয়ই বুঝেছেন’, দেবকে প্রশ্নবাণ রুদ্রনীলের
Projapoti Movie: তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেবের একটা ছোট্ট টুইট। আর তা নিয়ে আপাতত উত্তাল রাজ্য রাজনীতি থেকে শুরু করে টলিপাড়া। দেব ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর ছবি ‘প্রজাপতি’ সরকারি প্রেক্ষাগৃহে জায়গা পায়নি। কেন?
তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেবের একটা ছোট্ট টুইট। আর তা নিয়ে আপাতত উত্তাল রাজ্য রাজনীতি থেকে শুরু করে টলিপাড়া। দেব ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর ছবি ‘প্রজাপতি’ সরকারি প্রেক্ষাগৃহে জায়গা পায়নি। কেন? নেপথ্যে কি রয়েছে রাজনৈতিক কারণ? মিঠুন চক্রবর্তীর রাজনৈতিক পরিচয়ই কি দায়ী এর পিছনে? দেবের রাজনৈতিক পরিচয় কি এ ক্ষেত্রে ব্যাকফুটে? এ নিয়ে যখন চলছে একের পর এক চুলচেরা বিশ্লেষণ, তখন টলিউডের অধিকাংশই প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। হাতেগোনা মুখ খুলেছেন যারা তাঁদের মধ্যে একজন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। শুধু মুখই খোলেননি তিনি ‘ব্যভিচার’ নিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক রুদ্রনীল।কড়া ভাষায় তিনি বলেন, “সিনেমাতে বহুদিন আগেই রঙ লাগিয়ে দিয়েছে এরা। এরা যেটা করছে তা হল ক্ষমতার ব্যাভিচার। দু’কান কাটা হয়ে গেলেও কেউ এমন করতে পারে না। মহামান্য হাইকোর্টের তরফে ধিক্কারের পরেও এরা বিচারকের দিকেই আঙুল তুলে দেয়। বঙ্গের মানুষের যে খারাপ লাগছে সেই তোয়াক্কা তাঁরা করছেন না। যদিও এর দাম তাঁরা পাবে। ভারতবর্ষের গর্ব মিঠুন চক্রবর্তীকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ডাকল না। এখন তাঁর ছবি নন্দনে চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। এ কী?”
প্রসঙ্গত, সদ্য অনুষ্ঠিত কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সরকারের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি মিঠুন চক্রবর্তীকে। সেই নিয়ে এর আগেই উত্তাল হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতি। প্রতিবাদ করেছিলেন বিরোধীরা। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেই রুদ্রনীল আরও বলেন, “তৃণমূলের সাংসদ, আমার বন্ধু-ভাই দেবকে একটা বার্তা দেব, আসলে আপনারা যে নির্বাচনী প্রচারে মানুষ ঠকানোর হাতিয়ার মাত্র এটা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন?” আপনার দলের সতীর্থ সায়নী ঘোষ থেকেও ছবি চলে না। কারণ, আপনার ওই ছবির পরিচালক অনীক দত্ত একটা সত্যি সমালোচনা করেছেন। প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মুখ্যমন্ত্রীর কাটআউট থাকবে? সেই রোষের তাঁর ছবিও দেখানো হল না।” উল্লেখ্য, এ বছরের অন্যতম সুপারহিট ছবি ‘অপরাজিত’ নন্দনে মুক্তি পায়নি। ছবিটির পরিচালক ছিলেন অনীক। অভিনয়ে জিতু কামাল ও সায়নী ঘোষ। সায়নী ঘোষ তৃণমূল নেত্রী হলেও অনীক বামপন্থী হিসেবেই পরিচিত।
রুদ্রনীল কিন্তু এখানেই থামেননি। তিনি আরও বলেন, “এই যে প্রবাদ বলে ‘পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে’। এদের এরকম অবস্থা। এদের মুখে কোনও গ্লানি নেই। ভারতবর্ষের কোনও রাজ্যে কোনও দলকে এতটা নির্মম হতে দেখিনি।” দেব ঠিক কী টুইট করেছিলেন, যা নিয়ে এত আলোচনা? দেব টুইটে লিখেছিলেন, “এইবার তোমাকে মিস করব ‘নন্দন’। কোনও ব্যাপার না। আবার দেখা হবে। এখানেই গল্পের শেষ।” কিন্তু গল্পের যে শেষ হয়নি সে আঁচ পাওয়া গিয়েছিল গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতেই। নন্দনে ‘প্রজাপতি’ শো না পাওয়ায় শাসকদলকে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি নেত্রী কেয়া ঘোষ। তৃণমূলকে প্রতিহিংসা পরায়ণ দল বলে আক্রমণ করেন। এবার সরব রুদ্রনীল। জল কতদূর গড়ায় এখন সেটাই দেখার।