‘ডিভোর্সের হুমকি দিয়েছিল’, বিস্ফোরক প্রয়াত সঙ্গীত পরিচালক ওয়াজিদ খানের স্ত্রী
এর আগে ওয়াজিদের পরিবারের বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য চাপ সৃষ্টির অভিযোগ এনেছিলেন কমলরুখ।
প্রয়াত সঙ্গীত পরিচালক ওয়াজিদ খান এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক ওয়াজিদ খানের স্ত্রী কমলরুখ। তাঁর অভিযোগ, ২০১৪ সালে ডিভোর্সের জন্য তাঁকে বারংবার হুমকি দিয়েছিলেন প্রয়াত সঙ্গীত পরিচালক। এর আগে ওয়াজিদের পরিবারের বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য চাপ সৃষ্টির অভিযোগ এনেছিলেন কমলরুখ।
এক সাক্ষাৎকারে কমলরুখ জানান, বিচ্ছেদের প্রসঙ্গ বারবার এলেও তাঁদের মধ্যে কখনই আইনিবিচ্ছেদ হয়নি। তাঁর কথায়, “ওয়াজিদ খুব ভাল মানুষ ছিলেন। একজন নামী মিউজিশিয়ান। কিন্তু ওঁর একটাই দোষ ছিল। মনের জোর একেবারেই ছিল না। খুব তাড়াতাড়ি অন্যের কোথায় প্রভাবিত হয়ে যেত। দুই সন্তান হয়ে যাওয়ার পরেও খুব ঝামেলা হত আমাদের। দিন নেই, রাত নেই, ঝামেলা লেগেই থাকত। ঝামেলার অন্যতম প্রধান কারণ আমি ধর্ম পরিবর্তন করতে রাজি হয়নি। এর পরেই আমাকে ডিভোর্স করে দেওয়ার হুমকি দেয় ওয়াজিদ।”
কমলরুখের বক্তব্য অনুযায়ী, বিচ্ছেদের প্রসঙ্গ ওয়াজিদ নিজে থেকে তুললেও তাঁদের মধ্যে বিচ্ছেদের না হওয়ার কারণ ওয়াজিদ নিজেই তা চাননি। যদিও ২০১৪ থেকে আলাদাই থাকছেন তাঁরা। ওয়াজিদ থাকতেন তাঁর মায়ের সঙ্গে। অন্যদিকে দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতেন কমলরুখ। কমলরুখের দাবি, ওয়াজিদের কেরিয়ার খারাপ হয়ে যাবে এই ভেবেই এত দিন এ সব কথা প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ-অভিমান থাকলেও জীবনের শেষ কয়েক দিন তিনি যে খুব কষ্ট পেয়েছেন তা জানান স্ত্রী। শেষ সময়ে পরিবারকেও দেখতে পারেননি ওয়াজিদ, কারণ তিনি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
View this post on Instagram
গত মাসে এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে প্রথম বার ওয়াজিদ এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন কমলরুখ। ‘একটি পরিবার’ না হয়ে উঠতে পারার কারণ হিসেবে তিনি দায়ী করেছিলেন ওয়াজিদ এবং তাঁর পরিবারের ধর্মীয় গোঁড়ামিকে। কমলরুখ দাবি করেছিলেন, স্বামীর মৃত্যুর পরও তাঁর ১৬ বছরের মেয়ে এবং ৯ বছরের ছেলেকে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। পরিবর্তে ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য প্রভূত চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।”
ভালবেসে ‘স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টে’ বিয়ে করেছিলেন ওয়াজিদ এবং কমলরুখ। কমলরুখ ছিলেন পারসি, ওয়াজিদ মুসলিম। কিন্তু ভালবাসায় কাঁটা হয়েছিল ‘ধর্ম’। কমলরুখ লিখেছিলেন, সারা দেশে ধর্মান্তর বন্ধের আইন আনা হোক যাতে কোনও নারীকে নিজের ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপের মুখে না পড়তে হয়। যদিও এই গোটা ঘটনায় ওয়াজিদের পরিবারের তরফে মুখ খোলেননি কেউ। এ বছরের জুন মাসে মারা যান ওয়াজিদ খান। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে কোভিডও হয়েছিল তাঁর।