Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

প্রয়াত উত্তম, মরদেহের সামনে দাঁড়িয়ে সুচিত্রা বলেছিলেন এই ৩টি মাত্র শব্দ…

Uttam-Suchitra: সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় একবার এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন উত্তম-সুচিত্রার মধ্যে কোনও প্রেম ছিল না। ছিল এক নিখাদ বন্ধুত্ব। যে বন্ধুত্বের ব্যাখ্যা হয় না। নেই কোনও সংজ্ঞাও। যে বন্ধুত্ব ভেবেচিন্তে হয়নি কোনওদিনই। হয়ে গিয়েছিল অজান্তেই। ভাগ্যিস হয়েছিল! নয়তো এমন জুটি কি পেত বাংলা?

প্রয়াত উত্তম, মরদেহের সামনে দাঁড়িয়ে সুচিত্রা বলেছিলেন এই ৩টি মাত্র শব্দ...
Follow Us:
| Updated on: Jun 21, 2024 | 9:42 PM

তামাম দুনিয়ার কাছে তিনি ছিলেন সুচিত্রা সেন, দ্য সুচিত্রা সেন বললেও ভুল বলা হবে না। তবে মহানায়কের তিনি ছিলেন শুধুই রমা। সুচিত্রার বহু আগেই চলে যান উত্তমকুমার। সতীর্থ, বন্ধু, কাছের মানুষের এত কম বয়সে মৃত্যুর দিন হাজির হয়েছিলেন মহানায়িকা? কী বলেছিলেন মরদেহের সামনে? খোলসা করেছিলেন উত্তমের ভাইয়ের বউ সুব্রতা চট্টোপাধ্যায়। ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই মারা গিয়েছিলেন মহানায়ক। মহানায়িকার সঙ্গে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সখ্য ছিল বহুদিনের। যেদিন উত্তমকুমার মারা যান পরিবারের তরফে একটি ফোন গিয়েছিল সেই রমার কাছেও। তারপর?

আসা উচিৎ হবে কিনা তা নিয়ে কার্যত দ্বিধায় ছিলেন সুচিত্রা সেন। তবে না এসে পারেননি। হাতে রজনীগন্ধা। বাড়ির চৌকাঠ জুড়ে এক অদ্ভুত বিষণ্ণতা। চিরঘুমে উত্তম সামনে তাঁর রমা– প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উত্তম নিথর দেহের সামনে দাঁড়িয়ে রমা বলেছিলেন মাত্র তিনটি শব্দ… ‘হেরে গেলাম উত্তম’। তারপর ধীর গতিতে তাঁর পায়ের কাছে রেখেছিলেন রজনীগন্ধা থামিয়ে দিয়েছিলেন উত্তমপত্নী গৌরীদেবী। “অনেক ছবিতে তো গলায় পরিয়েছ, আজ কেন পায়ে? গলাতেই পরিয়ে দাও…’– বলেছিলেন তিনি। ওই কথাতেই নাকি গাম্ভীর্য ভেঙে হুহু করে জোয়ারের জল গড়িয়ে পড়েছিল তাঁর গাল দিয়ে।

সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় একবার এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন উত্তম-সুচিত্রার মধ্যে কোনও প্রেম ছিল না। ছিল এক নিখাদ বন্ধুত্ব। যে বন্ধুত্বের ব্যাখ্যা হয় না। নেই কোনও সংজ্ঞাও। যে বন্ধুত্ব ভেবেচিন্তে হয়নি কোনওদিনই। হয়ে গিয়েছিল অজান্তেই। ভাগ্যিস হয়েছিল! নয়তো এমন জুটি কি পেত বাংলা?