Mental health tips: সারাদিন নিস্তেজ ও মনমরা হওয়ার পেছনে রয়েছে আপনার কিছু বাজে অভ্যাস! সেগুলি কী কী…

Mental health: কোভিডের জেরে লকডাউনের কারণে অনেকক্ষেত্রে অনেক মানুষ কাজ হারিয়ে ফেলেছেন, বাড়িতে অফিস ও অন্যান্য কাজ করার ফলে খুব বেশি মাত্রায় বসে থেকেছেন। তাতে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর দারুণ প্রভাব বিস্তার করেছে।

Mental health tips: সারাদিন নিস্তেজ ও মনমরা হওয়ার পেছনে রয়েছে আপনার কিছু বাজে অভ্যাস! সেগুলি কী কী...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 23, 2022 | 11:49 PM

সকালে ওঠার পর থেকেই রুটিনমাফিক কাজ করতে থাকি। কিন্তু প্রতিদিনই যে একই অবস্থা থাকে তা কিন্তু মোটেই নয়। অজান্তেই নিস্তেজ (dull), অসৃজনশীল (uncreative) ও ক্লান্তিভাব ( exhausted)  তৈরি হয়। ক্রমশ সেটি বাড়তে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা এই ক্লান্তিময় জীবনযাত্রায় (repetitive habits) অভ্যস্ত হয়ে পড়ি।

এমন অভ্যাসগুলির মধ্যে সবার প্রথমেই আসে অতিরিক্ত চিন্তা করা। বছরের পর বছর ধরে নানারকম চিন্তার মধ্যে থাকে মানুষ। সেই সঙ্গে দিনের কয়েকঘণ্টা সেই চিন্তাতেই নষ্ট হয়ে যায়। তাতে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়া কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। উদ্বেগ বৃদ্ধি পেলে উত্‍পাদনশীলতা হ্রাস পায়। আমরা যখন অতিরিক্ত চিন্তা করি তখন মনোযোগের মাত্রা স্বাভাবিকভাবে কমে যায়। শুরু হয় মাথাব্যথা, শারীরিক ব্যথা, হজমের সমস্য়া।

আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা একটি নয়া গবেষণা করে জানতে পেরেছেন, কোভিডের জেরে লকডাউনের কারণে অনেকক্ষেত্রে অনেক মানুষ কাজ হারিয়ে ফেলেছেন, বাড়িতে অফিস ও অন্যান্য কাজ করার ফলে খুব বেশি মাত্রায় বসে থেকেছেন। তাতে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর দারুণ প্রভাব বিস্তার করেছে। এমনও দেখা গিয়েছে, নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। অতিরিক্ত চিন্তা করার অভ্যাসের ফলে সময় ও শক্তি দুটোই ক্ষয় হয়। যা পরবর্তীকালে আমাদের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলির সৃজনশীল সমাধান খুঁজে পেতে ব্যয় হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত চিন্তা আমাদের শুধুমাত্র মানসিক ক্লান্তির দিকেই নিয়ে যাবে।

অপর আরেকটি অভ্যাস, অত্যাধিক চিন্তাভাবনা থেকে উদ্ভূত হয় । ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া ও অতীত নিয়ে বেশিমাত্রায় চিন্তা করা। যখন কোনও উত্‍পাদনশীল কাজ করছেন না, বা বসে রয়েছেন, সেইসময় আপার মন অতিরিক্ত চিন্তা করে উদ্বিগ্ন করে তোলে। অতীত অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। আর সেই অতীত থেকে যে যে পাঠ আমাদের শেখা দরকার সেগুলি শিখে নিতে পারি। ভবিষ্যতের দিকে মনোনিবেশ করা উদ্বেগের একটি কারণ। একমাত্র জিনিস যা সত্যই বিদ্যমান তা হল এখন। অতীত বা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করার সময়, আমরা উপেক্ষা করছি বা এখনকে প্রতিরোধ করছি। আমরা বাস্তবতাকে অস্বীকার করছি এবং তা করতে গিয়ে নিজেদের অনেক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছি। এইভাবে, বর্তমান মুহূর্তটি ফলপ্রসূ কিছু করার জন্য বয়ে যায় অজান্তেই। এমনটাই মত ভাটিয়া হাসপাতালের মুম্বাইয়ের কনসালটেন্ট সাইকোলজিস্ট এবং ফ্যামিলি থেরাপিস্ট ড মায়া কৃপালনির।

আরেকটি কারণ হল, নিজেকে অসুখী করে রাখা। তাতে জীবন আরও নিস্তেজ করে তোলে। সৃজনশীলতা ও শেখার সুযোগ ছাড়াই একঘেয়ে দৈনন্দিন রুটিন অনুসরণ করা হয়। আবার এই রুটিনের মধ্যেও অনেকে ভাঙন ধরায়। তাতে মানসিক স্বাস্থ্যের দারুণ ক্ষতি হয়।

জীবনে সবসময় একটি স্বাস্থ্যকর সময়সূচি রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কখনও কখনও একই রুটিন মেনে চলায় নিস্তেজ হয়ে যায়। বিশেষ করে যখন কম মূল্যের কার্যকলাপে খুব বেশি সময় ব্যয় করছেন, ব্যক্তিগত সাফল্যকেও আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়, সেই সময় মানসিক স্বাস্থ্য হ্রাস করা। একঘেয়েমি শেষ করার একটি উপায় হল ফোকাস থাকা। এমন অবস্থায় নতুন কিছু শিখুন, যাতে মনে আনন্দ ও স্বতঃস্ফূর্ত মনোভাব তৈরি হয়। এমনটাই জানাচ্ছেন মনোবিজ্ঞানী।

এই অভ্যাসগুলি কাটিয়ে উঠবেন কীভাবে, রইল কিছু টিপস…

– বর্তমান মুহুর্তে থাকুন। আপনার অতীত নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করবেন না বা আপনার ভবিষ্যত নিয়ে আবেশে চিন্তা করবেন না। মনোযোগী হোন। বর্তমান মুহূর্তটি উপভোগ করুন।

– একটি নতুন কিছু শিখুন। শখ তৈরি করুন। ভিন্ন এবং সৃজনশীল কিছু করুন। নিজেকে শিথিল করবে না, আপনার মনকেও চটপটে রাখার চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুন: Yogurt for Baby: হাড় ও হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য ৬মাসের পর থেকে শিশুর ডায়েটে রাখুন দই! জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।