World Hypertension Day 2021: রোজ সকালে এই ৩ যোগা করলেই কমবে ব্লাড প্রেসার!
সকালে উঠে আধঘন্টা হাঁটাতে গা জ্বর চলে আসে! আধঘন্টা সাইক্লিং করলেও কমতে পারে ব্লাড প্রেসার। তাহলে ঘরে বসেই বেশ কয়েটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাসন করতে পারেন।
অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইল, অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপানের কারণে উচ্চরক্তচাপে আক্রাম্ত হতে পারেন আপনি। তা থেকে বাড়ে শ্বাসকষ্ট, কিডনির অসুখ, রক্ত জমাট বাধা, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক-সহ হৃদরোগের নানান সমস্যা। তবে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে রদবদলের দরকার জীবনের কিছু বাজে অভ্যেস। এই মারণ রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন যোগা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
সকালে উঠে আধঘন্টা হাঁটাতে গা জ্বর চলে আসে! আধঘন্টা সাইক্লিং করলেও কমতে পারে ব্লাড প্রেসার। ঘরে বসেও বেশ কয়েটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাসন করতে পারেন। তাতে উচ্চরক্তচাপ যেমন নিয়ন্ত্রণ হবে, তেমনি বাড়তি মেদ ঝরবে, পেশিতে শক্তি সঞ্চয় হবে, শরীর থাকবে ফিট। ১৭ মে বিশ্ব হাইপারটেনশন দিবস। এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি কয়েকটি ঘরে বসেই যোগ-ব্যায়াম করতে পারবেন, তার তিনটি যোগার পদ্ধতির কথা দেওয়া হল…
শবাসনা
এই পদ্ধতি অত্যন্ত সোজা। প্রিয়ও বটে। পা দুটি সমান রেখে সোজা হয়ে শুয়ে থাকুন। রিল্যাক্স থাকুন। চোখ বুজে পুরো শরীরের ভার ছেড়ে দিন। স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। আপনার দেহ, অঙ্গ ও কোষের প্রতিটি অংশে সমানভাবে কাজ করে এই সময়। চিন্তা-ভাবনাগুলি দূরে সরিয়ে রিল্যাক্স করুন। এই যোগার কারণে শরীরের স্নায়ুতন্ত্রগুলি স্বাভাবিক হয়। অন্যান্য যোগাসনের থেকে এটি অনেক সহজ ও কার্যকরী। শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও এই যোগাসন করতে পারেন। শবাসন করলে স্ট্রেস কমে, কোষগুলি সতেজ থাকে, মানসিক শান্তি মেলে। গর্ভবতীদের জন্যও বেশ ভালো। এই সময় নানারকম মানসিক সমস্যা শুরু হলে শুধু শবাসন করলেই চলবে, অন্য কোনও ওষুধ খাওয়ার দরকার পড়বে না।
প্রাণায়ম
এই যোগাও সকলের কাছে অত্যন্ত পরিচিত। প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বা ধ্যান করার মতো বসুন।, তারপর ধীরে ধীরে নাক দিয়ে যতটা সম্ভব নিঃশ্বাস নিন। যেমনি ভাবে নিঃশ্বাস নিয়েছেন ঠিক সেইভাবে শ্বাস ত্যাগ করুন। প্রাণের আায়াম। সঠিক নিয়ম মেনে স্বাস গ্রহণ, দারণ ও থ্যাগেন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমকেই প্রাণায়ম বলে। তবে ভরপেটে কোনও আসন করবেন না। প্রাণায়াম করাও উচিত নয়। ফুসফুসের ব্যায়াম, শ্বাসকষ্ট কমাতে, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত উপকারী। প্রাণায়ামের কারণে স্নায়ু অত্যন্ত সতেজ ও সক্রিয় থাকে। যে কোনও রোগের মূল আসন হিসেবে এই প্রাণায়াম করা উচিত।
ভুজঙ্গাসন
এটিও একটি সোজা যোগাসন। ভুজঙ্গ মানে সাপ। এই আসনকে কোবরা পোজও বলা হয়ে থাকে। সাপের ফনার মতো দেখতে লাগে বলে এই আসনটির নাম ভুজঙ্গাসন। প্রথমে পা দুটি জোড় অবস্থায় কোমড় থেকে মুখ পর্যন্ত হাতের উপর ভর করে উপরের দিতে তুলে ধরুন। মুখটি পিছনের ঝুঁকিয়ে রাখুন। ধীরে ধীরে শরীর নমনীয় হলে সঠিক ভঙ্গিতে আসনটি করুন। এই আসনটি করলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে তো আসবেই, স্লিপ ডিস্ক, স্পন্ডিলাইটিসের মতো রোগও সেরে ওঠে। মানসিক উদ্বেগ ও উত্তেজনা কমাতে এই আসনের জুড়ি মেলা ভার।