নিয়মিত মুরগির মাংস চাই-ই চাই! শরীরে কী মারাত্মক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, খোঁজ রাখেন?
শরীরের প্রয়োজনীয়তা অনুসারেই শক্তি ও প্রোটিনের জন্য চিকেন খাওয়া আবশ্যিক। কিন্তু সেই চিকেন যদি রোজই পাতে পড়ে, তাহলে তা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসেবে নানা সমস্যা দেখা দেয়।
ননভেজপ্রেমীদের সবচেয়ে প্রিয় খাবারের তালিকার শীর্ষে রয়েছে চিকেনের নানান পদ। স্টার্টারস থেকে মেইন কোর্স, সবেতেই থাকে চিকেনের আইটেম। শরীর সুস্থ রাখতে চিকেন একটি সুষম ও পুষ্টিকর খাবার। শরীরের প্রয়োজনীয়তা অনুসারেই শক্তি ও প্রোটিনের জন্য চিকেন খাওয়া আবশ্যিক। কিন্তু সেই চিকেন যদি রোজই পাতে পড়ে, তাহলে তা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসেবে নানা সমস্যা দেখা দেয়। আপনার যদি চিকেনের প্রতি দুর্বলতা থাকে, ও প্রতিদিনের ডায়েটে চিকেন মাস্ট, তাহলে তাঁদের জন্য এই প্রতিবেদন।
কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়- মুরগির সঠিক উপায়ে গ্রহণ করলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কখনও বেড়ে যায় না। কতটা পরিমাণ খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে। ডিপ-ফ্রায়েড চিকেনের মেনু যদি নিয়মিত পাতে পড়ে, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাবাবিকভাবেই বেড়ে যায়। চিকেন যদি খেতেই হয়, তাহলে গ্রিলড, সেদ্ধ, স্টির-ফ্রায়েড, বেকড চিকেন খেতে পারেন।
শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি- মুরগির মাংস একটি উচ্চতাপ-যুক্ত খাদ্য। চিকেনের যে কোনও পদ গ্রহণের পরেই স্বাভাবিকের তুলনায় শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। গ্রাষ্মকালে সবচেয়ে বেশি এই উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে নাকের উপর ঘাম জমে। নিয়মিত মুরগির মাংস খেলে শরীর গরম হয়ে নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে পারে। সপ্তাহে ১-২বার চিকেন খাওয়া ভাল।
ওজন বৃদ্ধি- নিয়মিত মুরগির মাংস খেলে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসেবে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে থাকে। চিকেন বিরিয়ানি, বাটার চিকেন, ফ্রায়েড চিকেন ও আরও মশলাদার চিকেনের রেসিপিতে উচ্চ-ক্যালোরির মাত্রা থাকায় শরীরে মেদ জমতে থাকে। এর ফলে ওজন বৃদ্ধি ও কোলেস্টেরলের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়।
UTI-এর সমস্যা বৃদ্ধি- সঠিকমানের মুরগির মাংস গ্রহণ না করলে মূত্রনালীতে সংক্রমণ হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মুরগির সঙ্গে ইকোলাই (Ecoli)নামক একটি নির্দিষ্ট স্ট্রইন শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে ও তার জেরে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে সংক্রমণের প্রবণতা দেখা যায়।