High Triglycerides: শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে বাড়লে হার্ট ফুটো হয়ে যেতে পারে, যে সব খাবার ভুল করেও নয়
How To Prevent Heart Attack: ফ্রুকটোজ বেশি আছে এমন কোনও খাবার খাওয়া চলবে না। এতে ওজন বাড়বে। শুধু তাই নয়, এতে ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে ওজন নিজের গতিতে বাড়তে থাকবে
কোলেস্টেরল হার্টের সবচেয়ে বড় শত্রু। যে কারণে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা দেখে রাখতে হয়। তা প্রয়োজনের তুলনায় বেড়ে গেলে খুবই সমস্যার হতে পারে। তবে অনেকেই জানেন না যে কোলেস্টেরলের থেকেও ক্ষতি কর হল ট্রাইগ্লিসারাইড। শরীরে যদি ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়ে তাহলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসতে পারে। কোনও ভাবেই ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়তে দেওয়া ঠিক নয়। ট্রাইগ্লিসারাইড হল হার্টের সমস্যার অন্যতম ইঙ্গিত। ট্রাইগ্লিসারাইড একপ্রকার চর্বি যা রক্তে জমা হয় আর শরীরকেও শক্তি দেয়। শিরায় অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড জমতে থাকা মোটেই ভাল ব্যাপার নয়। এতে বলা হয় হাইপারট্রাইগ্লিসারাইডেমিয়া। এর ফলে হঠাৎ করে মস্তিষ্কে, হৃৎপিণ্ডে, হাচতে-পায়ে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আর তা হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণও বটে।
ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়তে থাকলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যাও হতে পারে। আর প্রধান কারণ খাওয়াদাওয়া। অতিরিক্ত ক্যালোরির খাবার খেলে সমস্যা হবেই। সেই সঙ্গে তালিকাতে যদি এই সব খাবার থাকে তাহলে আরও বেশি মুশকিল। এর মধ্যে পয়লা নম্বরেই আছে মাটন। মাটনের মধ্যে চর্বি থাকে। সপ্তাহে একদিন করে খেলেই তা সরাসরি হার্টের চারপাশে জমতে শুরু করবে। রোজ খেলে তো কথাই নেই। মৃত্যু নিশ্চিত। মাটনের পাশাপাশি বিরিয়ানি, পোলাও, কষা মাংস এসবও খাওয়া চলবে না।
ফ্রুকটোজ বেশি আছে এমন কোনও খাবার খাওয়া চলবে না। এতে ওজন বাড়বে। শুধু তাই নয়, এতে ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে ওজন নিজের গতিতে বাড়তে থাকবে। কোল্ডড্রিংক, আইসক্রিম, মিষ্টি, আলু, ময়দার তৈরি খাবার বাদ দিতে হবে। চাউমিন, পাস্তা, বার্গার এসবের মধ্যে ট্রান্স ফ্যাট অনেক বেশি। অনেকেরই কাজের সঙ্গে মুখ চলতে থাকে। কাজের ফাঁকে চিপস, কফি, চকোলেট, চানাচুর, বিস্কুট এসব খেতে থাকলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এমন অনেকেই আছেন যাঁরা রোজ দুপুরে বাইরের খাবার খান। তেল-মশলাযুক্ত খাবার শরীরের জন্য ভয়ংকর। আমাদের রাজ্যে যে আবহাওয়া থাকে তাতে সহজপাচ্য কোনও খাবার ছাড়া হজম হওয়া মুশকিলের। তাই এই অভ্যাস ছাড়তে হবে।
খাওয়ার পর কোল্ডড্রিংক খাওয়ার অভ্যাস খুবই খারাপ। এতে হজম হয় না উল্টে রক্ত শর্করার পরিমাণ অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। সোডা ওয়াটার আর চিনি এই দুই এর মিশেলে যা তৈরি হয় তা শরীরের জন্য একরকম বিষ। মদ, মাংস, ফাস্টফুড, তেলেভাজা, মিষ্টি ছাড়তে না পারলে কোনও গতি নেই।