Cough Syrup: লাগবে না কফ সিরাপ, ঘরে থাকা এই ৫ ভেষজতেই সারবে বুকের জমে থাকা কফ

Home Remedies: মেথির জলও খুব ভাল কাজ করে। আগের রাতে মেথি ভিজিয়ে রেখে পরদিন তা ভাল করে ছেঁকে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার এই জল চুমুক দিয়ে খেতে থাকুন। অল্প অল্প চুমুকে খেলে কফ, কাশি , গলা ব্যথা এসব থেকে মুক্তি পেতে পারবেন

Cough Syrup: লাগবে না কফ সিরাপ, ঘরে থাকা এই ৫ ভেষজতেই সারবে বুকের জমে থাকা কফ
ঘরোয়া উপায়েই হবে প্রতিকার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2023 | 8:00 AM

ঘন ঘন আবহাওয়া পরিবর্তনে শরীর ঠিক রাখা দায় হয়ে পড়েছে। এই গরম লাগছে তো এই শীত। সব সময় যে একটানা ফ্যান চালিয়ে থাকা যাচ্ছে তাও নয়। সকালের দিকে ফ্যান অফ করতেই হবে। ঘাম, গরম, রাত জেগে ঠাকুর দেখা, অনিয়মের চক্করে প্রচুর মানুষ ঠান্ডা-সর্দির সমস্যায় ভুগছেন। নাক বন্ধ, নাক দিয়ে জল পড়ছে, কফ, সর্দি-কাশি কখনও জ্বর সব মিলিয়ে অবস্থার দফারফা। অনেকেই সপ্তমীতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে এমনঅ সর্দি-জ্বরে কাবু হয়ে পড়েছেন যে বাকি দিন বেরোতে পারেননি। এর  সঙ্গে বাড়ির কাজ, অফিসের কাজ এসব তো আছেই। এনন অনেকে আছেন যাঁরা এই পুজোয় একটাও ছুটি পাননি। তবে ঠান্ডা লাগলে আর সর্দি-কাশি হলে প্রথমেই কফ সিরাপ গলায় না ঢেলে কাজে লাগান এই সব ঘরোয়া টোটকা। এতে কাজ হবেই।

বাচ্চাদের এখনও ঘরোয়া টোটকাই প্রাথমিক দাওয়াই হিসেবে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে বানানো ঘরোয়া এই সব উপকরণেও সেরে যাবে সর্দি-কাশি।

সর্দি-কাশি দূর করতে খুব ভাল কাজ করে জিরা জল। একগ্লাস জলে বড় এক চামচ জিরা দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। শুকনো কাশি হলে গলা বেশি খুশখুশ করে, গলা শুকিয়ে যায় যার ফলে ফুসফুসের উপর চাপ বেশি পড়ে। এক্ষেত্রে জিরা জল দারুণ ভাল কাজ করে।

মেথির জলও খুব ভাল কাজ করে। আগের রাতে মেথি ভিজিয়ে রেখে পরদিন তা ভাল করে ছেঁকে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার এই জল চুমুক দিয়ে খেতে থাকুন। অল্প অল্প চুমুকে খেলে কফ, কাশি , গলা ব্যথা এসব থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।

শীতকালে আদা দিয়ে চা প্রায়শই খাওয়া হয়। আবার এখন শীত পড়তে শুরু করেছে। তাই রোজ অন্তত তিন কাপ করে আদা দিয়ে চা খান। এতে কাশি, কফ দূর হবে। গলার চুলকানি কমবে। এক ইঞ্চি আদা থেঁতো করে জলে ৫ মিনিট জলে দিয়ে ফুটিয়ে তারপর চা পাতা দিন। ছেঁকে নিয়ে খেলেই গলায় আরাম হবে।

আমলার রসও খুব ভাল। গলা ব্যথা, সর্দি, কাশির সমস্যা, চোখ ফোলা যে কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এই আমলার রসের কোনও তুলনা নেই। রোজ সকালে উঠে এক গ্লাস আমলার জুস খেলে শরীর সুস্থ থাকবেই।