Diabetes Drink: ডায়াবেটিসের রোগীরা খালি পেটে চা-কফির পরিবর্তে এই ৭ পানীয় খেলে সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে
Herbal drink for diabetes: মেথিও খুব ভাল কাজ করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে সেই জল ছেঁকে খান। নিয়মিত এই মেথি জল খেলেও সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে
বিশ্বজুড়ে ক্রমশই বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশে এই রোগের প্রকোপ সবচাইতে বেশি। এখানে প্রতি পাড়ায় প্রতি বাড়িতে মিলবে একজন করে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের খোঁজ। ২০২১ সালের একটি গবেষণা বলছে ভারতে এই মুহূর্তে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ ভুগছেন ডায়াবেটিসে। ডায়াবেটিস কখনই সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলা যায় না। একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। এমনকী ঠিক কি কারণে ডায়াবেটিস হয় তাও জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে। এর পাশাপাশি রোজ নিয়ম করে কিছু পানীয় খান। এতে সুগার যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকবে তেমনই পয়সা খরচ করে ওষুধও খেতে হবে না।
সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। অনেকেরই এই লেবুর জল খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে কিছু খাওয়ার পর সাধারণ জলে একটু লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন। ভাত, মিষ্টি, বিস্কুট এসব একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে। দুপুরে একটা মাছ বা দু পিস মাংস,স্যালাড, একবাটি ডাল খান। নুন-চিনি দুটোই বন্ধ করে দিতে পারলে সবচাইতে ভাল। এই ডিটক্স ওয়াটার রোজ খেলে অনেক রকম সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। সুগার হলে আর খাবার নিয়ন্ত্রণ করলে তাড়াতাড়ি রোগাও হবেন।
অ্যালোভেরার জুসও খুব ভাল কাজ করে। স্বাদে তেতো তবে অ্যালোভেরার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ইনসুলিন ক্ষরণে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে অ্যালোভেরা। সকালে খালি পেটে অ্যালোভেরার জুস খেলে রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবেই।
রোজ আমলকীর রসও খেতে পারেন। এর মধ্যে থাকে ভিটামিন সি। এছাড়াও থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করে। আমলার জুস আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়।
করলা খেতে তেতো বলে অনেকে খেতে চান না। তবে সুগারের ক্ষেত্রে এই করলার জুস খুব ভাল কাজ করে। খালিপেটে করোলা সেদ্ধ করে নিলে ভাল লাগে খেতে। যাঁরা ভাত খান তাঁরা ৩ চামচ ভাতের সঙ্গে মাঝারি সাইজের দুটো করলা সেদ্ধ করে খান। এতে সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে। ডায়াবেটিসের রোগীদের ভাতও মেপে খেতে হবে। ৪ থেকে ৫ চামচ ভাত মেপে খান।
মেথিও খুব ভাল কাজ করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে সেই জল ছেঁকে খান। নিয়মিত এই মেথি জল খেলেও সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে।