Air Pollution: বায়ুদূষণ ডেকে আনে হার্ট অ্যাটাক, বাড়াতে পারে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
Heart Attack: চোখ জ্বালা, শ্বাসকষ্টের সমস্যার পাশাপাশি বায়ুদূষণ ডেকে আনতে পারে হার্ট অ্যাটাক। বায়ু দূষণের কারণে শ্বাসজন্ত্রনে সমস্যা কোনও নতুন বিষয় নয়। আর এখান থেকেই বাড়বে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। পাশাপাশি দূষিত বাতাসে নিঃশ্বাস নিলে রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়তে পারে।
শনিবার সকালে দিল্লির বাতাসের গুণমান পৌঁছে গিয়েছে ৫০৪-এ। বিপদসীমা অতিক্রম হয়ে গিয়েছে। কলকাতায় বসে দিল্লির এই খবর না ভাবালেও, এই শহরের অবস্থাও খুব একটা ভাল নয়। কলকাতার বাতাসের গুণমান ১৫০-এর উপর। যা খুবই উদ্বেগজনক। আবার সামনেই দীপাবলি। আলোর রোশনায় বাড়বে বাতাসে দূষণের মাত্রাও। চোখ জ্বালা, শ্বাসকষ্টের সমস্যার পাশাপাশি বায়ুদূষণ ডেকে আনতে পারে হার্ট অ্যাটাক। বায়ু দূষণের কারণে শ্বাসজন্ত্রনে সমস্যা কোনও নতুন বিষয় নয়। আর এখান থেকেই বাড়বে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।
ক্ষুদ্র কণা ও গ্যাসের একটি জটিল সংমিশ্রণ এই বায়ুদূষণ। পার্টিকুলেট ম্যাটার (PM) এবং স্থল-স্তরের ওজ়োন দুটি প্রধান উপাদান। এই দূষকগুলি শ্বাসযন্ত্রের সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করতে পারে, যার ফলে প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হতে পারে। এটাই পরোক্ষভাবে কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। দূষিত বাতাসে নিঃশ্বাস নিলে রক্তচাপ বৃদ্ধি ও অনিয়মিত হৃদস্পন্দন হতে থাকে। পাশাপাশি এথেরোস্ক্লেরোসিসের ঝুঁকি বাড়ে। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে প্লেক তৈরির কারণে ধমনী সংকীর্ণ ও শক্ত হয়ে যায়। এখান থেকে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
যে সব ব্যক্তি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এবং করোনারি আর্টারি ডিজিজ রয়েছে, দূষিত বাতাসের সংস্পর্শে এলে তাঁদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি। দেহে যত বেশি প্রদাহ হবে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ধমনীতে থাকা প্লেকগুলোকে অস্থির করে তুলবে এবং এগুলো যে কোনও মুহূর্তে ফেটে যেতে পারে। এটি রক্ত জমাট বাঁধতে এবং হার্টে রক্ত প্রবাহে বাধা তৈরি করতে পারে। এর জেরেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। বায়ু দূষণ হয়তো সরাসরি হার্ট অ্যাটাক ডেকে আনে না। কিন্তু এসব উপায়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
প্রসঙ্গত, বায়ু দূষণের জেরে বাড়তে পারে রক্তে শর্করার মাত্রা। বিএমজে ওপেন ডায়াবেটিস রিসার্চ অ্যান্ড কেয়ার জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিকতম গবেষণা অনুযায়ী, বায়ুদূষণের পরিমাণ বাড়লে ওই অঞ্চলের মানুষের রক্তে শর্করার পরিমাণও বাড়ে। এখান থেকে শরীর থেকে বাসা বাঁধে টাইপ-২ ডায়াবেটিস। গত সাত বছর ধরে দিল্লি ও চেন্নাইয়ে ১২ হাজার মানুষের উপর করা এই গবেষণা ভারতীয়দের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। দিল্লি ও চেন্নাইয়ের বাতাসে পিএম ২.৫ তার থেকে ৩০ গুণ ছোট ধূলিকণা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটাই দেহে প্রবেশ করে একটি বিশেষ অবস্থা তৈরি করে, যা ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বন্ধ করে দেয় এবং জন্ম দেয় ডায়াবেটিস।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস থেকেও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই শীতের মরসুমে নাক-মুখ ঢেকে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ডায়াবেটিস হোক বা হার্ট অ্যাটাক, বায়ুদূষণের কারণে হওয়া রোগ এড়াতে চাইলে মাস্ক পরে থাকতে হবে।