Drinking Water: জল পান করার সময় আমরা এই সাধারণ ভুলগুলো করে থাকি, যার প্রভাব ক্ষতিকারক হয়…
জলে কৃত্রিম উপায়ে মিষ্টি মিশিয়ে খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খেতে রিফ্রেশিং মনে হলেও আসলে এটি শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী স্বাভাবিক জল পান করাই শরীরকে হাইড্রেট রাখার সবচেয়ে ভাল উপায়।
আমাদের শরীরের যাবতীয় কার্যকলাপ ঠিক রাখার জন্য হাইড্রেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য পুষ্টির মতোই, সুস্থতা বজায় রাখতে জল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সারা দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খাওয়া উচিত। কিন্তু জল খাওয়ার সময় কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হবে। জল খাওয়ার পদ্ধতিতে আমরা দৈনন্দিন কিছু সাধারণ ভুল করে থাকি। আর সে কারণেই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
১) ডাক্তার থেকে শুরু করে বয়সে যারা বড়, তাঁরা সবাই আমাদের দাঁড়িয়ে জল খাওয়ার বদলে বসে জল খাওয়ার পরামর্শ দেয়। কারণ, দাঁড়িয়ে জল খেলে উপকার তো হয়ই না, বরং স্নায়ুতে টান পড়ে, শরীরে তরলের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং বদহজমও হতে পারে। আয়ুর্বেদেও দাঁড়িয়ে জল না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আয়ুর্বেদ অনুসারে, দাঁড়িয়ে জল খেলে তা পেটের নীচের অংশে চলে যায়। যার ফলে শরীরে ঠিক মতো পুষ্টি পৌঁছায় না।
২) খুব তৃষ্ণার্ত থাকলে অনেক সময়ই আমাদের মধ্যে খুব তাড়াহুড়ো করে জল পান করার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি জল খেলে কিডনি এবং মূত্রাশয়ে চাপ পড়ে। ঠিক মতো হজমের জন্যও ধীরে ধীরে জল পান করা উচিত।
৩) অনেকেই ভাবেন যে বেশি খেলে বেশি লাভ হবে। কিন্তু অতিরিক্ত জল পান করার কোনও স্বাস্থ্যসম্মত উপকারিতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং অত্যধিক জল খেলে হাইপোনেট্রেমিয়া হতে পারে, যাকে ওয়াটার ইনটক্সিকেশনও বলা হয়। পাশাপাশি শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে মস্তিষ্ক ফুলে যায় এবং খিঁচুনি ও কোমার মতো সমস্যাও হতে পারে।
৪) ওজন কমাতে অনেককে ডায়েটে কম ক্যালোরি রাখার জন্য খাবার খাওয়ার ঠিক আগে জল পানের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এই তথ্যকে সঠিক বলে মানা হয় না। আয়ুর্বেদ অনুসারে, আমাদের পেট ৫০ শতাংশ খাবার, ২৫ শতাংশ জল দিয়ে ভরা উচিত। আর বাকি ২৫ শতাংশ হজমের জন্য খালি রাখতে হবে। তাই খাবার খাওয়ার ঠিক আগে জল খেলে শরীরে ঠিক মতো পুষ্টি যায় না। ফলে হজমের সমস্যা হয়।
৫) জলে কৃত্রিম উপায়ে মিষ্টি মিশিয়ে খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খেতে রিফ্রেশিং মনে হলেও আসলে এটি শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী স্বাভাবিক জল পান করাই শরীরকে হাইড্রেট রাখার সবচেয়ে ভাল উপায়।