Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

World Parkinson’s Day: পারকিনসন্সের এই কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ কিন্তু কোনও ভাবেই উপেক্ষা নয়…

Parkinson's disease: এই সমস্যা মূলত আসে বয়সকালে। মস্তিষ্কের অসাড়তা, হাত-পা নাড়তে না পারা, কোনও কিছু মনে রাখতে না পারা, স্মৃতিভ্রম এইসব হল এর প্রধান লক্ষণ। মহিলাদের তুলনায় পুরুষরাই বেশি আক্রান্ত হয় এই রোগে

World Parkinson's Day: পারকিনসন্সের এই কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ কিন্তু কোনও ভাবেই উপেক্ষা নয়...
প্রাথমিক ভাবে এই সব লক্ষণ মোটেই অবহেলা নয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 11, 2022 | 6:31 PM

পারকিনসন্স হল মূলত মস্তিষ্কের সমস্যা যা আসে বয়সকালে। মস্তিষ্কের এই সমস্যা থেকেই কাঁপুনি, হাত-পা কাঁপা, ঠিকমতো হাঁটতে না পারা, মস্তিষ্কের সমস্যা, চোখে কম দেখতে পাওয়া এসব একাধিক সমস্যা আসে। কোথাও গিয়ে নষ্ট হয়ে যায় শারীরিক ভারসাম্য। পারকিনসন্স ডিজিজ স্ট্যাটিস্টিকসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১ কোটি মানুষ এই রোগের শিকার।

একটা বয়সের পর আসে এই রোগ। কিন্তু এক্ষেত্রে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকটাই বেশি। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য সম্বন্ধে সচেতন করতে এবং এই রোগি সম্পর্কে মানুষ যাতে আরও বিশদে জানতে পারেন তার জন্যি কিন্তু ১১ এপ্রিল বিশ্ব পার্কিনসন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। মস্তিষ্কের বেসাল গ্যাংলিয়ার স্নায়ুকোশ আমাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে। আর এই স্নায়ুকোশগুলি ডোপামিন নামক মস্তিষ্কের রাসায়নিক একরকম উপাদানের সাহায্যে সরীরের গতিবিধি ঠিক রাখতে সংকেত পাঠায়। যখন এই স্নীয়ু কোশ দুর্বল হয়ে যায় তখন কিন্তু ডোপামিনের নিঃসরণও বন্দ হয়ে যায়। ফলে রোগী হাঁটা, ভারসাম্য হারানো, একেবারে নড়াচড়া করতে না পারা একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। ধীরে ধীরে শরীর সব রকম ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলে। এর প্রধান কারণ মস্তিষ্ক থেকে কোনও রকম সংকেত আসে না। এই রোগের যে সব লক্ষণ দেখা যায়-

হাত-পা চোয়ালে কাঁপুনি

অনেকেই হাত, বাহু, চোয়াল এবং মাথায় কম্পন অনুভব করে। এই কম্পনটি অনেকটা অনৈচ্ছিক ছন্দবদ্ধ কাঁপুনি বা শরীরে নড়াচড়ার মতো। চিবুক, ঠোঁট, মুখ এবং পায়ে কম্পন বা কম্পন অনুভূত হতে পারে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন ৪০ শতাংশ আক্রান্তের মধ্যেই প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে এই সব সমস্যা থাকে। কিন্তু এই কম্পন থেকে প্রথমে কেউই রোগ ধরতে পারেন না। সব সমস্যা কিন্তু আসে অনেকটাই পারে।

অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দৃঢ়তা

অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ শক্ত হয়ে যাওয়া এই রোগের প্রধান লক্ষণ। পারকিনসন্স ফাউন্ডেশনের তরফে যদিও জানা গিয়েছে, এই অনমনীয়তার লক্ষণ এই রোগের ক্ষেত্রে খুবই সাধারণ। প্রথমব ভাবে অনেকেই ভাবেন হয়তো আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগছেন। কিছু জনের ক্ষেত্রে পায়ের পেশি, কনুইয়ের পরবর্তী অংশ একেবারে শক্ত হয়ে যায়। এবং যে কারণে পাশ ফিরতে সমস্যা হয়.। পরবর্তীতে কিন্তু সেখান থেকে আসে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। এছাড়াও হতে পারে পেশির জয়েন্টে ব্যথা।

নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়

পারকিনসন্সের ক্ষেত্রে প্রথমে রোগীর গতি শ্লথ হয়ে যায়। খুব ধীরে ধীরে হাঁটাচলা করেন। পরবর্তীতে কিন্তু সেই ক্ষমতাও থাকে না। এই রোগের জন্য দায়ী আমাদের স্নায়ুকোশ। যেহেতু কোশগুলি শুকিয়ে যেতে শুরু করে তাই একজন ব্যক্তি তাঁর নাড়াচাড়া করার ক্ষমতা হারান। এই অবস্থাকে বলা হয় ব্র্যাডিকাইনোসিয়া। যা এই রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। আর এই রোগ হলে রোগী প্রায়শই নীচে পড়ে যান। ভারসাম্য থাকে না বলেই এই সমস্যা হয়।

এছাড়াও ঘ্রাণের অনুভূতি কমে যাওয়া, ঝুঁকে পড়া, মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, গলার আওয়াজ কমে যাওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া এইসবই এই রোগের লক্ষণ। এছাড়াও পার্কিনসনের সমস্যা হলে কিন্তু হাতের লেখা কেঁপে যায়। গুছিয়ে লেখা বা কথা বলা কোনওটাই যায় না।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।