World Diabetes Day: অবিবাহিত এবং ডায়াবিসে ভুগছেন? এখন থেকে এই সব টিপস মেনে না চললে ভবিষ্যতে ঘোর বিপদ!
World Diabetes Day 2022 Date: বিশ্ব জুড়ে ১৪ নভেম্বর দিনটিতে পালন করা হয় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। কিডনি আর হার্টের সমস্যা আসেই ডায়াবেটিস থাকলে। এছাড়াও সমস্যা হতে পারে সন্তানধারণে
বিশ্বজুড়ে নিঃশব্দ ঘাতকের মত ক্রমশই থাবা বসাচ্ছে ডায়াবেটিস। ছোট থেকে বড় সকলেই আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়াবেটিসে। ডায়াবেটিসে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্নায়ুর ক্ষতি হলে সেখান থেকে কিডনি, হার্ট আর মস্তিষ্কেও তার প্রভাব পড়ে। ১৫ বছর বয়স থেকেই আজকাল অনেকে ডায়াবেটিসের শিকার। জীবনযাত্রার কারণে এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাসের জন্ই আরও বেশি জাঁকিয়ে বসছে এসাধিক সমস্যা। এর মধ্যে প্রধান হল ফার্টিলিটির সমস্যা। ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের মধ্যেই আজকাল বেড়েছে এই সমস্যা। আর সন্তান ধারণ কমে যাওয়ার নেপথ্যে অন্যরকম কারণ হল এই ডায়াবেটিস।
মহিলা এবং পুরুষ উভয়ের মধ্যেই ফার্টিলিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিসের কারণে। ডায়াবেটিস থাকলেই সেখান থেকে PCOS এবং PCOD-এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে নারী পুরুষের যৌন ক্ষমতায় তার প্রভাব পড়ে। যেখান থেকে দেখা দেন প্রজননগত ত্রুটি। মহিলাদের ডিম্বানু তৈরি হয় না। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম পরিমাণে তৈরি হয়। একই ভাবে ছেলেদের শুক্রাণুর গুণগত মান খারাপ হয়। আর এই সব সমস্যা হলে সেখান থেকে ফার্টিলির সমস্যা অবধারিত।
ডায়াবেটিসের সঠিক কারণ কি তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে অগ্ন্যাশয় যখন কম পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি করে কিংবা যখন ইনসুলিন হরমোন একেবারেই তৈরি হয় না তখনই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এই অবস্থা হলে তখনই রক্ত পরীক্ষায় ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। শরীর সঠিক ভাবে ইনসুলিন ব্যবহার না করতে পারলে সেখান থেকে বেড়ে যায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি।
রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সঠিক ডায়েট মেনে চলা জরুরি। আর তাই ক্যালোরি মেপে খাবার খেতে হবে। খাবারের মধ্যে যাতে শর্করার পরিমাণ কম থাকে সেদিকেও নজর রাখুন। বেশি করে ফল, গোটা শস্য, ফল এসব রাখতে ভুলবেন না। স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ফার্টিলিটির সমস্যাও কমিয়ে ফেলা যায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে অর্থাৎ ডায়াবেটিসের সমস্যা হলে নিয়মিত ভাবে ব্যায়াম করুন। এছাড়াও ৩০ মিনিট শরীরচর্চা খুব জরুরি। শরীরচর্চার সময় না পেলে নিয়ম করে হাঁটতে ভুলবেন না। এছাড়াও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। মানসিক চাপ বেশি হলে সেখান থেকেও আসে ডায়াবেটিসের সমস্যা। কারণ মানসিক চাপ বাড়লে কর্টিসোল হরমোনের উৎপাদন বাড়ে। যা অন্যান্য গোনাডোট্রপিন হরমোনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ফলে সন্তান ধারণে সমস্যা হয়। এছাড়াও ডায়াবেটিস থাকলে সেখান থেকে নার্ভের সমস্যা, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ে। আর তাই আগে থেকেই সাবধান থাকতে হবে।