COVID 4th wave: কেন ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কোভিড? যা জানানো হয়েছে WHO-এর তরফে

COVID-19: দেশ জুড়েই বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোভিড মৃত্যুও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন কোভিডের চতুর্থ ঢেউ আসন্ন। জানুন যা জানাচ্ছে WHO...

COVID 4th wave: কেন ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কোভিড? যা জানানো হয়েছে WHO-এর তরফে
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 29, 2022 | 6:56 PM

Coronavirus: ফের দেশে বেড়েই চলেছে কোভিডের সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে যেমন জানানো হয়েছে,গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩৭৭ জন। মার্চের মাঝামাঝি সময়ের পর এটি সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। একদিনে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ৭২ হাজার ১৭৬।গতকালই তিন হাজারের গণ্ডি পার করেছিল দৈনিক সংক্রমণ। একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩৩০৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ সামান্য বেড়ে ৩৩৭৭-এ পৌঁছয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, একদিনে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৮২১। এই নিয়ে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৮০১-এ। এখনও পর্যন্ত যত জন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যুর খবর এসেছে তাঁরা সকলেই কর্নাটকের বাসিন্দা।

গত ফেব্রুয়ারিতে ওমিক্রনের তৃতীয় ঢেউ পেরিয়ে অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার হয়তো মুক্তি পাওয়া যাবে কোভিড সংক্রমণের হাত থেকে। সেই সঙ্গে কোভিড গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ায় অনেকেই মন থেকে স্বস্তি পেয়েছিলেন। জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে ভিড বাড়তে থাকে পর্যটকদের। মাস্ক ছাড়াই পথে-ঘাটে দেখা যায় মানুষকে। সেই সঙ্গে মেনে চলা হয়নি সামাজিক দূরত্ববিধিও। স্কুল, অফিস আবার সব খুলতে শুরু করেছে। পুরনো জীবনে আবার যখন মানুষ একটু একটু করে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছেন ঠিক তখনই বাড়তে শুরু করল সংক্রমণ। মার্চ থেকেই চিন-সহ দক্ষিণ কোরিয়ায় বাড়তে শুরু করেছিল করোনার সংক্রমণ। ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট XE-কেই এই সংক্রমণের জন্য দায়ী করা হয়েছিল। এশিয়া এবং ইউরোপেও বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। প্রথম থেকে ভারত ব্যাকফুটে থাকলেও বর্তমানে আমাদের দেশেও কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী।

কিন্তু কেন আসছে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে যেমন জানানো হয়েছে, কোভিডের এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট যা XE- নামে পরিচিত এবং ওমিক্রনের এই সাবভ্যারিয়েন্ট BA.2 এর তুলনায় অনেকগুণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট যে ওমিক্রনের তুলনায় ১০ গুণ সংক্রামক তা আগেই জানিয়েছেন WHO-এর বিশেষজ্ঞরা। কোভিডের এই সাবভ্যারিয়েন্ট অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং এর জন্য কিন্তু মানুষের উদাসীনতাকেই দায়ী করা হয়েছে। সামান্য সর্দি, কাশির সমস্যাও অনেকে এড়িয়ে গিয়েছেন। যথাযথ কোভিড পরীক্ষা হয়নি। যে কারণেই বর্তমানে বাড়ছে সংক্রমণ। এমনটাই মনে করেন WHO-এর অধিকর্তারা। সেই সঙ্গে সংক্রমণ কতটা গুরুতর এই বিষয়েও সঠিক কোনও তথ্য আসছে না। আর সংক্রমণের এই বাড়-বাড়ন্তই ভয় ধরাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের মনে। কারণ ভাইরাসটি কতখানি ভয়ানক সেই সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট কোনও তথ্য নেই বিশেষজ্ঞদের কাছে।

আর তাই এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আপনার যা করণীয়- 

করোনাকে হালকা ভাবে নেবেন না- কোভিডের একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। যাঁদের শরীরে মৃদু সংক্রমণ ছিল বা যাদের ভাইরৈল লোড কম ছিল তাঁরা কিন্তু প্রত্যেকেই  ভুগছেন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়। আর তাই সর্দি-কাশি হলে চেপে রাখবেন না। মাস্ক পরুন। নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখুন। বিশেষত বাড়ির বয়স্ক ও শিশুদের থেকে দূরে থাকুন। একমাত্র আমরাই কিন্তু পারি কোভিডের এই তৃতীয় ঢেউকে রুখতে।

সকলের টিকাকরণ নিশ্চিত করুন। মাস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। অকারণে ভিড় এডিয়ে চলুন।

নিজে সতর্ক থাকুন, সেই সঙ্গে পাশের জনকেও সতর্ক করুন। ঠান্ডা গরমেও সর্দি জ্বর হতে পারে। ফলে প্রথম থেকেই অযথা আতঙ্ক তৈরি করবেন না। তিনদিনের বেশি জ্বর থাকলে অবশ্যই কোভিড পরীক্ষা করাবেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: Coronavirus: ১০ জনের মধ্যে মাত্র ৬ জনই ফি বছর আক্রান্ত হতে পারেন কোভিডে, কেন জানেন…