COVID-19 symptoms: চোখের সমস্যা, গলার স্বর ভেঙে গেলে উপেক্ষা করবেন না!
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে বাংলা-সহ দেশে। সোমবার কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত প্রায় ১১০০। ভোটের আবহ, তার মধ্যেই বাংলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে ব্রাজিলকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত। দৈনিক আক্রান্তের হারে ভারত এখন বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। চিকিত্সকদের মতে, যেভাবে রূপ বদলে দ্বিতীয় বার হানা দিয়েছে, তাতে আক্রান্তের সংখ্যা চারগুণ বাড়তে পারে। তাই শুধু জ্বর, গা-হাতে ব্যাথা, সর্দি কিংবা গলা ব্যাথা হলেই যে আপনি আক্রান্ত হয়েছেন তা নয়। নয়া স্ট্রেন করোনাভাইরাসের জেরে ডায়েরিয়া, তলপেটে প্রবল ব্যাথা, ঘন ঘন বমি হওয়া, মাথা ঘোরা– এইসব উপসর্গও দেখা দিচ্ছে। এই ছোট ছোট উপসর্গগুলি কখনওই এড়িয়ে যাবেন না।
ইন্টারন্যাশানাল জার্নাল অফ অডিয়োলজির একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, কোভিড সংক্রমণের জেরে কানের সমস্যা, চোখের সমস্যা, মানসিক সমস্যা উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে।
স্বাদ চলে যাওয়া
জ্বল-সর্দি-কাশির পাশাপাশি জেভের স্বাদ চলে গেলে বুঝবেন আপনি করোনা আক্রান্ত।
চোখ লাল হয়ে যাওয়া
চোখে লাল ভাব বা কনজাংকটিভিটিসের মতো উপসর্গ ভাইরাল সংক্রমণের লক্ষণ। চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়া, লাল হয়ে ফুলে ওঠার মতো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
বিভ্রান্ত তৈরি হওয়া
নয়া সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনার নয়া স্ট্রেনের প্রভাব পড়ছে মস্তিষ্কের উপরও। ভুলে যাওয়া, কথা বলতে বলতে খেই হারিয়ে যাওয়া, বিভ্রান্ত তৈরি হওয়ার মতো পরিস্থিতি হলে হালকাভাবে নেবেন না।
কাশি সঙ্গে সঙ্গে গলার স্বর পাল্টে যাওয়া
যে কোনও ভাইরাস দেহে প্রবেশ করলে প্রথমে শ্বাসনালীতে গিয়ে প্রভাব ফেলে। করোনাভাইরাসও ব্যাতিক্রম নয়। প্রথম প্রথম গলা ব্যাথা, অল্প কাশি হলে গুরুত্ব দেন না অনেকেই। কাশির সঙ্গে গলার স্বর অন্যরকম হলে, ডাক্তারের পরামর্শ নিন।