Dengue D2 Variation: রাজ্যজুড়ে ভয়াবহ ডেং-২-এর সংক্রমণ, ডেঙ্গি জ্বরে বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা

Dengue Outbreak in West Bengal: ডেঙ্গির ডেং-২ প্রজাতি যদি ভয়াবহ রূপধারণ করে তাহলে মৃত্যুমিছিল দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা।

Dengue D2 Variation: রাজ্যজুড়ে ভয়াবহ ডেং-২-এর সংক্রমণ, ডেঙ্গি জ্বরে বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2022 | 2:07 PM

পুজোর আগে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ার দিক থেকে ডেঙ্গির সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ২০১৯ সালের পর গত পাঁচ বছরের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু এবার চোখ রাঙাচ্ছে ডেং-২, অর্থাৎ ডেঙ্গির অন্যতম ভয়াবহ স্ট্রেন।

ডেঙ্গির মূলত চারটি স্ট্রেন। ডেং-১, ডেং-২, ডেং-৩, ডেং-৪। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হল ডেং-২ ও ডেং-৪। তুলনায় সবচেয়ে বেশি নিরীহ ডেং-১ এবং ডেং-৩। চলতি বছরে যখন প্রথম ডেঙ্গির সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল তখন স্ট্রেন ছিল ডেং-৩। তাই এ নিয়ে খুব বেশি ভয় পাননি স্বাস্থ্যকর্তারা। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে ডেং-২। এই ডেং-২ এবং ডেং-৪ যদি ভয়াবহ রূপধারণ করে তাহলে মৃত্যুমিছিল দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেং-২ ডেঙ্গির চারটি স্ট্রেনের তুলনায় সবচেয়ে ভয়াবহ। এই ডেং-২-এর সংক্রমণে মানুষের মৃত্যু অবধি হতে পারে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০১৯-এ ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। সেই বছরও দেখা গিয়েছিল ডেং-২। ২০১৯ এ রোগীর আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়ে গিয়েছিল ২০ হাজার। আর মৃতের সংখ্যা ১০০-এরও বেশি। ২০২২-এর পরিস্থিতিও সন্তোষজনক। রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা চলতি মাসের গোড়াতেই আট হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি রয়েছে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিং।

ডেঙ্গির প্রকোপ রুখতে ইতিমধ্যেই পুরসভা, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কলকাতা পুরসভার ২৫টি ডেঙ্গিপ্রবণ ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে ফিভার ক্যাম্প। ওড়ানো হচ্ছে ড্রোন। শহরের চারটি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা ডেঙ্গি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে শয্যা সংখ্যাও। ডেঙ্গির সেরোটাইপিং পরীক্ষা করানো হচ্ছে নাইসেড ও স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে।

নাইসেড সূত্রে খবর অনুযায়ী, চলতি বছরে ডেং-৩ সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এখন ডেং-৩ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশ। পাশাপাশি রাজ্যে ডেং-২ সংক্রমণ প্রায় ২০ শতাংশের কাছাকাছি। ডেং-১ এবং ডেং-৪ স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে যথাক্রমে ৭ ও ৪ শতাংশের কাছাকাছি। ডেং-২ সংক্রমণে ডেঙ্গি শক সিন্ড্রোম এবং প্লেটলেট কাউন্টে পতন বেশি দেখা যায়। তাই ডেঙ্গির প্রকোপ রুখতে গেলে সতর্ক হতে হবে সাধারণ মানুষকেই।

যে ভাবে ডেঙ্গির ডেং-২ স্ট্রেন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে তাতে আরও বেশি সতর্ক হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জ্বর হলে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। জ্বর এলে দ্রুত এনএস-১ টেস্টের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে চিকিৎসকদের মতে,কোন প্রজাতির ডেঙ্গি তা দেখে চিকিৎসা পদ্ধতি আলাদা হয়ে যায় না। সুতরাং, যদি কোনও ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়ে তাহলে দেরি না করে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে।