Women Health: নিয়ম মেনে ডায়েট করার পরও বাড়ছে ওজন, সঙ্গে ত্বকের শুষ্কতা, থাইরয়েডের সমস্যা নয় তো!

লকডাউন পরবর্তী সময়ে মেয়েদের মধ্যে বেড়েছে থাইরয়েডের প্রবণতা। বিশেষত ২৫-৩০ বছরের মধ্যে। তবে সমস্যা হল অনেক মেয়েই সময়ে থাইরয়েডের পরীক্ষা করেন না। যে কারণে বাড়ছে ইনফার্টিলির সমস্যা

Women Health: নিয়ম মেনে ডায়েট করার পরও বাড়ছে ওজন, সঙ্গে ত্বকের শুষ্কতা, থাইরয়েডের সমস্যা নয় তো!
থাইরয়েডের জন্য মেয়েদের মধ্যে বাড়ছে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 19, 2022 | 11:17 PM

আজকাল ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল , হাইপারটেনশনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে থাইরয়েডের সমস্যাও। ‘হাইপারথাইরয়েডিজম’ (hypothyroidism) ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’ (hyperthyroidism)- এই দুই কিন্তু হরমোনের অসামঞ্জস্যতার কারণেই আসে। কোভিড পরবর্তী সময়ে হরমোনের সমস্যায় বেশি ভুগছেন মেয়েরা। যেখান থেকে বেড়েছে থাইরয়েডের সমস্যা। থাইরয়েডের সমস্যা থাকা মানেই কিন্তু সেখান থেকে ওজন বেড়ে যাওয়া, ত্বকের সমস্যা, ইনফার্টিলিটি (infertility), হার্টের সমস্যা এসব আসেই।

যে কারণে সময়মতো থাইরয়েডের পরীক্ষা এবং চিকিৎসা প্রয়োজন। যদি থাইরয়েড ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ শুরু করতে হবে। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেই কিন্তু সেখান থেকে আসে বন্ধ্যাত্য জনিত সমস্যা। সময়ে ডিম্বানু নির্গত হয় না। যে কারণে তখন গর্ভধারণ খুবই অসুবিধার হয়ে দাঁড়ায়।

ভারতে থাইরয়েডের প্রকোপ বাড়ছে। এর কারণ কিন্তু সচেতনতার অভাব। থাইরয়েড হরমোন আমাদের শরীরে অনেকরকম কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে রাখে। হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ক্যালোরি খরচা করতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই থাইরয়েড হরমোনের। থাইরয়েডের সমস্যা হলে হয় থাইরয়েড গ্রন্থি বেশি হরমোন উৎপাদন করে নয়ত কম পরিমাণে উৎপাদন করে। হাইপোথাইরয়েডিজমের ক্ষেত্রে কম পরিমাণ হরমোন তৈরি হয়।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহিলাদের মধ্যে কিন্তু হাইপোথাইরয়েডিজমের প্রকোপ বেশি। প্রতি ১০ জন মহিলার মধ্যে একজন কিন্তু এই সমস্যায় ভুগছেন। লকডাউন ও অতিমারীর সময়ে সেই সংখ্যাটা বেড়েছে অনেকটাই। এমনকী ২০২০-এর তুলনায় ২০২১-এ সেই সংখ্যাটা কিন্তু অনেকটাই বেশি। আর সমস্যা হল মহিলারা নিজেরাও জানেন না যে তাঁরা থাইরয়েডের শিকার।

৩০-৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যে কিন্তু এই সমস্যা অনেকটাই বেশি। এমনকী এই কারণে গর্ভপাতের সংখ্যাও বেড়েছে। আজকাল ২৫ বছর বয়স থেকেই বেশিরভাগ মেয়ে থাইরয়েডের শিকার। আর এর কারণ হল জীবনযাত্রা এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ। থাইরয়েডের সমস্যা বাড়লে কিন্তু প্রথমেই প্রভাব পড়ে মাসিকে। থাইরয়েডের জন্যই কিন্তু অনিয়মিত পিরিয়ডসের সমস্যা কিংবা অতিরিক্ত রক্তপাতের মত সমস্যা আসে। অনেক সময় থাইরয়েডের কারণে মাসিক দীর্ঘদিন পিছিয়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় এই সব সমস্যা আসলে কিন্তু গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।

থাইরয়েডের সমস্যা থেকে ওজন বেড়ে যাওয়ার মত উপসর্গ যেমন আসে তেমনই কিন্তু হার্টের সমস্যাও আসে। হতে পারে হার্ট ফেলিওর। সেই সঙ্গে স্নায়ুর সমস্যা, সব সময় অস্থির লাগা, বিরক্ত বোধ হওয়া, বিষণ্ণতা, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়া, নখ ভেঙে যাওয়া এই সবও চলতে থাকে। থাইরয়েড কিন্তু শরীরের বিপাক, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেখান থেকে পরবর্তীতে মাসিক, ফুসফুস এবং হার্টের উপরেও কিন্তু চাপ পড়ে। মহিলাদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি। আর এর জন্য কিন্তু বাড়ছে ইনফার্টিলির সমস্যাও। যে বিষয় নিয়ে বার বার সচেতন করতে চাইছেন চিকিৎসকরা। তাই মেয়েদের বছরে অন্তত একবার অবশ্যই থাইরয়েদের পরীক্ষা করানো দরকার।

আরও পড়ুন: Long term COVID-19: কোভিডের দীর্ঘমেয়াদি এই সব সমস্যা বরাবরই থাকে অন্তরালে…