Doctors Suggestion: শরীরে ক্লান্তি, বমি-বমিভাব, পেটে ব্যাথা! সাবধান, আপনি এই রোগে ভুগছেন না তো! কী বলছেন ডাক্তার
Jaundice - বিলিরুবিন গ্লুকোরোনাইট লিভার কোষ থেকে বেরিয়ে আসে এবং বাইল-ক্যানালিকুলাইযের মধ্যে দিয়ে পিত্তর সঙ্গে মিশে যায়। তখন শরীরে যে অবস্থা দেখা দেয়, তাকে আমরা জন্ডিস বলে থাকি। এবার এই নিয়েই বিস্তারিত তথ্য দিলেন প্রফেসর ডাক্তার এনাক্ষী ঘোষ (Dr Enakshi Ghosh, Associate professor, MJN Medical college)।
জন্ডিস, খুব স্বাভাবিকভাবেই এই রোগকে নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্নে থাকে। মানুষের শরীরে একটা পিগমেন্ট থাকে, যার নাম হচ্ছে বিলিরুবিন। সেই বিলিরুবিন তৈরি হয় হিমগ্লোবিন, আমাদের রক্তে যে লাল রক্তকণিকা থাকে তা ভেঙে গিয়ে বায়ো-কেমিক্যাল প্রসেসে কতগুলো পিগমেন্ট তৈরি হয়। সেই পিগমেন্টসগুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে বিলিরুবিন। আসলে কি হয়, যখন জন্ডিস হয়, আমাদের দেহের মধ্যে ঘটতে থাকা মেকানিজমগুলোর মধ্যে লাল রক্ত কণিকা তৈরি হওয়ার যে পদ্ধতি, সেটা কোনও কারণে ব্যহত হয়। যার ফলে লাল রক্তকণিকাগুলো ভেঙে যেতে থাকে। এর থেকেই একটা সাবসটেন্স বেরোয়, যার নাম হচ্ছে হিম। বিলিভাডিন তা পরিবর্তিত হয় বিলিরুবিনে।
জন্ডিসের সময় যে ধরনের বিলিরুবিন রক্তে পাওয়া যায় তা হচ্ছে আন-কনজুগেটেড। এই আন-কনজুগেটেড বিলিরুবিন রক্তে মিশে যায় লাল রক্ত কণিকা ভাঙার পর, আর তা সরাসরি লিভার কোষে চলে যায়। এরপর আন-কনজুগেটেড বিলিরুবিনের ওপর বিভিন্ন কেমিক্যাল রিয়্যাকশন হয়। একেই বিলিরুবিন গ্লুকোরোনাইট বলা হয়। এই বিলিরুবিন গ্লুকোরোনাইট লিভার কোষ থেকে বেরিয়ে আসে এবং বাইল-ক্যানালিকুলাইযের মধ্যে দিয়ে পিত্তর সঙ্গে মিশে যায়। তখন শরীরে যে অবস্থা দেখা দেয়, তাকে আমরা জন্ডিস বলে থাকি। এবার এই নিয়েই বিস্তারিত তথ্য দিলেন প্রফেসর ডাক্তার এনাক্ষী ঘোষ (Dr Enakshi Ghosh, Associate professor, MJN Medical college)।
জন্ডিসের প্রাথমিক লক্ষণ-
প্রথমেই যা দেখা যায়, তা হল ক্লান্তি অনুভূত হওয়া;
খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়;
বিলিরুবিন বেড়ে গেলে চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়;
শরীরে ব়্যাশ ও চুলকানি হওয়া;
সব সময় বমি-বমিভাব অনুভুত হওয়া;
পেট ব্যাথার সমস্যা দেখা দেয় (যখন অতিরিক্ত সমস্যার পর্যায় পৌঁছে যায়);
জন্ডিস সাধারণত কেন হয়-
বিলিরুবিন তৈরি হচ্ছে বেশি ;
লিভার কোষের বিলিরুবিন গ্রহণ করার ক্ষমতা যাওয়া;
জন্ডিস কত রকমের হয়! সাধারণ জন্ডিসকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় হেপাটাইটিস। এর আবার ভাগ আছে যথারীতি এ, বি, সি, এছাড়াও আরও অনেক নতুন ভাগ তৈরি হচ্ছে।
এই সময় কী-কী করা উচিত-
উল্লিখত সমস্যা দেখা দিলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে;
পাশাপাশি জল বেশি পরিমাণে পান করতে হবে;
জল ফুঁটিয়ে পান করতে হবে;
হালকা খাবার খেতে হবে;
বাড়ির রান্না খাবার খেতে হবে ;
বিশ্রামে থাকতে হবে;
বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ কিছু দিনের জন্য রোদ লাগানো যাবে না;
ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ;
বিলিরুবিনের মাত্রা অনুযায়ী ডাক্তারেরা ওষুধ দিয়ে থাকেন;
কীভাবে জন্ডিস এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব-
রাস্তার জল, শরবৎ, কাটা ফল খেয়ে নেওয়া, রাস্তার খোলা খাবার খেয়ে নেওয়া, সঙ্গে জল রাখতে হবে, কোনও পানীয় পান করা যাবে না। তাতেই জন্ডিস এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন- Women Health: PCOS-এর সঙ্গে লড়াই? রোজকার জীবনযাপনে এই কয়েকটি পরিবর্তন আনলেই সুস্থ থাকবেন!