World Asthma Day 2022: শিশু বয়সের এই সব লক্ষণই বলে দেবে আপনি অ্যাজমায় আক্রান্ত হতে পারেন কি না…
Asthma problem: অ্যাসপিরিন, এনএসএআইডি , আইবুপ্রোফেন, ডাইক্লোফেনাক এবং নিয়মিত ভাবে উচ্চরক্তচাপের ওষুধ খেলে সেখান থেকেও কিন্তু আসতে পারে অ্যাজমার সমস্যা। নিয়মিত ভাবে যাঁরা ধূমপান, মদ্যপান করেন তাঁদের শ্বাসকষ্টের সম্ভাবনা কিন্তু প্রবল...
পরিবেশ দূষণের কারণে কয়েক বছর ধরেই বেড়েছে হাঁপানির সমস্যা। সদ্যোজাতরাও যেমন আক্রান্ত হচ্ছে তেমনই প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও হঠাৎ করে আসতে পারে এই সমস্যা। কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর অনেকেই যেমন আক্রান্ত হয়েছেন অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়। আবার কিছুজনের ক্ষেত্রে এই সমস্যা পুরোপুরি জিনগত। তবে ৭০ শতাংশ অ্যাজমার ক্ষেত্রে কিন্তু দায়ী অ্যালার্জি। আবার অনেকের ক্ষেত্রে সারাবছর সর্দির সমস্যা হয় আর সেখান থেকেও কিন্তু আসে এই অ্যাজমার সমস্যা। গত দু’বছর একটানা মাস্ক ব্যবহার করায় অনেকেই কিন্তু তুলনায় কম এই সমস্যায় ভুগেছেন। হাঁপানির প্রধান কারণ হল আবহাওয়ার পরিবর্তন। এছাড়াও ফুলের পরাগ, পশুপাখির লোম সেখান থেকেও কিন্তু আসে এই হ্যাপানি বা অ্যাজমার সমস্যা। কিছু জনের আবার অ্যালার্জি থাকে সুগন্ধীতে। এছাড়াও আরও যে সব সমস্যা থেকে আসতে পারে হাঁপানি বা অ্যাজমার সমস্যা-
মানসিক চাপ- দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ থেকেও বাড়তে পারে হাঁপানির সমস্যা। এছাড়াওল যাঁকা স্নায়ুর চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ খান, তাঁদের মধ্যে অ্যাজমার সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ধোঁয়ার মধ্যে বেশি সময় থাকলে- অনেককেই কাজের প্রয়োজনে ধোঁয়া, ধুলোর মধ্যে বেশি সময় কাটাতে হয়। বিশেষ করে কলকারখানার শ্রমিকদের। আর তাই তাদের মধ্যে কিন্তু এই অ্যাজমার সমস্যার প্রবণতাও বেশি। দিনের পর দিন ধুলোর মধ্যে থেকে কাজ করায় ফুসফুসে ধুলোর আস্তরণ পড়ে যায়। আর তাই এই সব মানুষকে বিশেষ ভাবে সচেতন থাকতে হবে।
ভাইরাসঘটিত সংক্রমণ- অনেক সময় কোনও ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণ থেকেও কিন্তু এই অ্যাজমার সমস্যা আসে। ঋতু পরিবর্তনের সময় ভাইরাসগুলি অনেক বেশি সক্রিয় থাকে। আর সেখান থেকেও হতে পারে সমস্যা। এই সমস্যা এড়াতে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম রয়েছে। জোর করে শরীরচর্চা বা অতিরিক্ত জিম কিন্তু করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে।
অতিরিক্ত সুগন্ধীর মধ্যে থাকবেন না- পারফিউম বা সুগন্ধি থেকেও অনেকের এই সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে কিন্তু নিজেকেই সচেতন হতে হবে। তীব্র কোনও সুগন্ধি বা বডি স্প্রে তাঁরা যেমন ব্যবহার করবেন না তেমনই কিন্তু বাড়িতে ধূপ জ্বালাও ঠিক নয়। ধূপের ধোঁওয়া থেকেও এই এরই সমস্যা হতে পারে।
কী ভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন?
এক্ষেত্রে নিজের চিকিৎসা নিজে না করে চিকিৎসকে পরামর্শ নিন। প্রয়োজনমতো এবং সময় মেনে ওষুধ খান। হাঁপানি রোগীরা ভুলে যান যে এই সমস্যার স্থায়ী কোনও নিরাময় নেই। একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। তাই ওষুধ খেয়ে ভাল থাকলেই অনেকে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। যা ভীষণ রকম ভুল। এছাড়াও ওষুধের ডোজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত কী ওষুধ খাবেন এবং ওষুধমের মাত্রা ঠিক রাখতে ৬ মাস অন্তর চিকিৎসকের কাছে যান।
এছাড়াও আরও যা কিছু মাথায় রাখবেন-
*হাঁপানির সমস্যা থাকলে শ্বাসযন্ত্রের যে কোনও ওষুধ তাড়াতাড়ি মারাত্মক আকার নেয়। তাই ফ্লু ভ্যাকসিন নিয়ে রাখতে পারলে ভাল।
*ব্যাগে সবসময় ইনহেলার রাখুন।
*জরুরি ওষুধ এবং প্রেসক্রিপশন হাতের সামনে রাখুন।
*যাঁদের পরাগ থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হয় তাঁরা বিশেষ সতর্ক থাকুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।