AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

PCOD vs PCOS: পিসিওডি আর পিসিওএস, দুটো কি একই রোগ? জানুন আসল সত্য

Women Health: ২০-এর দশকে পা দেওয়ার আগেই দেখা দিচ্ছে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা। ডাক্তার দেখালে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে, জানা যাচ্ছে পিসিওডি না হলে পিসিওএস হয়েছে।

PCOD vs PCOS: পিসিওডি আর পিসিওএস, দুটো কি একই রোগ? জানুন আসল সত্য
উভয়ই ওভারির সমস্যা হলেও দুটো আলাদা রোগ।Image Credit: istockphoto.com
| Edited By: | Updated on: May 04, 2022 | 6:38 AM
Share

মহিলাদের সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যার (Women Health) সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে দুটো রোগের নাম। পিসিওডি (PCOD) আর পিসিওএস (PCOS)। আজকাল কম বয়সী মেয়েদের মধ্যেও এই রোগ দেখা যাচ্ছে। ২০-এর দশকে পা দেওয়ার আগেই দেখা দিচ্ছে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের (Irregular Periods) সমস্যা। ডাক্তার দেখালে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে, জানা যাচ্ছে পিসিওডি না হলে পিসিওএস হয়েছে। কিন্তু আপনি কি এই দুটো রোগের মধ্যে পার্থক্য জানেন? বেশির ভাগ মানুষের কাছে এই দুটি রোগের অর্থ হল ওভারিতে সিস্ট হওয়া। এই কারণে অনেকে মনে করেন সন্তান ধারণে সমস্যা হয়। এই ধারণা নিয়ে সাত তাড়াতাড়ি বিয়েও করে নেন- এমন ঘটনা নেহাত কম নেই। কিন্তু পিসিওডি আর পিসিওএস দুটো আলাদা রোগ।

পিসিওডি আর পিসিওএস নাম দুটো কিছুটা হওয়ার কারণে অনেকের মনেই বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়। এমনকি রোগ দুটি ওভারিতে হয় এবং ডিম্বাশয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। কিন্তু তবুও দুটি আলাদা রোগ। পিসিওডি হল পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ। অন্যদিকে, পিসিওএস হল পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম। এই দুটি রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও কম নয়। বর্তমানে ৪ জন মহিলার মধ্যে ১ জন এই দুই রোগের শিকার।

পিসিওডি-এ আক্রান্ত হলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ওজন বৃদ্ধি, চুল পড়া, তলপেটে ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। এর কারণ ঋতুস্রাবের সময় ডিম্বাশয় অপরিণত ডিম্বাণু নির্গত করে। এই কারণেই ওভারিতে সিস্ট তৈরি হয়। পিসিওডি-এর কারণে পুরুষ হরমোন নিঃসরণও অনেকটা বেড়ে যায়।

পিসিওএস, এই রোগও ডিম্বাশয়ের সঙ্গে যুক্ত। মূলত এন্ডোক্রিন সিস্টেমের ভারসাম্যহীনতার কারণে পিসিওএস-এর সমস্যা তৈরি হয়। এই রোগেও শরীরে প্রচুর পরিমাণে পুরুষ হরমোন ক্ষরণ হয়। এখান থেকে ডিম্বস্ফোটন অনিয়মিত হয়ে যায় এবং ডিম্বাশয়ে সিস্ট তৈরি হয়।

চিকিৎসকদের মতে, পিসিওডি-এর তুলনায় পিসিওএস অনেক বেশি জটিল রোগ এবং এটি শরীরে বেশি প্রভাব ফেলে। এমনকি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরচর্চার মাধ্যমে পিসিওডিকে গোড়া থেকে নির্মূল করা সম্ভব। কিন্তু পিসিওএস-এর ক্ষেত্রে শুধু স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চললেই হয় না। এই ক্ষেত্রে আপনাকে চিকিৎসাধীন থাকতে হবে।

পিসিওডি বা পিসিওএস থাকলে গর্ভধারণে সমস্যা হয়- এটাও অর্ধ সত্য। সাধারণত পিসিওডি-এর ক্ষেত্রে গর্ভধারণে তেমন কোনও সমস্যা হয় না। কিন্তু পিসিওএস-এর ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু জটিল। এই রোগ থাকলে গর্ভধারণেও যেমন সমস্যা তৈরি হয়, তেমনই গর্ভাবস্থাতেও নানা ঝুঁকি থাকে। গর্ভপাতের ঝুঁকি পিসিওএস-এ অনেক বেশি।