Ginger Paka: আয়ুষ মন্ত্রক থেকে দেওয়া হল এই বিশেষ রেসিপি, নিরাময় হবে সাধারণ সর্দি কাশি থেকে ফ্লু সব…
আয়ুষ মন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে আদা বরফি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি হল- গুড়, আদা, শুকনো আদা গুঁড়ো, ঘি, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, নাগকেশর, কালো লঙ্কা, ধনে গুঁড়ো, কালো জিরা, পিপ্পলি এবং ভিদঙ্গ।
শীতকালে প্রতিটি ঘরেই আদা(Ginger) ব্যবহার করা হয় । চায়ে কিংবা তরকারিতে সবজির স্বাদ বাড়াতে এটি ব্যবহার করা হয়। শীতের লাড্ডু তৈরিতে অনেকেই শুকনো আদার গুঁড়ো বা শুকনো আদা ব্যবহার করেন। এছাড়াও ঠাণ্ডা, সর্দি এবং কাশির(Cough) মতো বিশেষ মরশুমের স্বাস্থ্য সমস্যায়(Health Issues) ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবেও আদার রস প্রায়ই নিয়ে থাকি আমরা। কারণ আদার মধ্যে অনেক ঔষধি উপাদান পাওয়া যায়। সম্প্রতি, আয়ুষ মন্ত্রক কাশি এবং সিজনাল ফ্লুর মতো মরশুমের রোগ এড়াতে আদা খাওয়ার একটি বিশেষ উপায় বলেছে।
আয়ুষ মন্ত্রকের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে আদা পাক অর্থাৎ আদা বরফি তৈরি করে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে এর অন্যান্য উপকারিতার কথা জানাতে গিয়ে শেয়ার করা হয়েছে এটি তৈরির উপকরণ। এ ছাড়া কিছু সতর্কতা অবলম্বন করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আয়ুষ মন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে আদা বরফি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি হল- গুড়, আদা, শুকনো আদা গুঁড়ো, ঘি, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, নাগকেশর, কালো লঙ্কা, ধনে গুঁড়ো, কালো জিরা, পিপ্পলি এবং ভিদঙ্গ। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, আদা পাক খুবই সুস্বাদু এবং অনেক সমস্যা দূর করে। এটি খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া সর্দি ও কাশি ছাড়াও এই বরফি গলা ব্যথার মতো সমস্যা দূর করতেও খুব ভাল কাজ করে। যারা আদা পছন্দ করেন না তারা সহজেই এই সুস্বাদু বরফির আকারে এর বৈশিষ্ট্যের সুবিধা নিতে পারেন।
খাওয়ার সময় এই সাবধানতা অবলম্বন করুন:
আদার প্রভাব খুব গরম, তাই এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু যত্ন নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ, অন্যথায় আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। এই বরফি খাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছু পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী আদা পাক খালি পেটে না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, অ্যাসিড পেপটিক ডিসঅর্ডারের সময় এটি খাওয়া উচিত নয়।
আদা বরফি খাওয়া স্বাস্থ্যকর হলেও অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন। যে কোনও নতুন খাবার যদি স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে খাওয়া শুরু করেন, সেক্ষেত্রে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সব সময় জরুরি। কারণ, কোনও একজনের ক্ষেত্রে সেই খাবারের যা প্রভাব দেখা যাবে, আপনার ক্ষেত্রে সেই একই প্রভাব দেখা নাও যেতে পারে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Coronavirus: ওমিক্রনেই কি হবে করোনার সমাপ্তি? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন, জেনে নিন…