Ghee and Oil in Food: তেল ছাড়া খাবার শরীরে গুরুতর ক্ষতি করতে পারে, খাবারে তেল আর ঘি-এর প্রয়োজনীয়তা জেনে নিন…
খাবারের সব থেকে স্বাস্থ্যকর রূপ হল সুষম খাদ্য। শুধুমাত্র ট্রান্স ফ্যাট এড়িয়ে চলতে হবে যা রাস্তার খাবারে পাওয়া যায়। ট্রান্স ফ্যাট আগুনের ওপর বার বার রান্না করার জন্য তৈরি হয়।
হৃদরোগ বা রক্তচাপে ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা তাদের খাবারে ঘি বা সরিষার তেল বা অলিভ অয়েলের মতো স্বাস্থ্যকর তেলগুলি সম্পূর্ণভাবে বাদ দিয়ে দেয়। এমনকি ফিটনেস উৎসাহীরা বা যারা ওজন কমানোর লক্ষ্যে আছে তারা মনে করে যে তেল খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তেল না খেলে তারা তাদের লক্ষ্যে দ্রুত পৌঁছতে পারবে বলেই মনে করে থাকে।
নয়াদিল্লির ফোর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ডঃ অশোক শেঠ অবশ্য সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ না করা আদপে মানুষকে ক্লান্ত এবং অসুস্থ করে তুলতে পারে। ডঃ শেঠ বলেন, ‘আমাদের শরীরের চর্বি প্রয়োজন। আমাদের মস্তিষ্ক, নিউরন সিস্টেম, স্নায়ু, রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা সব ক্ষেত্রেই চর্বির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। খাবারের সব থেকে স্বাস্থ্যকর রূপ হল সুষম খাদ্য। শুধুমাত্র ট্রান্স ফ্যাট এড়িয়ে চলতে হবে যা রাস্তার খাবারে পাওয়া যায়। ট্রান্স ফ্যাট আগুনের ওপর বার বার রান্না করার জন্য তৈরি হয়।’
বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট বিভিন্ন প্যাকেজড আইটেম যেমন কেক, কুকিজ ইত্যাদির ব্যবহারে সতর্ক করেছেন। এগুলিতে সাধারণত ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা বেশি থাকে। ডঃ শেঠ প্রতিদিন ২ থেকে ৩ চা চামচ ঘি বা ভাল তেল যেমন সরিষা বা অলিভ অয়েল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “সরিষার তেল একটি অসাধারণ তেল এবং এটা যে কেউ খেতে পারে। আবার অন্যদিকে, ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত অন্যান্য তেলের চেয়ে কয়েক চামচ ঘি ভালো।” ডঃ শেঠ তাঁর রোগীদের সঠিক তেলে রান্না করা ঘরে তৈরি খাবার খেতে বলেন। কিন্তু, বাড়ির খাবার তেল ছাড়া খেতে বারণ করেন।
তিনি বলেন, “আমি আমার রোগীদের সঠিক তেলে রান্না করা ঘরের খাবার খেতে বলি। তাদের খাবার সুষম খাদ্য না হোক, কিন্তু তা যেন বাড়িতে তৈরি করা হয়। তেল ছাড়া খাবার আলাদাভাবে প্রস্তুত করা উচিত নয়। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা যা খাচ্ছে তা-ই খাওয়া উচিত। যখন আপনি নুন বা তেল ছাড়া খাবার খান, তখন আপনি ওজন কমানো শুরু করেন ঠিকই, কিন্তু এর পাশপাশি আপনার ক্লান্তি বোধ আসা শুরু হয়। আস্তে আস্তে আপনি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। কারণ আপনি শরীরের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুলির মধ্যে একটিকে এড়িয়ে যাচ্ছেন।”
শরীরকে অপ্রয়োজনীয় চাপের মধ্যে রাখে এমন ডায়েটের সমালোচনা করে ডঃ শেঠ বলেন, “মানুষের শরীর এই ধরনের ডায়েটের জন্য তৈরি থাকে না। এগুলো একটা অস্থায়ী সময়ের জন্য মানুষের শরীরের উপর চাপ সৃষ্টি করে। সে কারণেই এগুলো দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে।”
আরও পড়ুন: Covid Vaccine: এই এক্স রে ভালো করে দেখুন! সিদ্ধান্ত আপনার হাতে
আরও পড়ুন: Breast Cancer Prevention: ব্রেস্ট ক্যানসার রুখতে অতি অবশ্যই যা যা করবেন, দেখে নিন