Home Isolation Guidelines: আপনি কি ওমিক্রনে আক্রান্ত? হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন কী কী সরকারি নির্দেশিকাগুলি মানতে হবে, জেনে নিন…

ওমিক্রনের উপসর্গগুলি কী কী- কাশি, গলা ব্যথা, ক্লান্তি, জ্বর হল ওমিক্রনের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। বর্তমানে ক্লান্তি ও মাথাব্যথা, এই দুটি লক্ষণই ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

Home Isolation Guidelines: আপনি কি ওমিক্রনে আক্রান্ত? হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন কী কী সরকারি নির্দেশিকাগুলি মানতে হবে, জেনে নিন...
হোম আইসোলেশনের কোভিড নির্দেশিকাগুলি মেনে চললেই সুস্থ হবেন দ্রুত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2022 | 8:25 AM

কোভিডের তৃতীয় বিরাট তরঙ্গ দেশে আছড়ে পড়েছে । ভারতে কোভিড ১৯ (COVID19) ও নয়া ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের new Omicron variant)  দ্রুত ক্রমবর্ধমানের সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু নির্দেশিকা (guidelines) ও সুরক্ষার ব্যবস্থাগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ পরামর্শ দিয়েছে সরকার ও বিভিন্ন সংস্থাগুলি। এই সময়ে বেশিরভাগ রোগীই উপসর্গহীন (asymptomatic) বা কোভিড ১৯-এর মৃদু লক্ষণগুলি (mild symptoms of COVID19)  দেখা যাচ্ছে। তবে দ্বিতীয় তরঙ্গের মতো অবস্থা না হওয়ায় হাসপাতালে ভরতির প্রয়োজন নেই। তাই হোম আইসোলেশনের কোভিড নির্দেশিকাগুলি (guidelines of home isolation) মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ইন্ডিয়াডট কম সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, দেশে যে সব রোগী পজিটিভ হিসেবে ধরা পড়েছে বা কোভিড ১৯-এর মৃদু বা উপসর্গহীন হিসেবে ধরা পড়েছে, সেই রোগীর জন্য রয়েছে আলাদা নির্দেশিকা। সেগুলি কী কী , দেখে নিন একনজরে….

১. যাঁরা কোনও উপসর্গ অনুভব করছেন না, ৯৩ শতাংশের বেশি ঘরের বাতাসে অক্সিজেন স্যাচুরেশন আছে, রয়েছে হালকা জ্বর-সহ কোভিড লক্ষণ , তাঁদেরকে অ্যাসিম্পটমেটিক রোগী হিসেবে ধরা হয়।

২. কোভিড ১৯ আমাদের চারপাশের প্রতিটি পরিবারকে কোনও না কোনও ভাবে প্রভাবিত করেছে। এখন নয়া ভেরিয়েন্টের সঙ্গে নিজেদের ভালভাবে প্রস্তুত রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বর্তমানে সাত দিনের জন্য হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।

৩. ওমিক্রনের উপসর্গগুলি কী কী- কাশি, গলা ব্যথা, ক্লান্তি, জ্বর হল ওমিক্রনের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। বর্তমানে ক্লান্তি ও মাথাব্যথা, এই দুটি লক্ষণই ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তা প্রায় ৬৫ শতাংশের কাছাকাছি।

৪. হোম আইসোলেশেনের প্রথম ধাপ হল পরিবারের বাকি সদস্যদের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা ও বিশ্রাম নেওয়া। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বাড়িতে মাস্ক পরতে হবে। তা সে কাপড়ের মাস্ক বা সার্জিকাল মাস্ক পরতে হবে। আইসোলেশনে থাকাকালীন স্যানিটাইজেশন করা মাস্ট।

৫. প্রতিটি পরিবারের একটি ডিজিটাল থার্মোমিটার থাকা উচিত। প্রতিদিন বাড়ির সমস্ত সদস্যের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। বিশেষ করে যাঁরা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন, তাঁদের দিনে দুবার করে তাপমাত্রা পরীক্ষা করুন। যে কোনও অবস্থায় তাপমাত্রা ৯৯.৫ এর বেশি হলে তা জ্বর হিসেবেই বিবেচিত হবে। এমনটা হলে সেই রোগীর শারীরিক অবস্থার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবারের সদস্যদের বিচ্ছিন্ন করে তাঁদের শরীরের তাপমাত্রা প্রতি ৪ ঘণ্টা পর পর নিরীক্ষণ করা উচিত।

৬. পালস অক্সিমিটার হল তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য প্রয়োজনীয় জিনিস। যে সব রোগী হোম আইসোলেশনে রয়েছেন বা বাড়িতে চিকিত্‍সাধীন. তাঁদের ক্ষেত্রে অক্সিমিটার রিডিং রুটিন মেনে চলা উচিত। পালস অক্সিমিটার রিডিং রুটিন মানের থেকে ৯৩% কম হয় তবে সেই রোগীকে অবশ্যই নিকটস্থ হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করতে হবে। রোগীর পালস অক্সিমিটার ব্যবহার করে অক্সিজেন স্যাচুরেশন পরীক্ষা করা উচিত। ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে পরীক্ষা করে ডাক্তারকে জানানো উচিত।

৭. যে ঘরে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন, সেখানে উপযুক্ত ক্রস ভেন্টিলেশন রয়েছে কিনা দেখে নিন। এছাড়া রোগীদের জন্য ৬ মিনিট হাঁটার মত জায়গা রয়েছে কিনা তা খেয়াল রাখুন। রোগীকে স্বাভাবিক গতিতে ৬ মিনিটের জন্য রুমে হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্‍সকরা। এরপর অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করে নোট করে রাখুন। হাঁটার পরে যদি অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়, তবে এটি প্রাথমিক হাইপোক্সিয়ার লক্ষণ । এমনটা হলে দ্রুত হাসপাতালে ভরতির জন্য ব্যবস্থা করুন। রোগীর বয়স যদি ১৫ বছর বা তার বেশি হয়, তাহলে টিকা গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। যদি সংক্রমিত হন, তবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য ইমিউনিটি বুস্টার খাওয়া প্রয়োজন।

কারা হোম আইসোলেশনের জন্য যোগ্য নন

নাগরিক সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী,

– ইমিউন-আপসহীন অবস্থার রোগীদের বাড়িতে বিচ্ছিন্নতার জন্য সুপারিশ করা হয় না। এই রোগীদের সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকতে একজন পরিচর্যাকারীর প্রয়োজন হয়।

– প্রসবের প্রত্যাশিত তারিখের দুই সপ্তাহ আগে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য হোম আইসোলেশন প্রযোজ্য হবে না

– যাঁদের বাড়িতে কোভিড রোগী রয়েছে, তাঁরা চাইলে হোম আইসোলেশন বেছে নিতে পারেন। তাবে তাঁদের শারীরিক অবস্থার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

– যাঁদের পারিবারিক সহায়তা ব্যবস্থার অভাব বা অন্যান্য কারণে বাড়িতে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেন না, তাদের জন্য পৌরসভা-অনুমোদিত আইসোলেশনের সুবিধাগুলিতে কোয়ারেন্টাইন করা হবে।

আরও পড়ুন: Coronavirus: ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়ার পরও আক্রান্ত ওমিক্রনে! প্রধানত যে সব সমস্যা এবং উপসর্গ দেখা যাচ্ছে…