Uric Acid: যত বেশি মিষ্টি ফল ততই বড় সমস্যার ফাঁদ, সুস্থ থাকতে আজ থেকেই এড়িয়ে চলুন
How to lower uric Acid: মিষ্টি ফল কম খান, ইউরিক অ্যাসিড থাকবে নিয়ন্ত্রণে
হাতে আর পায়ের ব্যথা এখন সকলকেই ভোগাচ্ছে। একটানা বসে কাজ করা, কোনও রকম শরীরচর্চা না করার জন্যই দিন দিন বাড়ে এই সব সমস্যা। সেই সঙ্গে গাউটের সমস্যা, কিডনির নানা রকম সমস্যাও বাড়ছে। কম বয়সীদের মধ্যে এই সমস্যা তুলনায় কম দেখা গেলেও ৪০ বছরের পর বাড়তে থাকে এই সব সমস্যা। রোজকার খারাপ খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা, কোনও রকম শরীরচর্চা না করার ফলে রক্তে বাড়তে থাকে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। ইউরিক অ্যাসিড রক্তেই থাকে। তবে তা যদি পরিমাণে বেড়ে যায় তাহলেই মুশকিল। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে সেখান থেকেই রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়।
ইউরিক অ্যাসিড রক্তে দ্রবীভূত থাকে আর তা প্রস্রাবের মাধ্যমে কিডনি থেকে বেরিয়ে যায়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেশি পরিমাণে বাড়লে তখন তা শরীরে খ্রিস্টালের আকারে জমে যায়। আর এটা জমলেই কিন্তু গেঁটে বাত, কিডনিতে পাথর হওয়া, হার্টের সমস্যা, প্রস্রাবের নানা সমস্যা এবং কিডনির নানা রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও ফ্রুকটোজ বেশি থাকে এমন ফল বেশি খেলেও সেখান থেকে এই ক্রিস্টাল জমে যাওয়ার সমস্যা হয়।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, বেশি পরিমাণে ফ্রুকটোজ রয়েছে এমন খাবার বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বেড়ে যায়। বেশ কিছু ফল আর সবজি আছে যার মধ্যে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। আর তাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে যে সব ফল একেবারেই খাবেন না-
কিশমিশ- কিশমিশের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। সেই সঙ্গে ফ্রুকটোজ থাকে ৯.৯ গ্রাম। যদি গেঁটে বাতের সমস্যা থাকে তাহলে কিশমিশ ভুল করেও খাবেন না।
আঙুর- আঙুরের মধ্যে থাকে ভিটামিন সি। সেই সঙ্গে ফাইবারও থাকে। তবে আঙুরে ফ্রুকটোজের পরিমাণ বেশি থাকে। এক কাপ আঙুরের মধ্যে ১২.৩ গ্রাম ফ্রুকটোজ থাকে। সেই সঙ্গে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রেসভেরাট্রল ও কোয়ারসেটিন।
কাঁঠাল- বছরে মাত্র একটা সময়েই পাওয়া যায় কাঁঠালো। মিষ্টি, রসালো কাঁঠাল খেতে খুবই ভাল। তবে কাঁঠাল ভুল করেও বেশি খাবেন না। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা তো বাড়বেই সেই সঙ্গে হজম করতেও অসুবিধা হয়। ডায়াবেটিসের রোগীরা ভুল করেও কাঁঠাল খাবেন না।
আপেল- আপেলের মধ্যে ফ্রুকটোজের পরিমাণ তুলনায় কম। এছাড়াও থাকে ফাইবার, পলিফেনল, পটাশিয়ামের মতো পুষ্টিকর উপাদান। গাউট বা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ভুল করেও আপেল খাবেন না।
ন্যাশপাতি- ন্যাশপাতির মধ্যে ৫ গ্রাম ফাইবার থাকে। ফ্রুকটোজের পরিমাণ খুব বেশি না থাকলেও একটি ন্যাশপাতিতে ফ্রুকটোজ থাকে ১১.৪ গ্রাম। যা অন্য ফলের তুলনায় কম। তবে গাঁটে ব্যথা আর কিডনির সমস্যা থাকলে এই ফল এড়িয়ে যেতে পারলেই ভাল।