AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Gestational Diabetes: প্রেগন্যান্সির ৩০ সপ্তাহে গিয়ে ডায়াবেটিস ধরা পড়ছে? গর্ভস্থ সন্তান সুরক্ষিত আছে তো!

High Blood Sugar in Pregnancy: টাইপ-১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের থেকে একটু আলাদা হয় গর্ভাবস্থার ডায়াবেটিস। একে চিকিৎসার পরিভাষায় জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস (Gestational diabetes)। মূলত ২৪-২৮ সপ্তাহের মধ্যে জেস্টেশনাল ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। এতে প্রেগন্যান্সিতেও জটিলতা বাড়ে।

Gestational Diabetes: প্রেগন্যান্সির ৩০ সপ্তাহে গিয়ে ডায়াবেটিস ধরা পড়ছে? গর্ভস্থ সন্তান সুরক্ষিত আছে তো!
| Updated on: Apr 07, 2024 | 9:15 AM
Share

প্রেগন্যান্সিতে সবসময় সচেতন ও সতর্ক থাকতে হয়। বুঝেশুনে খাবার খেতে হয়। যদিও এই সময় হবু মায়ের খিদেটা একটু বেড়ে যায়। আর ভাল করে খাওয়া-দাওয়া করলে সন্তান ও মায়ের স্বাস্থ্যই ভাল থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, মুখরোচক খাবার খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। আবার অনেকের কোনও খাবারই ভাল লাগছে না। কিন্তু পাঁচ, সাত ও ন’মাসের সাধ খেয়েই বিপদ ঘটে বেশিরভাগ মহিলার। প্রেগন্যান্সির শুরুর তিন মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে, শেষের দিনগুলোতেও জটিলতা তৈরি হয়। মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া, সাধ খাওয়ার মতো রীতির জেরে বেড়ে যায় রক্তে শর্করার মাত্রা। প্রেগন্যান্সিতে অনেকেই ডায়াবেটিসে ভোগেন। যদি সন্তান প্রসবের পর আবার সুগার লেভেল স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু প্রেগন্যান্সিতে ডায়াবেটিস ধরা পড়লে ভ্রূণের কোনও ক্ষতি হতে পারে কি?

টাইপ-১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের থেকে একটু আলাদা হয় গর্ভাবস্থার ডায়াবেটিস। একে চিকিৎসার পরিভাষায় জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস (Gestational diabetes)। মূলত ২৪-২৮ সপ্তাহের মধ্যে জেস্টেশনাল ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। এতে প্রেগন্যান্সিতেও জটিলতা বাড়ে। হবু মায়ের ওজন বেড়ে যায়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। অনেক সময় ইনসুলিনও নিতে হয়। তাছাড়া তখন সি সেকশন করা ছাড়া আর উপায় থাকে না। কিন্তু এই জেস্টেশনাল ডায়াবেটিসের জেরে গর্ভস্থ সন্তানের কী ক্ষতি হয় জানেন?

১) জেস্টেশনাল ডায়াবেটিসের জেরে গর্ভস্থ শিশুর অস্বাভাবিক ভাবে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এটি প্রসবের সময়ে মা ও সন্তানের শরীরে জটিলতা বাড়াতে পারে।

২) জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস ধরা পড়লে নরম্যাল ডেলিভারি করার ঝুঁকি নেন না চিকিৎসকেরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সি সেকশন করতে হয়। পাশাপাশি সময়ের আগেই প্রসব হয়ে যায়।

৩) জেস্টেশনাল ডায়াবেটিসে গর্ভস্থ ভ্রূণের বেড়ে ওঠাতে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন অনেক ক্ষেত্রেই সন্তান জন্ডিসে আক্রান্ত হয়। এমনকি সন্তানের দেহে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে। যা বিপজ্জনক হতে পারে।

৪) প্রেগন্যান্সিতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দেয়। নির্ধারিত সময়ের আগে সন্তান জন্মগ্রহণ করলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যা ভবিষ্যতে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।