AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fish Oil: মানসিক অবসাদে ভুগছেন? খাওয়া শুরু করুন মাছের তেল!

আপনি যদি মাছের তেল গ্রহণ করেন তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কারণ ৩০ শতাংশ মাছের তেলের মধ্যে ৭০ শতাংশ থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, তার সঙ্গে থাকে ভিটামিন এ এবং ডি।

Fish Oil: মানসিক অবসাদে ভুগছেন? খাওয়া শুরু করুন মাছের তেল!
স্বাস্থ্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলে মাছের তেল
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2021 | 12:31 PM
Share

মাছের টিস্যু থেকে তৈরি করা হয় মাছের তেল। আমরা সাধারণত ইলিশ মাছের তেল ভাতের সঙ্গে খেয়ে থাকি। কিন্তু এমন অনেক সামুদ্রিক মাছের তেল রয়েছে যা আমাদের শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম। কারণ এই মাছের তেল বা সামুদ্রিক মাছের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর মতে, প্রতি সপ্তাহে ১ থেকে ২টি মাছ খাওয়া দরকার, এতে শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে। আর আপনি যদি মাছের তেল গ্রহণ করেন তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কারণ ৩০ শতাংশ মাছের তেলের মধ্যে ৭০ শতাংশ থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, তার সঙ্গে থাকে ভিটামিন এ এবং ডি।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এই ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছের তেল হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি এলডিএল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমাতে সহায়ক এই তেল। এমনকি রক্তচাপকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই সব কারণে আপনার হার্ট থাকে সুস্থ। তবে এটি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় কিনা তা এখনও অবধি জানা যায়নি।

fish oil

সুস্থ থাকতে খান মাছের তেল

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেক মানুষের মধ্যে রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি দেখা দেয়। মাছের তেল এই আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি এবং প্রদাহ ও যন্ত্রণা দুটোই কমাতে সহায়ক। তার সঙ্গে শরীরে যে কোনও ধরনের সংক্রমণকে প্রতিরোধ করে এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও গড়ে তোলে এই মাছের তেল।

লিভারের চর্বি‌কে হ্রাস করতেও সাহায্য করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মাছের তেল। তাই যদি ওজন কমাবেন ভাবছেন তাহলে খেতে পারেন মাছের তেল। একই ধারে এই তেল ত্বকের স্বাস্থ্যকেও বজায় রাখতে সহায়ক। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বকের বার্ধক্যকে প্রতিরোধ করে।

মানসিক স্বাস্থ্যকেও উন্নত করতে সাহায্য করে মাছের তেল। কিছু বিশেষ ধরনের মানসিক রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে এই মাছের তেল। তার সঙ্গে ডিপ্রেশন ও অ্যানজাইটি কমাতে সাহায্য করে। অ্যালজাইমারের মত রোগকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম এই তেল, অন্যদিকে, চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে মাছের তেল। হাড়কে মজবুত করতেও সক্ষম এই তেল।

গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রেও দারুণ প্রভাব ফেলে মাছের তেল। ভ্রুণের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে সাহায্য করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মাছের তেল। এমনকি শিশুদের হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ও সক্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রেও সাহায্য করে এই তেল। তাই সুস্থ থাকতে মাছের তেল গ্রহণ করুন।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ছে! সেক্ষেত্রে কী কী উপায় আপনাকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে জেনে নিন…

আরও পড়ুন: প্রাতঃরাশে যোগ করুন কাঁচা পনির; ফল পাবেন হাতে-নাতেই!