Vitamin D: কীভাবে বুঝবেন ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভুগছেন? এই উপসর্গগুলো জেনে নিন…
Health Care Tips: শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে নানা উপসর্গ দেখা যায়। সময়মতো তা বুঝে সতর্ক হওয়া জরুরি। এর ফলে বড় কোনও রোগ আটকানো যেতে পারে। নয়তো দীর্ঘমেয়াদি কোনও সমস্যাও হতে পারে। কী ভাবে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই?

শরীরের জন্য ভিটামিন ডি খুবই প্রয়োজন। বিভিন্ন কারণেই এই ভিটামিনের গুরুত্ব রয়েছে। ভিটামিন ডি-এর অভাবে হৃদযন্ত্রে সমস্য়া হতে পারে। শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঠিক ভাবে পরিচালনের জন্য দৈনিক ২০-৪০ মিলিগ্রাম/মিলিলিটার ভিটামিন ডি প্রয়োজন। এর চেয়ে পরিমাণ কম থাকলে শরীরের নানা অর্গ্যানের কাজ করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে নানা উপসর্গ দেখা যায়। সময়মতো তা বুঝে সতর্ক হওয়া জরুরি। এর ফলে বড় কোনও রোগ আটকানো যেতে পারে। নয়তো দীর্ঘমেয়াদি কোনও সমস্যাও হতে পারে। কী ভাবে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই?
গবেষণায় যা পাওয়া গিয়েছে এবং চিকিৎসরা যা বলছেন। তেমন তথ্য তুলে ধরা হল-
- পেশীতে অসহ্য ব্যথা। ভিটামিন ডি-এর অভাবে হতে পারে। অনেকেই ক্লান্তি ভেবে অবহেলা করে থাকেন। তা নাই হতে পারে। যদি পর্যাপ্ত বিশ্রামের পরও এই সমস্যা না মেটে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।
- কপালে অপ্রত্যাশিত ঘাম। গরমকালে ঘাম হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তবে অন্যান্য সময়ও কপালে প্রত্যাশার বাইরে ঘাম হচ্ছে না তো? সেরোটোনিন হরমোন উৎপাদন এবং মস্তিষ্কের কাজ ঠিকঠাক হওয়ার জন্য এই ভিটামিন জরুরি। মেজাজ ঠিক রাখতে সাহায্য করে এই হরমোন। ভিটামিন ডি-এর অভাবে এর উৎপাদন কমলে মুড অফ, উদ্বেগ এমনকি মানসিক অবসাদও হতে পারে।
- ভিটামিন ডি-এর অভাবে চুল পড়ার মাত্রাও বাড়তে পারে। অনেকের সেটা জেনেটিক হতে পারে। আবার ভিটামিন ডি-এর অভাবেও। ফলিকল তৈরিতে সাহায্য করে এই ভিটামিন। ফলে এর অভাবে চুলের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
- শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা ভিটামিন ডি-এর অভাবের অন্যতম উপসর্গ। এমনকি পেট ভার হয়ে থাকা, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য়ের সমস্যাও হতে পারে।
উপসর্গ না হয় বুঝলেন, ভিটামিন ডি এর উৎস কী হতে পারে?
সূর্যের আলো থেকে যে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়, একথা কার্যত সকলেই জানেন। দিনে ১৫-৩০ মিনিট রোদে কাটানোর চেষ্টা করুন। সেটা সকাল ৭-১০ এর মধ্যে হলে আরও বেশি ভালো। খাবারে এমন জিনিস যোগ করুন যাতে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। যেমন মাছ, মাশরুম, দুগ্ধজাত দ্রব্য, ডিমের কুসুম, শস্য জাতীয় খাবার। প্রাকৃতিক উপায়ে সমস্যা সমাধান না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।





