AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Water Chestnut: এলেবেলে একেবারেই নয়, হার্ট ভাল রাখতে ও দ্রুত ওজন কমাতে রোজ ডায়েটে রাখুন এই ফল!

Health Benefits of Singhara: পানিফল রান্না করে খাওয়া যায় না। খেতে হয় কাঁচা। পানিফলের খোসা যথেষ্ট পুরু। তাই খোসা ছাড়িয়ে বের করে আনতে হয় অন্দরের সাদা উপকারী শাঁস। তবে অনেকেই রোস্ট করেও পানিফল খান। আবার

Water Chestnut: এলেবেলে একেবারেই নয়, হার্ট ভাল রাখতে ও দ্রুত ওজন কমাতে রোজ ডায়েটে রাখুন এই ফল!
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2022 | 8:25 AM
Share

আর কয়েকদিনের অপেক্ষা। পানিফলের (Water Chestnut) মরশুম শুরু হল বলে। কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে মিলবে পানিফল। শরত ও শীতকাল জুড়ে জলজ এই ভেষজটি হ্রদ বা পুকুরে বেড়ে ওঠে। শরীর শীতল রাখতে সাহায্য করে এই সবজি। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রাও থাকে যথেষ্ট বেশি। প্রজনন ক্ষমতা (Fertility) বাড়াতে, রক্তচাপ (Blood Pressure)কমাতে ও অম্বলের (Acidity) সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম সবজিটি। এত ধরনের গুণ থাকায় সব্জিটিকে ভেষজ হিসেবে গণ্য করা হয়। জলজ এই সব্জির রয়েছে মৌলিক স্বাদ। দুর্গাপুজা এবং নবরাত্রির উপোসের পরে এই সব্জিটি খাওয়ার রীতি রয়েছে। তবে সবচাইতে আশ্চর্য ব্যাপার হল, পানিফল সম্পূর্ণরূপে ফ্যাট ও সোডিয়াম ফ্রি। ফলে যে কোনও সময় নিশ্চিন্তে ফলটি খাওয়া যায়। এই ফলে পটাশিয়াম রয়েছে উচ্চ মাত্রায়। এছাড়া রয়েছে প্রদাহনাশক গুণ।

আবার দীর্ঘক্ষণ পেট খালি থাকার দরুণ শর্করা খাওয়ার প্রতি যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয় তাও কমাতে সক্ষম ভেষজটি। পানিফল রান্না করে খাওয়া যায় না। খেতে হয় কাঁচা। পানিফলের খোসা যথেষ্ট পুরু। তাই খোসা ছাড়িয়ে বের করে আনতে হয় অন্দরের সাদা উপকারী শাঁস। তবে অনেকেই রোস্ট করেও পানিফল খান। আবার পানিফলের আটাও তৈরি করেন অনেকে। পানিফলের আটা দিয়ে তৈরি খাদ্যকে সাত্ত্বিক খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই উপোসের পর পানিফলের আটার তৈরি রুটি খাওয়া হয়।

অবশ্য অনেকেই আবার পানিফল খেতে ভালোবাসেন না। তবে পানিফলের গুণ সম্পর্কে জানলে এই সব্জি না খেয়ে থাকতে পারবেন না। ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, মরশুমি এই ফসল অবশ্যই খান। কারণ একাধিক পুষ্টিকর এবং উপকারী উপাদান রয়েছে পানিফলে। তাই অল্প সময়ের জন্য পাওয়া গেলেও নিয়মিত সেবনে দীর্ঘ সময়ের জন্য স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় পানিফল।

পানিফলের গুণ

হার্টের স্বাস্থ্য: পানিফলে পটাশিয়াম রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। আর পটাশিয়ামের হার্টের সমস্যা কমাতে সক্ষম। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করতে ও স্ট্রোকের আশঙ্কাও দূর করতে পারে পটাশিয়াম।

টিউমারের বৃদ্ধিতে লাগাম: পানিফলে থাকে ফেরুলিক অ্যাসিড নামে বিশেষ শক্তিশালী ফেরুলিক অ্যাসিড। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতে রাশ টানতে পারে এই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

প্রদাহনাশক: পানিফলে রয়েছে ফাইসেটিন, ডিয়োসমেটিন, লুটিওলিন এবং টেকটোরিজেনিন নামে একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত কোষের নিরাময় ঘটায় ও প্রদাহ নাশ করে।

পেট ভর্তি রাখে: পানিফল অত্যন্ত ভারী খাবার। সামান্য মাত্রায় পানিফল খেলেও তা দীর্ঘসময় খিদের অনুভূতি দূরে রাখতে সক্ষম। ফলে শর্করার চাহিদাজনিত খিদে প্রতিরোধ করতে পারে পানিফল। এমনকী শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালোরিও প্রবেশ করে না। তাই ওজনও বাড়ে না। এই কারণে ওজন কমাতে হলে এই মরশুমে ডায়েটে যোগ করুন পানিফল।

চুলের স্বাস্থ্য: মাথার চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে অবশ্যই খান পানিফল। কারণ পানিফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, জিঙ্ক, বি ভিটামিন এবং ভিটামিন ই। উপদানগুলি নিশ্চিতভাবে চুল পড়া রোধ করে। চুল করে তোলে ঘন ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।