Mental Health: একজন খেলোয়াড় কীভাবে নিজেকে মানসিকভাবে শক্ত রাখতে পারেন?

সম্প্রতি নওমি ওসাকা, সিমোন বাইলস এবং বেন স্টোকস তাঁদের মানসিক সুস্থতার কথা ভেবে নিজেদের ক্ষেত্রে চলতি টুর্নামেন্ট থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Mental Health: একজন খেলোয়াড় কীভাবে নিজেকে মানসিকভাবে শক্ত রাখতে পারেন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2021 | 3:59 PM

মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যে আলোচনা কিছুদিন আগে পর্যন্তও লুকিয়ে করতে হতো, সেই পরিস্থিতি আজ বদলেছে। আজ মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা জনসমক্ষেই করা সম্ভব হচ্ছে। বিশেষত, খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্য বহুদিনই চাপা পড়ে ছিল, আলোচনাতে আসেইনি কখনও সেভাবে। মাঠে তাঁরা দেশের জন্য কী করছে সেটায় আমরা এত বেশি ব্যস্ত থাকি, যে দিনের শেষে তাঁরা মানুষ এই বিষয়টার খেয়ালই করা হয়ে ওঠে না। মাঠের চাপ এবং বাইরের চাপে তাঁরাও জর্জরিত হয়ে পড়েন। সমালোচনা থেকে শুরু করে আরও নানান বিষয়ে তাঁরা তাঁদের প্রিয়জনদের থেকে অনেক সময় বেশ কিছুটা দূরে সরে যান।

সম্প্রতি নওমি ওসাকা, সিমোন বাইলস এবং বেন স্টোকস তাঁদের মানসিক সুস্থতার কথা ভেবে নিজেদের ক্ষেত্রে চলতি টুর্নামেন্ট থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তারপর থেকেই বিষয়টি আলোচনায় আসে। ক্রীড়া মনোবিজ্ঞানী, সঞ্জনা কিরণ, যিনি প্রায় ২০০ অলিম্পিয়ানের সাথে কাজ করেছেন, বলেন, “যখন কোনো ভালো খেলোয়াড় তাঁর চরম ফর্ম থেকে একটু সরে যান, এই মানসিক অসুখ তখনই ‘ট্রিগার’ করে। এই সময় একটু বিশ্রাম নেওয়া উচিৎ।”

ক্রমাগত সমালোচনা:

ভাল কিছু করলে ভূয়সী প্রশংসা, আর ফলাফল খারাপ হলে যারপরনাই অপমান, ট্রল আরও কতকিছু। সোশ্যাল মিডিয়ার দাপটে খেলোয়াড়দের ওপর মানসিক চাপ আরও বাড়ছে। ভারতীয় ক্রীড়াবিদ এবং ২০১২ প্যারা অলিম্পিকের রৌপ্য পদকপ্রাপ্ত দীপা মালিক বলেন, “মানুষ কখনও কখনও ভেবে নেন যে আমরা তাঁদের সম্পত্তি। যখন খুশি চাপ তৈরি করা যায়, অপমান করা যায়। সোশ্যাল মিডিয়া সবসময়ই একটা অতিরিক্ত চাপ যোগ করে। এই কারণেই ট্রেনিংয়ের সময় আমি এই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলাম।”

চোটের ভূমিকা:

খেলাধুলায় চোট পাওয়া খুবই সাধারণ একটা ঘটনা। কিন্তু, কিছু সময় এক একটা চোট একজন খেলোয়াড়ের জীবন বদলে দিতে পারে। একটা চোট তাঁদের কোনো বড় টুর্নামেন্ট থেকে বের করে দিতে পারে। এমনকি তাঁদের খেলার ভবিষ্যৎই পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। এই চাপগুলির সাথে সংঘর্ষ করার জন্য খেলোয়াড়দের নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।

ব্যক্তিগত জীবনে একাকিত্ব:

প্রায়শই ট্রেনিং সেশনগুলি দীর্ঘক্ষণের হয়। এর কারণে খেলোয়াড়দের তাঁদের প্রিয়জনদের থেকে অনেকটা সময় দূরে থাকতে হয়। তার ওপর প্যান্ডেমিকের কারণে তাঁদের অনেককেই আইসোলেশনে থাকতে হয়েছিল। এই একাকিত্বও মানসিক অসুস্থতার অন্যতম কারণ। 

অবসর পরবর্তী উদ্বেগ:

একজন খেলোয়াড়ের কর্মজীবন খুবই ছোট হয়। তাই, যে সব সময় খেলাধুলার মধ্যে থাকে তাঁর পক্ষে অবসরের পরের সময়টা খুব কঠিন হয়। যে খেলাধুলা করে জীবন চালাত, তাঁর পক্ষে বাড়িতে চুপচাপ বসে থাকা সত্যিই উদ্বেগের কারণ।

এই সমস্ত বাধা পেরিয়েই একজন খেলোয়াড়কে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। জীবনযুদ্ধে হার না মানার তাগিদটা মানসিক সুস্থতা থেকেই আসে। আর একজন খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: রাগ কমাতে চান? জেনে নিন কয়েকটি ব্যায়ামের কৌশল