AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Chronic Migraine: মাইগ্রেন নাকি সাধারণ মাথাব্যথা? ফারাক করবেন যে ভাবে…

মাইগ্রেনের ব্যথা আর সাধারণ মাথা ব্যথার মধ্যে কিন্তু বেশ ফারাক রয়েছে। তাই লক্ষণ বুঝতে পারলে আগে থেকেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

Chronic Migraine: মাইগ্রেন নাকি সাধারণ মাথাব্যথা? ফারাক করবেন যে ভাবে...
মাইগ্রেনের সমস্যা হলে ফেলে রাখবেন না...
| Edited By: | Updated on: Feb 18, 2022 | 4:36 PM
Share

মাইগ্রেনের সমস্যা এবং মাথাব্যথা দুটো কিন্তু একেবারেই এক নয়। নানা কারণে মাথা ব্যথা হয়। অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে, ঠিকমথো ঘুম না হলে কিংবা একটানা ল্যাপটপের সামনে বসে থাকলেও কিন্তু মাথা ব্যথা হয়। তবে মাইগ্রেন মূলত স্নায়ুর সমস্যা। এই রোগের সঙ্গে একাধিক স্নায়ু জড়িত। যদি কারোর এক মাসের মধ্যে ১৫ দিন মাথা ব্যথা থাকে এবং আটদিন তীব্র মাথা ব্যথার সঙ্গে শারীরিক কোনও সমস্যা থাকে তাহলে কিন্তু ধরে নিতে হবে যে এই মাথাব্যথার কারণ হল মাইগ্রেন। মাইগ্রেনের ব্যথা ওষুধ খাওয়ার এক ঘন্টার মযেই যে কমে যায় তা কিন্তু নয়। তিন মাসের মধ্যে পরপর যদি কয়েকদিন টানা অসহ্য মাথা ব্যথা থাকে এবং মাথার দুপাশে ব্যথা, চোখে অন্ধকার দেখা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, শব্দে অস্বস্তি থাকে তাহলে তা কিন্তু মাইগ্রেনের সমস্যা। দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা আর দীর্ঘস্থায়ী মাইগ্রেনের মধ্যে কিন্তু ফারাক রয়েছে। আর তাই ক্রনিক মাইগ্রেন শনাক্ত করতে অনেক সময়ই দেরি হয়ে যায়। মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরানো, বমির পাশাপাশি মাইগ্রেনে কিন্তু গন্ধের সমস্যাও থাকে। তীব্র গন্ধ, জীব্র আলো বা শব্দ কোনওটাই তখন সহ্য হয় না। আর এখান থেকেই আসে গা গোলানো বা বমির সমস্যা। মাইগ্রেনের ব্যথা একবার হলে তা কিন্তু সারতে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগে।

দীর্ঘস্থায়ী মাইগ্রেনের অনেক রকম কারণ রয়েছে। আর এর জন্যই চাপ বাড়ে স্নায়ুতে। এছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে স্নায়ুর জটিল সমস্যা দেখা যায়। মাইগ্রেনের প্রভাব পড়ে রোজকার জীবনযাত্রাতেও। এতে ব্যহত হয় কাজের রুটিন। তবে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরাই কিন্তু মাইগ্রেনের সমস্যায় বেশি ভোগে। ঘুম ঠিকমতো না হলে, দীর্ঘদিন প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুম হলে, অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে, কফি বা চকোলেট বেশি খেলে সেখান থেকেও কিন্তু আসে মাইগ্রেনের সমস্যা। আর মাইগ্রেনের এই সমস্যার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে হরমোনেরও। প্রতিমাসে মাসিকের সমস্যা, গর্ভধারণ এবং মেনোপজের সময় যে অস্বাভাবিক হরমোনের পরিবর্তন হয় তার প্রভাবই কিন্তু পড়ে এই মাইগ্রেন সমস্যায়।

মাইগ্রেনের ব্যথা একবার শুরু হলে কাজে ব্যাঘাত ঘটে। সেদিনকার মত সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। স্কুল, অফিস থেকে ঘর সংসারের কাজ সব পণ্ড। এছাড়াও মাইগ্রেনের ব্যথার সঙ্গে একাধিক সমস্যা জড়িত। এই ব্যথা হলেই কিছুতে ঘুম আসে না। বমির সমস্যা, গা গোলানো, মাথা ঘোরা, মাথার দু পাশে অসহ্য যন্ত্রণা এসব তো থাকেই। তবে মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে তা ফেলে না রেখে কিন্তু চিকিৎসা করানো উচিত। ওষুধে কাজ হয় অনেক সময়। এছাড়া কেউ কেউ বলেন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সব সমস্যাও কিন্তু চলে যায়। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই মাইগ্রেন সেরে গিয়েও আবার ফিরে এসেছে।

ব্যথা থেকে সাময়িক ভাবে রেহাই পেতে বেশিরভাগই কিন্তু পেইন কিলার খান। তবে একটানা পেইন কিলার খাওয়া ঠিক নয়। কারণ বেশিদিন এই ওষুধ খেলে মাথা ব্যথার সমস্যা আরও বাড়ে। এছাড়াও অতিরিক্ত এই ওষুধ খেলে পরবর্তীতে অন্য কোনও ওষুধ কিন্তু আর কাজ করে না। এই সমস্যায় শরীরের ডিটক্সিফিকেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যথার ওষুধে সাময়িক স্বস্তি পাবেন কিন্তু সুস্থ হতে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। নিউরোলজি, সাইকিয়াট্রিক বা সাইকোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করুন এক্ষেত্রে। এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম করা, ডায়েটে নজর দেওয়া এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়াও চেষ্টা করুন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে। অনেক সময় ডিপ্রেশন থেকেও মাইগ্রেন আসে। আর তাই মাইগ্রেনের সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করবেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: Jeera Water: অনেক তারকাই দিন শুরু করেন এক গ্লাস জিরে ভেজানো জল খেয়ে, শুরু করুন আপনিও