Diabetes: হাই ব্লাড সুগার রয়েছে? কী ভাবে একে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন! জানুন…

শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে প্রতিদিন বেশি করে জল খেতেই হবে। সেই সঙ্গে নিয়ম মেনে ওষুধ খান

Diabetes: হাই ব্লাড সুগার রয়েছে? কী ভাবে একে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন! জানুন...
যে ভাবে ব্লাডজ সুগার রাখবেন নিয়ন্ত্রণে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 04, 2022 | 9:48 AM

যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে অনেক সময়ই কিন্তু তাঁদের রক্তশর্করা ওঠানামা করে। এবং এই সমস্যা খুবই স্বাভাবিক। তবে অনেক সময় কোনও রকম লক্ষণ ছাড়াই হঠাৎ করে সুগার নেমে যায়। আর এই সুগার লেভেল নেমে যাওয়া কিন্তু ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য খুবই বিপজ্জনক। দেখা দিতে পারে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। হয়ত সাময়িক ভাবে মিষ্টি কোনও কিছু খেয়ে সুগার নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। কিছুটা স্বাভাবিক হয়। কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে বেশ কিছুদিন সময় লেগে যায়। যাঁদের এই হাই ব্লাড সুগারের সমস্যা থাকে তাকে বলা হয় হাইপারগ্লাইসেমিয়া (Hyperglycemia)।

এই সমস্যা হলে রক্তে হঠাৎই গ্লুকোজের মাত্রা অনেকখানি বেড়ে যায়। শরীরে যখন খুন কম ইনসুলিন থাকে তখনই কিন্তু এই সমস্যা বেশি হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা ১৮০ থেকে ২০০ মিলিগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার (mg/dL) এর উপরে চলে যায়, যার ফলে বমি, অতিরিক্ত তেষ্টা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, চোখের সমস্যা এবং অন্যান্য লক্ষণ দেখা দেয়। আর এটি কিন্তু খুব জরুরি অবস্থা। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রোগী কোমায় পর্যন্ত চলে যেতে পারেন। তাই এই সময় যত দ্রুত সম্ভব মিষ্টি জাতীয় কোনও কিছু বা বাতাসা, নকুলদানা এসব দিন। এতে সুগারের মাত্রা কিছুটা হলেও বাড়ে। এবং শরীরে খানিকের জন্য হলেও স্বস্তি দেয়। কিন্তু এই সমস্যা যাতে বার বার না হয় সে দিকে খেয়াল রাখুন। যে কারণে সুগারের রোগীদের সব সময় ব্যাগে চকোলেট বা মিষ্টি জাতীয় কোনও বিস্কুট রাখার কথা বলা হয়।

রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার প্রয়োজন হয়। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল খেতে পারলে রক্ত শর্করার মাত্রা থাকে নিয়ন্ত্রণে। অতিরিক্ত জল খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন ও ইনসুলিন বেরিয়ে যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না খেলে কিডনি রক্ত থেকে ইনসুলিন শোষণ করতে পারে না। ফলে এই অতিরিক্ত পরিমাণ শর্করা শরীরে জমতে থাকে। এতে কিন্তু চাপ পড়ে কিডনিতে। কিডনিতে পাথর এমনকী কিডনি ফেলিওয়ের মত সমস্যাও হতে পারে। আর তাই দিনে তিন- চার লিটার জল খাওয়া আবশ্যক।

রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়েছে যে যে লক্ষণে বুঝবেন-

ঘন ঘন মূত্রত্যাগ অতিরিক্ত তৃষ্ণা দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া ক্লান্তি মাথা ব্যথা এছাড়াও যদি দীর্ঘদিন ধরে হাইপারগ্লাইসেমিয়ার সমস্যা থাকে তখন রক্ত এবং প্রস্রাবের মধ্যে বিষাক্ত কিটোন তৈরি হয়। আর এই কিটোন তৈরি হলে শ্বাস-প্রশ্বাস যেমন গন্ধযুক্ত হয় তেমনই কিন্তু মুখেও গন্ধ থাকে। আর যে কারণে বমি বমি ভাব, মুখ শুকনো হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত টেনশন, দুর্বলতা এসবও কিন্তু অতিরিক্ত সুগার বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ।

তবে হাইপারগ্লাইসেমিয়া কিন্তু শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। তাই নিয়মিত ওষুধ খান, সঠিক খাবার খান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।