AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Gallstone: গলব্লাডারে পাথর জমেছে? অস্ত্রোপচার ছাড়াই যে উপায়ে যত্ন নেবেন পিত্তথলির

Gallbladder: সাধারণত গলব্লাডারে পাথর ধরা পড়লে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পিত্তথলি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যা আপনাকে এই গলব্লাডারে হওয়া পাথরের হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে।

Gallstone: গলব্লাডারে পাথর জমেছে? অস্ত্রোপচার ছাড়াই যে উপায়ে যত্ন নেবেন পিত্তথলির
| Edited By: | Updated on: May 25, 2023 | 10:53 AM
Share

লিভারের পাশেই থাকে পিত্তথলি বা গলব্লাডার। এখান থেকে পিত্তরস নিঃসৃত হয়, যা খাবার হজমে সাহায্য করে। আজকাল অনেকেই গলব্লাডারে পাথর জমার সমস্যায় ভোগেন। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে কিংবা পিত্তরস জমতে শুরু করলে গলব্লাডারে পাথর তৈরি হয়। প্রাথমিক উপায়ে গলব্লাডারে পাথর জমেছে কি না, তা বোঝার জন্য সাধারণ কিছু উপসর্গ রয়েছে। যেমন পেটের ডান দিকে অসহ্য যন্ত্রণা হতে থাকে। দুপুরে বা রাতে ভারী খাবার খাওয়ার পর এই যন্ত্রণার তীব্রতা বাড়তে থাকে। পেটে যন্ত্রণার সঙ্গে জ্বর, বমি এই ধরনের লক্ষণগুলোও প্রকাশ পায়। এই উপসর্গগুলো প্রায়শই হতে থাকলে, দ্রুত চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

সাধারণত গলব্লাডারে পাথর ধরা পড়লে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। অস্ত্রোপচার করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পিত্তথলি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যা আপনাকে এই গলব্লাডারে হওয়া পাথরের হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে। যদি গলব্লাডারের পাথরের সাইজ ১০ মিমি বা ১ সেমির কম হয়, তাহলে তা দ্রবীভূত করে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করা যায়। কিন্তু পাথরের সাইজ যদি ১ সেমির বেশি হয়, তাহলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে। অস্ত্রোপচার ছাড়া কীভাবে গলব্লাডারের পাথর শরীর থেকে বের করবেন, রইল টিপস।

আপেল জুস- গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত আপেলের জুস পান করলে এটি গলব্লাডার থেকে পাথর অপসারণে সাহায্য করে। যদি আপনার গলব্লাডারে পাথরের আকার ছোট ও নরম হয়, তাহলে আপেল জুস দারুণ উপকারী।

অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার- গলব্লাডার থেকে পাথর অপসারণ করতে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার দারুণ কার্যকর। কিন্তু আপনাকে সীমিত পরিমাণে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খেতে হবে। তাছাড়া এই পানীয় লিভারকে পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে। ব্লাড সুগার লেভেলকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

যোগাসন- গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে, যোগাসন করলে তাঁদের লিপিড প্রোফাইল (কোলেস্টেরল) নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে কোলেস্টেরলের কারণে গলব্লাডারে পাথর জমার সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়।

এই উপায়গুলো যে সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে, তার কোনও প্রমাণ নেই। কিন্তু আপনি যদি ডায়েট ও লাইফস্টাইলের দিকে খেয়াল রাখেন, তাহলে সহজেই রুখে দেওয়া যাবে গলব্লাডারের পাথর জমা। যদি গলব্লাডারের পাথর দ্রবীভূত না হয় এবং উপসর্গ না কমে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের যোগাযোগ করুন। এক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারই একমাত্র উপায়। অন্যথায় এই অবহেলা থেকে পিত্তথলিতে ক্যানসার হতে পারে।