আসছে করোনার তৃতীয় ঢেউ! ঘরবন্দি শিশুদের মন ও শরীর সুস্থ রাখতে ওয়ার্কআউট করান
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৫-১২ বছর বয়সের বাচ্চাদের দিনে ৩০ থেকে ৬০ মিনিট শারীরিক কসরত করা প্রয়োজন। স্কিপিং, দৌড়, ছোটাছুটি করে খেলা করা, সহজ ও নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম করা, নাচ-গান করার মধ্যে বাচ্চাদের মাতিয়ে রাখার মতো ভাল কিছু হয়না।
বড়দের মতো ছোটদেরও ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে লকডাউনের সময় বাচ্চাদের অবস্থা প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শারীরিক ও মানসিক-দুই অবস্থারই করোনার প্রভাব পড়েছে প্রবল। কোভিড ১৯ ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিত্সকরা। ফলে ছোটদের সবদিক থেকে ভাল রাখার চেষ্টা করা বড়দের কর্তব্য। লকডাউন ও ভাইরাসের জেরবারে স্কুল, পার্ক, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা, খেলার মাঠ সব কিছু হারিয়ে ছোট প্রাণগুলো ঘরবন্দি চার দেওয়ালের মধ্যে আটকে গিয়েছে।
খেলার ছলে এক্সারসাইজ
বাচ্চাদের জোর করে কিছু করাতে যাবেন না। আপনি যা শেখাবেন তাই শিখবে। প্রথম প্রথম আগ্রহ দেখাতে নাও পারে। কিন্তু আপনি হাল ছাড়বেন না। ওদের সঙ্গে মজা করে, খেলার মাধ্যমে নানারকম ইন্টারেস্টিং ওয়ার্কআউট করুন । একেবারেই প্রথমেই শক্ত কিছু নয়, ধীরে ধীরে এক্সারসাইজ করার সময়টা বাড়ান। প্রতিদিন একই সময়ে যোগ-ব্যায়াম করানোর অভ্যেস করুন। পোষ্যের সঙ্গে বাড়িরে ছাদে খেলা করা, মিউজিকের তালে নাচ করার উত্সাহ দেখাতে পারেন।
শিশুদের সঙ্গে বন্ধুর মতো থাকুন। লকডাউনের কুপ্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে শিশুদের উপর। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা না হওয়া, বাইরে বের হতে না দেওয়া, আতঙ্কের আবহের মধ্যে শিশুদের মনের অন্তরালে অনেককিছু চাপা পড়ে গিয়েছে। নিয়ম মেনে প্রতিদিন ওয়ার্কআউট করার একটি অভ্যেস তৈরি করুন। তাতে শিশুর মন ও দেহ -উভয়ই সুস্থ থাকবে। আপনাকে দেখলে সেও ওয়ার্কআউট করার আগ্রহ দেখাবে।
বাচ্চা যদি এক্সারসাইজ না করতে চায়, তাহলে জোর করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে এক্সারসাইজ করার প্রয়োজনয়ীতা নিয়ে শিশুর সঙ্গে খেলার ছলে আলোচনা করুন। কোনও শক্ত বা ভারী যোগব্যায়াম দিয়ে শুরু করবেন না। ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি শুরু করুন শিশুদের মনের মতো করেই। পুশআপস, স্কিপিং, দৌড় প্রতিযোগিতায় শিশুরা বেশ উত্সাহ পায়।
লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ স্কুলই অনলাইনে ক্লান নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ফলে মোবাইল ও ল্যাপটপে বেশিক্ষণ চোখ রাখার একটি নয়া ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়িতে থাকলেও শিশুরা অনলাইনে ক্লাস করার কারণে খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। চোখকে আরাম দিতে ও দেহ-মনকে একাগ্র করতে ল্যাপটপে বা মোবাইল দেখার একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন। দিনে মাত্র ২ ঘন্টা মোবাইল ব্যবহার করলে ২ ঘন্টা খেলা ও এক্সারসাইজ করার একটি চার্ট বানান। স্ক্রিন টাইম বেধে দিলে তাদের খেলার সময়টাও নির্দিষ্ট হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: এক গ্লাস গরম দুধে দুটি খেজুর! মাত্র ১০ দিনেই মিলবে উপকার