Bedwetting: ৭ বছরের শিশুও রোজ রাতে বিছানা ভিজিয়ে ফেলছে? জানুন কীভাব বন্ধ করবেন
Child's Health: এক্ষেত্রে এই বিষয়টিও মাথায় রাখবেন, এমন কোনও কথা বলবেন না যাতে সন্তানের আত্নসম্মানে আঘাত করে। বিষয়টি নিয়ে সন্তানকে কোনও রকম দোষারোপও করবেন না
ঘুমের ঘোরে বাচ্চারা হামেশাই বিছানা ভিজিয়ে ফেলে। তবে তার একটা নির্দিষ্ট বয়স থাকে। ৬ বছরের পরও যে সব শিশুদের এই সনস্যা থাকে তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি মোটেও সহজ ভাবে নেবেন না। এমনও অনেক বাচ্চা আছে যে ১১ বছর বয়সেও বিছানা ভিজিয়ে দিয়েছে এমনটা শোনা গিয়েছে। কখনও কখনও বয়ঃসন্ধির পরেও এই সমস্যা দেখা যায়। সাধারণত রাতে ব্লাডারে অত্যধিক পরিমাণ প্রস্রাব জমা হলে এই সমস্যা হতে পারে। ব্লাডারের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কম হলেই বেড ওয়েটিংয়ের সমস্যা দেখা দেয়।
তবে বেড ওয়েটিং-এর সঙ্গে মানসিক কোনও কারণের যোগাযোগ নেই। কেউ মানসিক ভাবে অস্থির থাকলে সে বিছানা ভিজিয়ে ফেলবে এমনটা ভাবার বিশেষ কোনও কারণ নেই। এক্ষেত্রে এই বিষয়টিও মাথায় রাখবেন, এমন কোনও কথা বলবেন না যাতে সন্তানের আত্নসম্মানে আঘাত করে। বিষয়টি নিয়ে সন্তানকে কোনও রকম দোষারোপও করবেন না। এতে সমস্যা জটিল হবে। যদি দেখেন যে কোনও ভাবেই সমস্যা কমছে না তাহলে একবার পিডিয়াট্রিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলুন। অনেক সময় ইউরিন ইনফেকশন বা ডায়াবেটিসের সমস্যা হলেও এমনটা হতে পারে।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে বাচ্চাকে টয়লেট করিয়ে আনুন। আর ঘুমানোর আগে যাতে বেশি জল না খায় সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। রাতে একবার ওকে ঘুম থেকে তুলে টয়লেট করিয়ে আনুন। এভাবে ধীরে ধীরে ওর বেডটাইম টয়লেট ট্রেনিং হয়ে যাবে।
খেয়াল রাখবেন বাচ্চার যেন কনস্টিপেশনের সমস্যা না হয়। এতে ব্লাডারের উপর বেশি চাপ পড়ে।
বাচ্চাকে আইসক্রিম, কোল্ডড্রিংক আর কফি একদম বেশি খেতে দেবেন না।
রোজ সকালে দারচিনি গুঁড়ো ভেজানো জল বা চিরতা জলে ভিজিয়ে খাওয়াতে পারেন। এতেই কাজ হয়ে যাবে
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।