Hypertension: কেবল ওষুধের ভরসায় না থেকে রোজকার জীবনযাপনে আনুন সাধারণ কিছু পরিবর্তন, সুস্থ থাকবেন…

রক্তচাপ, টেনশন এসব নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খান সেই সঙ্গ্েে রোজকার ডায়েটেও আনুন পরিবর্তন। একটানা শুধুই ওষুধের ভরসায় থাকা মোটেই কাজের কথা নয়

Hypertension: কেবল ওষুধের ভরসায় না থেকে রোজকার জীবনযাপনে আনুন সাধারণ কিছু পরিবর্তন, সুস্থ থাকবেন...
মুঠো মুঠো ওষুধ খেলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 29, 2021 | 5:43 PM

কাজের চাপ, জীবনের চাপ এবং সামাজিক চাপ যে ভীবে বাড়ছে তাতে আরও নানা শারীরিক সমস্যা জাঁকিয়ে বসছে। আর এই লকডাউনের ফলে কিন্তু সমস্যা আরও বেশি জটিল হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ, মানসিক চাপ, অত্যধিক জাঙ্ক ফুড খাওয়া এবং শরীরচর্চা একেবারেই না করা এসবের জন্যই কিন্তু বাড়ছে টেনশন। আজকাল বেশিরভাগ মানুষই ওবেসিটির সমস্যা ভুগছেন। সঙ্গে রয়েছে হাই ব্লাড সুগারের মত সমস্যা। এই সব সমস্যা একসঙ্গে মিলেই বাড়ছে টেনশন। রক্তচাপ আর টেনশন বাড়লেই কিন্তু জাঁকিয়ে বসে নানা সমস্যা। সেই সব সমস্যার মধ্যে হৃদরোগের জটিলতা থাকে সবচেয়ে বেশি। এবার উচ্চরক্তচাপ, হাইপার টেনশন নিয়ন্ত্রনে রাখতে নিয়মিত ওষুধ খাওয়া জরুরি।

চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি আপনার প্রয়োজনমতো ওষুধ দেবেন। ওষুধ শুধু দিলেই হবে না, সময় করে এবং নিয়ম মতো কিন্তু তা আমাদের খেতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি কোনও কিছুই ভাল নয়। মুঠো মুঠো ওষুধ খেলে হয়তো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে কিন্তু আজান্তেই শরীরের মধ্যে বাড়তে থাকবে একাধিক সমস্যা। আর তাই ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি জোর দিতে হবে রোজকার ডায়েটেও। প্রতিদিন নিয়ম করে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবি জরুরি।

সম্প্রতি চিকিৎসক বিজ্ঞানী মাইকেল গ্রেগার এ বিষয়ে একটি গবেষণা প্রকাশ করেছেন। আর সেই গবেষণা পত্রেই তিনি উল্লেখ করেন জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এবং উদ্ভিজ প্রোটিন খেলে কিন্তু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সেই সঙ্গে কম থাকে মানসিক চাপও। এই ব্যাপারে তিনি একটি উপবাস পদ্ধতির কথাও বলেছেন। সম্প্রতি ১৮ জন হাইপারটেনশনে ভোগা রোগীর উপরই চালানো হয় এই সমীক্ষা। সমীক্ষাটি করেন নিউ ইয়র্কের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসক মাইকেল গ্রেগার। যিনি আমেরিকান কলেজ অফ লাইফস্টাইল মেডিসিনের প্রতিষ্ঠাতাও।

সেখানেই গ্রেগার এই ১৮ জনের উপর থেরাপিউটিক ফাস্টিং পদ্ধতি প্রয়োগ করেন। এই পদ্ধতিতে তাঁদের জল আর উদ্ভিজ প্রোটিন দেওয়া হয়। ৬০ দিন এই পরীক্ষাটি করার পর দেখা যায় যে অনেককেই আর নিয়মিত উচ্চরক্তচাপের ওষুধ খেতে হচ্ছে না। এরপর আপনি ডায়েট মেনে শুরু করুন স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া। আর তাতেও কিন্তু খুব বেশি সমস্যা মোটেও আসে না।

এই ভাবে উপোস রাখার অনেক রকম উপকারিতাও রয়েছে-

উদ্ভিজ প্রোটিন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভাল সাহায্য করে। এছাড়াও এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। গ্রেগার এমন এক মহিলার কথা উদাহরণ হিসেবে বলেন যিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে ভুগছিলেন। প্রতিটি জয়েন্টে ভীষণ ব্যথা ছিল। শরীর ফুলে যাচ্ছিল। একসই সঙ্গে বাড়তে শুরু করে রক্তচাপও।

তখন তিনি এই উপবাস মেনেই রক্তচাপ কমান। সেই সময় কিন্তু তাঁর ওজন ছিল ১০৬ কেজি। এরপর চার সপ্তাহে তাঁর ওজন কমে যায় ৯.১ কেজি। শেষ পর্যন্ত তাঁর ওজন দাঁড়ায় ৯৪ কেজি এবং রক্তচাপ ছিল ১৩০/৭৮ মিমি কোনও রকম ওষুধ ছাড়াই।

গ্রেগার আরও বলেন প্রাণীজ প্রোটিন কম খেলে কিন্তু রক্তচাপ কমে তাড়াতাড়ি। এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম করা, অ্যালকোহল একেবারে না খাওয়া, রোজকার খাবারে নুন কম পরিমাণে খাওয়া এসব মেনে চলতে পারলে ওজন কমবে তাড়াতাড়ি।

মাংস, প্রাণীজ প্রোটিন কম খেয়ে শাকসবজি, ফল, জুস, জল, ডাবের জল এসব বেশি করে খান। এতে যেমন শরীর সুস্থ থাকবে তেমনই একটানা ওষুধ খাবারও কোনও প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।

আরও পড়ুন: Covid vaccine: ওমিক্রন আপনাকে কতটা কাবু করবে তা নির্ধারণ করবে কোভিড টিকার ডোজ! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?