Covid vaccination: ভ্যাকসিনের জন্য কী ভাবে প্রস্তুত করবেন আপনার সন্তানকে?

ভ্যাকসিনের প্রভাবে জ্বর আসা কিংবা পেশি ব্যথা হতেই পারে। এতে ভয়ের কোনও কারণ নেই। বরং এর ্র্থ হল ভ্যাকসিন ঠিকমতো কাজ করছ্ে। তবে বাচ্চাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন

Covid vaccination: ভ্যাকসিনের জন্য কী ভাবে প্রস্তুত করবেন আপনার সন্তানকে?
ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 30, 2021 | 9:12 AM

গত এক মাসের মধ্যে যে ভাবে বেড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা তাতে কপালে ভাঁজ পড়েছে চিকিৎসকদের। এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে ৮ থেকে ৮০ আক্রান্ত হচ্ছেন সকলেই। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে শিশুরা যে কোভিডে আক্রান্ত হয়নি তা নয়, কিন্তু সেই সংখ্যাটা ছিল অনেকটাই কম। তবে এবার শিশুরা কিন্তু তুলনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। কোভিড প্রটোকল মেনেই সম্প্রতি বেশ কিছু স্কুলও খুলেছে। আর তার কয়েকদিনের মধ্যেই কিন্তু বাড়তে শুরু করে আক্রান্তের সংখ্যায়। এই সব কিছুর উপর বিবেচনা করেই বাচ্চাদের টিকাকরণে ছাড়পত্র দিয়েছে সরকার।

ওমিক্রনকেই কার্যত কোভিডের তৃতীয় ঢেউ বলছেন অনেকেই। পশ্চিমের অনেক দেশেই ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। নতুন বছর থেকে টিকাকরণ কর্মসূচী শুরু হবে ভারতেও। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য কোউইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে ১ জানুয়ারি থেকে। ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু টিকাকরণ। আপাতত বাচ্চাদের কোভ্যাক্সিনই দেওয়া হবে এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

কোভিডের টিকা যখন প্রথম দেওয়া শুরু হয় তখন অনেকেই ধন্দে ছিলেন যে আদৌ টিকা নেবেন কিনা। এবার প্রসঙ্গ যখন শিশুরা তখন অভিভাবকদের চিন্তা আরও অনেকখানি বেশি। অনেক অভিভাবকেরই মনে হয়েছে জোর করে টিকা দিয়ে লাভ কী! বরং প্রাকৃতিক উপায়েই শরীরে রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা প্রয়োজন। এছাড়াও ধর্মীয় কারণ দেখিয়ে অনেক অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানকে টিকাকরণ থেকে দূরে রাখতে চাইছেন। তবে এসব ধারণার কিন্তু কোনও ভিত্তি নেই। সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে টিকাকরণ ছাড়া গতি নেই। যে কারণে টিকাকরণের উপরেই জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

*ইঞ্জেকশনে ভয় সকলেরই থাকে। বিশেষত ছোটদের। আর তাই আগে থেকেই মানসিক ভাবে প্রস্তুত রাখুন আপনার সন্তানকে।

*সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে আগেই কথা বলে রাখুন। আপনার সন্তানের কোনও অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে সেই বিষয়ে পরামর্শ নিয়ে

*ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে বাচ্চাকে নন-স্টেরয়ে়ডাল অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ ( NSAIDs) দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অনেক চিকিৎসকই। এতে ব্যথা কমে, জ্বালা-প্রদাহ কিংবা জ্বর আসার সম্ভাবনাও কমে যায় অনেকখানি।

*ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে অবশ্যই খেয়াল রাখুন বাচ্চা যাতে ঠিকমত ঘুমোয়। ঠিকমতো ঘুম, খাওয়াদাওয়া হলে এবং প্রতিদিন খেলাধূলো করলে এমনিই বাড়বে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর তাই সেদিকেও অবশ্যই খেয়াল রাখুন।

*যে কোনও ভ্যাকসিন নেওয়ার পর দুদিন সামান্য জ্বর, গায়ে-হাতে-পায়ে ব্যথা, পেশির ব্যথা এসব থাকবেই। আর এর মানেই কিন্তু হল ভ্যাকসিন শরীরে ঠিকমত কাজ করছে।

*যদি দেখেন যে ভ্যাকসিন নেওয়ার দুদিনের মধ্যে বাচ্চা জ্বর, অ্যালার্জির সমস্যায় কাহিল হয়ে পড়ছে তাহলে কিন্তু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে দেরি করবেন না।

*চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিন্তু বাচ্চাকে কোনও পেইন কিলার দেবেন না। এছাড়াও যদি ব্যথা থাকলে তাহলে সন্তানকে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ান। ব্যথার জায়গায় কোল্ড প্রেস করুন। এতে কিন্তু সমস্যা কমে অনেকটাই। অহেতুক কোনও ব্যথার ওষুধ দেবেন না।

আরও পড়ুন: Omicron symptoms in kids: দ্বিগুণ গতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন, এই পরিস্থিতিতে শিশুদের যত্ন নেবেন কীভাবে? জেনে নিন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ