Benefits of Curry Leaves: খাওয়ার সময় তরকারি থেকে কারি পাতা ফেলে দেন? রোজ ৫টি করে খেলে ধারেকাছে আসবে না রোগভোগ
Health Benefits: নেকে খাওয়ার সময় কারিপাতাগুলি ফেলে দেন। কিন্তু এই প্রতিবেদন পড়ার পর আর কখনও ফেলে দেবেন না। কারণ কারিপাতার গুণ রয়েছে হাজারো। ছোট ছোট কারিপাতার গুণে ধারেকাছে আসবে সুগার, কোলেস্টেরল থেকে শুরু হার্টের অসুখ। ম্যাজিকের মতোন কাজ করে এই সবুজ পাতাগুলি।
দক্ষিণী স্টাইলের খাবারে কারি পাতার অবদান ও গুরুত্ব, উভয়ই রয়েছে। এখন বাঙালির হেঁসেলেও প্রবেশ করেছে দক্ষিণের নানা পদ। ব্রেকফাস্ট বা বিকেলের টিফিন হোক, ধোসা, সাম্বার, উত্থাপাম থেকে শুরু করে নানা সুস্বাদু খাবার রান্না হয় বাঙালির রান্নাঘরে। আর ধোসা-ইডলি-সাম্বার মানেই কারিপাতার সুগন্ধী ও সুস্বাদ। অনেকে খাওয়ার সময় কারিপাতাগুলি ফেলে দেন। কিন্তু এই প্রতিবেদন পড়ার পর আর কখনও ফেলে দেবেন না। কারণ কারিপাতার গুণ রয়েছে হাজারো। ছোট ছোট কারিপাতার গুণে ধারেকাছে আসবে সুগার, কোলেস্টেরল থেকে শুরু হার্টের অসুখ। ম্যাজিকের মতোন কাজ করে এই সবুজ পাতাগুলি।
একটি পোর্টাল থেকে জানা গিয়েছে, কারি পাতায় রয়েছে অ্যালকালয়েড, গ্লাইকোসাইড ও ফেনোলিক্সের মতো শক্তিশালী যৌগ। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অনেক গবেষণায় জানা গিয়েছে, এতে থাকে লিনালুল, আলফা-টেরপিনিন, মাইরসিন, মাহানিম্বিন, ক্যারিওফাইলিন, মুরায়ানোল ও আলফা-পিনিনের মতো যৌগগুলিও। এই যৌগগুলির শরীরে অনেকটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ফলে শরীরকে সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, মানসিক শান্তি বজায় রাখে, দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করে।
কারি পাতা উপকারিতা
– কারি পাতা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন ৫-১০টি কারি পাতা খেলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাতে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে খুব সহজেই।
– রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে কারি পাতা মোক্ষম দাওয়াই। গবেষণা অনুসারে, কারি পাতার রস খেলে উচ্চ রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে। কারি পাতার রস খাওয়া ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি প্রতিরোধ করতে পারে।
– শুধু হৃদপিণ্ডই নয়, কারি পাতা মস্তিষ্ককেও সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। অনেক গবেষণায় উল্লেখ রয়েছে, কারি পাতা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে পারে। মস্তিষ্কের রোগ থেকেও রক্ষা করতে পারে। অ্যালঝাইমারের মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ থেকে বাঁচতে রোজ খান এই সবুজ ও কারি পাতা।
– কারিপাতা ওজন কমাতে উপকারী বলে মনে করা যেতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে, কারি পাতা ডিটক্সিফাইং যৌগ হিসেবে কাজ করে। শরীরকে ডিটক্সিফাই করতেও কারি পাতার জুড়ি নেই। শরীরের জেদি চর্বি জমতে বাধা দেয় ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।
-চুলের সমস্যার জন্য় খাদ্যতালিকায় কারি পাতা রাখা খুব দরকার। কারি পাতা পুষ্টিগুণে ভরপুর। চুল পড়ে গেলে মন খারাপের দরকার নেই। নতুন চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে। কারি পাতা খেলে চুল পড়া রোধ হয়।