Vitamin D benefits: ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমাতে পারে Vitamin D, কোন কোন খাবার সেই অভাব পূরণ করতে পারে জেনে নিন

Vitamin D benefits: ভিটামিন ডি হাড় ও দাঁত, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং প্রদাহ (ইনফ্লেমেশন) নিয়ন্ত্রণের জন্য অপরিহার্য। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে প্রতিক্রিয়া হিসেবে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। ভিটামিন ডি অনেক শারীরিক ক্রিয়াকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আসুন সেগুলি জেনে নেওয়া যাক-

Vitamin D benefits: ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমাতে পারে Vitamin D, কোন কোন খাবার সেই অভাব পূরণ করতে পারে জেনে নিন
ভিটামিন ডি-র কী উপকারিতা জেনে নিনImage Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 16, 2024 | 5:09 PM

আপনার স্বাস্থ্য আপনার জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া মানে শুধু যে রোগ বা দুর্বলতার অনুপস্থিতি তাই নয়, শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে।

স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যগ্রহণ করা সুস্বাস্থ্য এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি লাভের জন্য অপরিহার্য। এটি শিশুদের সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে এবং তাদের মানসিক বিকাশ গঠনেও সাহায্য করে। যাঁরা স্বাস্থ্যকর খাবার খান, তাঁরা দীর্ঘজীবন লাভ করেন। স্থুলতা, হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি তাঁদের কম থাকে। এই কারণেই আপনার নিজের ও আপনার প্রিয়জনদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং রোগ প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা এত গুরুত্বপূর্ণ।

নিয়মিত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাদ্যগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে যদি কিছু হেল্থ সাপ্লিমেন্ট খান যেমন, Vitamin D tablets , তাহলে অনেক উপকার পেতে পারেন।

ভিটামিন ডি-র উপকারিতা

ভিটামিন ডি হাড় ও দাঁত, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং প্রদাহ (ইনফ্লেমেশন) নিয়ন্ত্রণের জন্য অপরিহার্য। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে প্রতিক্রিয়া হিসেবে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। ভিটামিন ডি অনেক শারীরিক ক্রিয়াকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আসুন সেগুলি জেনে নেওয়া যাক-

মজবুত হাড়ের গঠন: ভিটামিন ডি হল ক্যালসিয়ামের উৎস। এটি রক্তে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের পর্যাপ্ত মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা সুস্থ হাড় ও দাঁতের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শিশুদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি-র অভাবে রিকেট রোগ হতে পারে, যার ফলে হাড়ের টিস্যু নরম হয়ে গিয়ে হাড় ও হাড়ের সংযোগস্থলগুলি বেঁকে যায়, দাঁতের সমস্যা হয়, দাঁত ঠিক মতো গঠিত হয় না। দেখা গিয়েছে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকলে ছোটদের শরীরে ধমনীর দেওয়াল শক্ত হয়ে যায়, ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়।

একইভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও ভিটামিন ডি-র অভাব হলে ‘অস্টিওমালেশিয়া’ হতে পারে, যার ফলে হাড় নরম হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এই ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। এর ফলে হাড়ের ঘনত্ব কমে গিয়ে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়।

হার্টের অসুখ: ভিটামিন ডি স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখে। হার্ট ফেলিওর, হাইপারটেনশন ইত্যাদি হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

ক্যান্সার: ভিটামিন ডি কোলন, ব্রেস্ট ও প্রস্টেট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

মাল্টিপল স্কলেরোসিস: গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন ডি আপনার শরীরে মাল্টিপল স্কলেরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে। এটি এমন একটি রোগ যেখানে আপনার ইমিউন সিস্টেম সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে আক্রমণ করে।

গর্ভাবস্থায়: ভিটামিন ডি-র অভাব গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রিম্যাচিওর বেবি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। দেখা গিয়েছে ভিটামিন ডি-র ঘাটতিতে জেস্টেশনাল ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে।

ইমিউন ফাংশন: ভিটামিন ডি শরীরের ইমিউন সিস্টেমের জন্য প্রয়োজনীয়। যা পর্যাপ্ত মাত্রায় থাকলে অটোইমিউন রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।

যে খাবারগুলি থেকে আমরা ভিটামিন ডি-র অভাব পূরণ করতে পারি সেগুলি হল- চর্বিযুক্ত মাছ, লিভার, ডিমের কুসুম, পনির, মাশরুম, ফর্টিফায়েড দুধ, সিরিয়ালস এবং ফলের রস।

যদিও শরীর সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি তৈরি হতে পারে, তবুও কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে। যেমন যারা উচ্চ দূষণযুক্ত অঞ্চলে বাস করেন অথবা নাইট শিফ্টে কাজ করেন তারা যথেষ্ট সূর্যালোক থেকে বঞ্চিত হন। আবার ত্বকের রঙ গাঢ় হলে সূর্যের আলো থেকে কম ভিটামিন ডি সংশ্লেষিত হয়।

শরীরে চর্বির আধিক্য ত্বক থেকে ভিটামিন ডি শোষণ করার ক্ষমতাকে সীমিত করে দেয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ভিটামিন ডি সংশ্লেষনের ক্ষমতাও কমতে থাকে।

কিছু অসুখ শরীরে খাদ্য থেকে চর্বি শোষণ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, ফলে ভিটামিন ডি-র অভাব হতে পারে, কারণ ভিটামিন ডি চর্বিতে দ্রাব্য।

গ্যাসট্রিক বাইপাস সার্জারি অন্ত্রের (ইনটেস্টাইন) ওপরের একটি অংশকে বাইপাস করে যেই অংশ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি শোষণ করে, তাই এই সার্জারির ফলে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হতে পারে।

ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খেলে আপনার শরীর এই ভিটামিনের অভাব অনায়াসে পূরণ করে নিতে পারে।

আয়ুর্বেদে অশ্বগন্ধা

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় অশ্বগন্ধা হল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ। আয়ুর্বেদ হল প্রাকৃতিক নিরাময়ের ভারতীয় নীতির ওপর ভিত্তি করে বিকল্প ওষুধের একটি ঐতিহ্যবাহী রূপ। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসামতে, অশ্বগন্ধা মানসিক এবং শারীরিকভাবে সক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেখা গিয়েছে যে এই ভেষজটি ইনফ্লামেশন কমানো এবং বার্ধক্যজনিত স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা প্রতিরোধ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

হাজার হাজার বছর ধরে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অবসাদ ও ক্লান্তি কমাতে Ashwagandha tablets-  এর ব্যবহার হয়ে আসছে। ঘুমের উন্নতির জন্য অশ্বগন্ধা একটি প্রাকৃতিক কার্যকরী উপায় হতে পারে, বিশেষ করে অনিদ্রায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি খুবই উপকারী।

অশ্বগন্ধা ক্রীড়াবিদদের শারীরিক কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে,  কারণ এটি পেশীশক্তি বাড়ায়।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অশ্বগন্ধা ট্যাবলেট যথেষ্ট সুফল দেয়।কারণ দেখা গিয়েছে অশ্বগন্ধা উল্লেখযোগ্যভাবে রক্তে শর্করা, হিমোগ্লোবিন A1c (HbA1c), ইনসুলিন, রক্তের লিপিড হ্রাস করতে সক্ষম।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে অশ্বগন্ধা ট্যাবলেট মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি ও তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও ব্যথা, ত্বকের সমস্যা, বাত ও মৃগীরোগে ইত্যাদির চিকিৎসায় অশ্বগন্ধা গাছের পাতা, বীজ এবং ফল সহ বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করা হয়।

সুস্বাদুও পুষ্টিকর পিনাট বাটার 

আপনার খাদ্যতালিকায় পিনাট বাটার হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। পিনাট বাটারে প্রচুর প্রোটিন আছে। এছাড়া আছে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ যেমন ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, নিয়াসিন, ও ভিটামিন বি- ৬।

পিনাট বাটারের প্রধান ফ্যাটগুলির মধ্যে একটি হল ওলিক অ্যাসিড যা রক্তে সুগার, রক্তচাপ ও ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে হার্টের অসুখের সম্ভাবনা কমে। পিনাট বাটারে ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। পিনাট বাটার ক্যালরি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও সোডিয়ামে ভরপুর। পরিমিতভাবে এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যের অংশ হিসেবে পিনাট বাটার খেলে নিম্নলিখিত সুবিধাগুলি প্রদান করতে পারে-

ওজন কমানো: গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে পিনাট বাটার মানুষের ওজন বজায় রাখতে, এমনকী ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এর কারণ প্রোটিন, ফ্যাট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার দরুণ এটি খেলে পূর্ণতার অনুভূতি দেয়। সহজে খিদে পায় না।

হার্ট ভাল রাখা: পিনাট বাটারে এমন অনেক পুষ্টি রয়েছে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে, যেমন মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (MUFAs), পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (PUFAs), নিয়াসিন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই।

বডি বিল্ডিং: অনেক বডি বিল্ডার এবং ফিটনেসে মানুষ বিভিন্ন কারণে তাঁদের ডায়েটে পিনাট বাটার অন্তর্ভুক্ত করেন। উচ্চ-ক্যালরি যুক্ত হওয়ার কারণে, এটি ক্যালরি এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণের একটি সহজ উপায়। এছাড়াও পিনাট বাটার প্রোটিনের একটি উৎস, যা পেশী তৈরি এবং মেরামতের জন্য অপরিহার্য।

রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা: পিনাট বাটার একটি অপেক্ষাকৃত কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার, যাতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, প্রোটিন ও ফাইবার থাকে। এই বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে না। অর্থাৎ পিনাট বাটার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।

ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: গবেষণায় জানা গিয়েছে অল্পবয়স থেকে পিনাট বাটার রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখলে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে। এমনকি যাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের ফ্যামিলি হিস্ট্রি আছে তারা যদি পিনাট বাটারের সঙ্গে ডালজাতীয় শস্য, সয়া, উদ্ভিজ্জ ফ্যাট এবং অন্যান্য বাদাম খান তাহলে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পায়।

শরীর এবং মন এই দুটির সুস্থতা আমাদের জীবনে সাফল্য পেতে এবং জীবনকে পূর্ণ মাত্রায় উপভোগ করতে সাহায্য করে। ভাল মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের সুস্থতার অনুভূতি প্রদান করে এবং সুস্থ শরীর আমাদের শারীরিক শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস দেয়, যা জীবনসংগ্রামের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভিটামিন ডি আপনার শরীরকে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনের অন্যতম প্রধান উপাদান। অশ্বগন্ধা ট্যাবলেট শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করে এনার্জির লেভেলকে পুনরুজ্জীবিত করে। আর আছে My Fitness Peanut butter যা আপনার হৃদরোগ, টাইপ 2 ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী অসুখের ঝুঁকি কমাতে এবং ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।