বিশ্বজুড়ে ছড়াচ্ছে আরও এক সংক্রামক রোগ, এই উপসর্গ আপনার নেই তো?

Whooping Cough Symptoms: হুপিং কাফ বা পর্টুসিস হল এক ধরনের অতি সংক্রামক রোগ। মূলত ফুসফুসে সংক্রমণ হয় বর্ডেটেলা পর্টুসিস নামক একটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে। এই সংক্রমণ হলে অনবরত কাশি হতে থাকে, রোগীর অবস্থা এমন হয় যে তাঁর শ্বাস নিতেও সমস্য়া হয়। সেখান থেকেই নাম হয়েছে হুপিং কাফ।

বিশ্বজুড়ে ছড়াচ্ছে আরও এক সংক্রামক রোগ, এই উপসর্গ আপনার নেই তো?
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Updated on: Apr 12, 2024 | 1:49 PM

লন্ডন: চৈত্রের কাঠফাঁটা গরম। বাইরে বের হলেই গলদঘর্ম অবস্থা। ঘরে ঢুকলেই আবার এসি। একবার ঠান্ডা, একবার গরমে অনেকেরই সর্দি-গর্মি হচ্ছে। অনবরত সর্দি, কাশি লেগেই থাকে। তবে এই অবস্থা কিন্তু শুধু ভারতীয়দের নয়, আমেরিকা, ব্রিটেন, চিন থেকে শুরু করে ফিলিপিন্স, চেক রিপাবলিক, নেদারল্যান্ডেও বহু মানুষ কাশিতে ভুগছেন। এবং সংক্রমণ ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে। তাহলে কি এটা করোনার মতোই নতুন কোনও সংক্রমণ? চিকিৎসক-গবেষকরা জানিয়েছেন, এটি হল হুপিং কাফ। একধরনের সংক্রামক রোগ এটা।

চিনের ন্যাশনাল ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস অবধি ৩২ হাজারেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। অনবরত কাশিতে ভুগছেন রোগীরা। এই আক্রান্তের হার গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।

কী এই হুপিং কাফ?

হুপিং কাফ বা পর্টুসিস হল এক ধরনের অতি সংক্রামক রোগ। মূলত ফুসফুসে সংক্রমণ হয় বর্ডেটেলা পর্টুসিস নামক একটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে। এই সংক্রমণ হলে অনবরত কাশি হতে থাকে, রোগীর অবস্থা এমন হয় যে তাঁর শ্বাস নিতেও সমস্য়া হয়। সেখান থেকেই নাম হয়েছে হুপিং কাফ। মূলত সদ্যজাত ও অল্পবয়সী শিশুরা এই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে এই সংক্রমণ থেকে নিউমোনিয়া, খিঁচুনি, এমনকী মৃত্যু অবধি হতে পারে।

হুপিং কাফের উপসর্গ কী?

সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশিতে যে উপসর্গ থাকে, হুপিং কাফেও প্রাথমিক স্তরে সেই উপসর্গই দেখা যায়। একটানা খুসখুসে কাশি, নাক থেকে অনবরত জল পড়া, জ্বর হয়। সংক্রমণ বাড়লে কাশিও বাড়ে। কাশি হওয়ার সময় এমন শব্দ হয়, যা শুনে মনে হয় রোগী শ্বাস নিতে পারছেন না। অতিরিক্ত কাশির জেরে বমি, ক্লান্তিভাবও দেখা দেয়।

কীভাবে ছড়ায় হুপিং কাফ?

করোনা সংক্রমণ যেভাবে ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়াত, হুপিং কাফের ক্ষেত্রেও একইভাবে সংক্রমণ ছড়ায়। এছাড়া খোলা জায়গায় থুতু বা কফ ফেলা থেকেও ব্যাকটেরিয়া বাতাসে মিশে ছড়িয়ে পড়ে।