Heart failure: শীতেই বেশি কাবু হন হার্টের রোগীরা! কিন্তু কেন?

Heart failure symptoms: বয়স বাড়লে শীতে থাকুন সাবধানে। হঠাৎ করে ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি-কফের সমস্যা এড়িয়ে চলতে হবে। তেমনই যাতে কোনও ভাবেই না বুকে সংক্রমণ হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে

Heart failure: শীতেই বেশি কাবু হন হার্টের রোগীরা! কিন্তু কেন?
শীতে খাওয়া দাওয়া বিষয়ে যেমন সতর্ক থাকবেন তেমনই ঠান্ডা যাতে না লাগে সেদিকেও খেয়াল রাখবেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2021 | 1:19 PM

বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে শীতেই বাড়ছে হৃদরোগের সংখ্যা। এমনকী শহরের বেশিরভাগ হাসপাতালে বছরের এই সময়ই হার্টের রোগী আসেন সবচেয়ে বেশি। এমনকী মৃত্যুহারও অন্যান্য সময়ের তুলনায় এই সময় একটু বেশি থাকে। এর কারণ হিসেবে উঠে আসছে আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত ঠান্ডা। ঠান্ডা পড়লে আমাদের শারীরবৃত্তীয় বিভিন্ন পরিবর্তনও আসে। শরীরের সব অঙ্গ ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এই সময় প্রাথমিক চিকিৎসাতেও থাকে গাফিলতি। আর এই সবই প্রভাব ফেলে আমাদের শরীরে।

যে কারণে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, নিয়মিত হার্ট চেকআপ এবং খাওয়াদাওয়াতে আনতে হবে পরিবর্তন। শুধু তাই নয়, ৪০ বেরোলে বছরে একবার অবশ্যই হার্টের কিছু পরীক্ষা করানো উচিত। আর যদি পরিবারে কারোর হার্টের সমস্যা থাকে তাহলে অতি অবশ্যই ছ মাস ছাড়া হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

দিল্লির ফর্টিস হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বিশাল রাস্তোগি যেমন জানান, ‘শীতকালে বুকে সংক্রমণ, কফ বসে যাওয়া, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, শ্বাসকষ্ট, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার মত সমস্যা লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে পরিবেশের তাপমাত্রা কম থাকায় রক্তনালী গুলি সংকুচিত হয়ে থাকে। যে কারণে রক্ত প্রবাহ বাধা পায় এবং হার্টের উপর চাপ সৃষ্টি করে। হার্টের উপর চাপ পড়লেই তখন দেখা দেবে নানা রকম সমস্যা’। যে কারণে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে শীতে ২০-৩০ শতাংশ রোগীই আসেন হার্টের সমস্যা ( Heart attack) নিয়ে। আর হার্টের রোগীর ক্ষেত্রে সময়ে চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর প্রাণ বাঁচানো যায়। ফলে শীতকালে হার্টের রোগীদের (Heart failure) কিন্তু সব সময় চিকিৎসকেরক পর্যবেক্ষণে থাকা উচিত। সামান্যতম অসুবিধে হলেও এড়িয়ে যাবেন না। এছাড়াও হেলদি ডায়েট, ধূমপান একেবারেই না করা, ঠান্ডা না লাগানো, শরীরচর্চা, প্রাণায়ম, এসব মেনে চলতে হবে। হাতের কাছে রাখতে হবে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র। অন্য সময়ের তুলনায় এই সময় গ্যাসের সমস্যা বেশি হয়। বিশেষত রাতের দিকে যাতে গ্যাস না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। আর তাই খাওয়া-দাওয়া কিন্তু মেপে করবেন। এছাড়াও যে সব বিষয় মেনে চলবেন-

*উচ্চরক্তচাপের সমস্যা থাকলে নিয়মিত ওষুধ খান। শরীরচর্চা করুন। ঠান্ডায় রক্তচাপ খুব বেশি ওঠানামা করে। যে কারণে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এবার ব্লাডপ্রেসার আর হৃদস্পন্দন একসঙ্গে বেড়ে গেলে হার্টের রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

*শীতে দূষণ তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি। সব থেকে বেশি ক্ষতি করে ধোঁয়াশা। এখান থেকেই বুকে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি। সংক্রমণ বেশিদিন থাকলে তা যেমন ক্ষতিকর, তেমনই সংক্রমণজনিত শ্বাসকষ্টও কাম্য নয়। লহার্টের সমস্যাকে আরও বেশি জটিল করে তোলে এই সংক্রমণ।

*শীতে ঘাম কম হয়। শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বেরনোর সুযোগও কিন্তু থাকে কম। অতিরিক্ত জল অনেক কারণেই ফুসফুসে জমে যায়। ফলে সেখান থেকেও হতে পারে হার্ট অ্যার্টাক।

*ভিটামিন ডি এর অভাব হলেও কিন্তু বাড়ে হার্ট অ্যার্টাকের ঝুঁকি। ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে হার্টের বিশেষ কিছু কোশগঠনে সমস্যা হয়। আর এই কোশই কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের পর হার্টকে রক্ষা করে। আর তাই এই শীতে যেমন নিজে সচেতন থাকবেন তেমনই পড়শিকে সচেতন করাও আপনার কর্তব্য।

*শীতে কিন্তু শরীরচর্চা করতে ভুলবেন না। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। অতিরিক্ত জলও তা বলে খাবেন না। নুন কম খান। কাঁচা নুন একেবারেই খাবেন না। অতিরিক্ত নোনতা খাবার যেমন বিস্কুট, চিপস, চিঁড়েভাজা, ঝুরিভাজা এসব কিন্তু একেবারেই এড়িয়ে চলুন। যে সব ওষুধ নিয়মিত খান কোনওভাবেই তা খেতে ভুলে যাবেন না।

*ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি, টনসিল কিংবা বুকে কফ জমার মত সমস্যায় আগে থেকেই সতর্ক থাকুন।

আরও পড়ুন: COVID-19: ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েও বাড়িতে ছড়াতে পারেন করোনা