AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Human Breast Milk: মায়ের দুধে মিলল ‘বিষাক্ত’ প্লাস্টিকের কণা, ইতালির গবেষণায় চাঞ্চল্য বিশ্বজুড়ে

Microplastic In Breast Milk: ইতালির ওই গবেষকেরা জানিয়েছেন অতিরিক্ত পরিমাণ প্লাস্টিকের ব্যবহার এবং দূষণই এর প্রধান কারণ। প্লাস্টিকের পাত্রে জল খাওয়া, প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার খাওয়া থেকেই সমস্যা হয় সবচাইতে বেশি

Human Breast Milk: মায়ের দুধে মিলল 'বিষাক্ত' প্লাস্টিকের কণা, ইতালির গবেষণায় চাঞ্চল্য বিশ্বজুড়ে
মাতৃদুগ্ধেও মিলল প্লাস্টিক
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2022 | 3:05 PM
Share

শিশুদের জন্য সবচেয়ে পুষ্টিকর এবং প্রয়োজনীয় মাতৃদুগ্ধও আর নিরাপদ নয়। এই প্রথমবার মাতৃদুগ্ধেও মিলল প্লাস্টিকের কণা। ইতালির একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। মাতৃদুগ্ধে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া যাওয়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরাও। এই মাইক্রোপ্লাস্টিক যে শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক তা বলাই বাহুল্য। এছাড়াও শিশুদের প্রধান খাদ্য মাতৃদুগ্ধ। সেই দুধেই যখন মিলছে প্লাস্টিক তাহলে তার পরিণতি যে ভয়ানক এবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

সম্প্রতি ইতালিতে ৩৪ জন সদ্যোজাতর উপর করা হয়েছিল এই পরীক্ষা। এই সবকয়েকটি শিশু ছিল শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। এই ৩৪ জন মায়ের বুকের দুধের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশের মধ্যেই পাওয়া গিয়েছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা। যা এর আগে পাওয়া গিয়েছিল সামুদ্রিক প্রাণীদের মধ্যে। ৫ মিলিমিটারের কম দৈর্ঘ্যের প্লাস্টিক মিশে যাচ্ছে রক্তের সঙ্গে। প্লাস্টিকের মধ্যে থাকে ক্ষতিকর phthalates- যা পাওয়া গিয়েছে মাতৃদুগ্ধে। বন্যপ্রানী থেকে শুরু করে মানবদেহের কোষেও মিলেছে এই ক্ষতিকর প্লাস্টিকের কণা। মাতৃদুগ্ধের যে গুণ তা আর কোনও ভাবে মেটানো সম্ভব নয়। তবে যখন মাতৃদুদ্ধে মিশছে প্লাস্টিকের কণা তাহলে তা শিশুদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কী ভাবে এই প্লাস্টিকের কণা আটকানো যায়, সে বিষয়ে গবেষণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েদেরও যে সচেতন থাকতে হবে সেই কথাও তাঁরা বলেছেন।

২০২০ সালে ইতালির একটি গবেষণায় প্রথম মানুষের প্ল্যাসেন্টায় মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত হয়। এরপরই গবেষণা করা হয় মাতৃদুগ্ধ নিয়ে। ইতালির পলিটেকনিকা ডেলে মার্চের গবেষক ভ্যালেন্টিনা নোটারস্টেফানো যেমন জানিয়েছেন, ‘মাতৃদুগ্ধে প্লাস্টিকের কণা থাকা নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। তবে মাতৃদুগ্ধের মত ভাল খাবার শিশুদের জন্য আর কিছু হয় না। স্তন্যপান কোনও ভাবেই বন্ধ করানো যাবে না। বরং দূষণ কী ভাবে কমে সেই বিষয়ে আরও অনেক বেশি প্রচার চালাতে হবে। এ বিষয়ে সর্বস্তরের মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে’।

ইতালির ওই গবেষকেরা জানিয়েছেন অতিরিক্ত পরিমাণ প্লাস্টিকের ব্যবহার এবং দূষণই এর প্রধান কারণ। প্লাস্টিকের পাত্রে জল খাওয়া, প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার খাওয়া থেকেই সমস্যা হয় সবচাইতে বেশি। এই প্লাস্টিক খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। প্লাস্টিকের এই অতিক্ষুদ্র কণা যা চোখেও দেখা যায় না তা যদি দিনের পর দিন সদ্যজাতদের শরীরে জমতে থাকে তাহলে সেখান থেকে পরবর্তীতে জটিল সমস্যা হবে। শিশুদের নানা শারীরিক জটিলতাও বাড়ছে যে কারণে।

মাইক্রোপ্লাস্টিক আদতে কী 

বিশ্বব্যাপী দূষণের অন্যতম প্রধান ভেক্টর হ’ল মাইক্রোপ্লাস্টিক্স। এগুলিকে প্লাস্টিকের মাইক্রোস্পিয়ারও বলা হয়। ক্রিম, টুথপেস্ট, সাবানেও রয়েছে এই মাইক্রোপ্লাস্টিক। এর ব্যাস পাঁচ মিলিমিটারের থেকেও কম হয়। শরীর কোনও ভাবেই প্লাস্টিক হজম করতে পারে না। পরবর্তীতে এখান থেকে থেকে যায় ক্যানসারের সম্ভাবনাও।